Friday 30 July 2010

পুলিশকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী : যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয়া যাবে না : বিচারে বাইরের চাপ নেই : দীপু মনি

স্টাফ রিপোর্টার
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে দেশের বাইরের কোনো চাপ নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি। তবে এই বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে দেশের মধ্যেই অনেক চাপ রয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বা সমর্থনে যে কোনো দল-গোষ্ঠী কাউকে কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করতে না দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে মাঠে-ময়দানে, মসজিদ-মাদ্রাসায় কেউ কোনো আন্দোলন সংগ্রাম করতে পারবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরে এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
শুক্রবার চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার এলাকায় একটি পানি শোধনাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দীপু মনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে একটি মহল মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার নানা পাঁয়তারা করছে। এই বিচার বানচালে যে যত চেষ্টা করুক না কেন, বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত শেষ হবে।
সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে আমরা যুগোপযোগী মানবতামুখী একটি সংবিধান পেতে যাচ্ছি। সংবিধান কাটা-ছেঁড়া করে জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা আর সম্ভব হবে না।
পৌর মেয়র নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক প্রিয়তোষ সাহা, পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ চৌধুরী, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম শামসুদ্দোহা, প্যানেল মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী, সাইফুল ইসলাম সুমন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোজাফ্ফর আহমেদ।
এর আগে দীপু মনি জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদফতরের উদ্যোগে চাঁদপুর সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে ৮৮ বান্ডিল ঢেউটিন বিতরণ করেন।
চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কোনো প্রকার বাধা বরদাস্ত করা হবে না উল্লেখ করে বলেন, কেউ চাইলে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা কঠোর হাতে দমন করা হবে। যড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে উল্লেখ করে এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিচার ব্যাহত করতে যড়যন্ত্রকারীরা দেশে রাজনৈতিক ও গার্মেন্ট শিল্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে।
সভায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কাশেম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান মিয়া, র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসাইনসহ পুলিশ, র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, বিডিআর, কোস্টগার্ড ও আনসার ব্যাটালিয়নের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/07/31/36812

Saturday 24 July 2010

জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া সংবিধানে কোনো পরিবর্তন আনা সরকারের উচিত হবে না : ড. কামাল হোসেন

Shamokal শনিবার | ২৪ জুলাই ২০১০ | ৯ শ্রাবণ ১৪১৭ | ১১ শাবান ১৪৩১

জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া তাড়াহুড়ো করে সংবিধানে কোনো পরিবর্তন আনা সরকারের উচিত হবে না বলে মনে করেন দেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন। আজ (শনিবার) দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে ইণ্টারন্যাশনাল বিজেনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ আয়োজিত 'সিটি গভর্ন্যান্স ও বেসরকারি খাতের উন্নয়ন' শীর্ষক এক কর্মশালায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সংবিধানকে একটি পবিত্র দলিল বলে উল্লেখ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এতে হঠাৎ করে কিছু করা ঠিক হবে না। তিনি বলেন, সামরিক শাসনামলে হঠাৎ করে সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী আনা হয়েছিল বলেই জনমত এর বিরুদ্ধে গেছে এবং আদালতও তা বাতিল করেছে।

সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়ায় প্রধান বিরোধী দল বিএনপিরও সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "একে দলীয়ভাবে না নিয়ে, কোনো প্রতিযোগিতা তৈরি না করে রাজনৈতিক দল হিসেবে এই প্রক্রিয়ায় বিএনপির অংশগ্রহণ করা উচিত।"

সংবিধানে বিসমিল্লাহ এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, বিসমিল্লাহ যে থাকবে সে সম্পর্কে ইতোমধ্যে সরকারই ঘোষণা দিয়েছে। আর রাষ্ট্রধর্ম অষ্টম সংশোধনীর ব্যাপার। এ সংশোধনীর ব্যাপারে আদালত কী নির্দেশনা দিয়েছে সেটা এখনো পরিষ্কার নয়।

তিনি বলেন, একাত্তরে ধর্মের নামে রাজনীতির অপব্যবহার হয়েছিল। সে ধরনের রাজনীতি আবারো দেশে চালু হোক তা দেশের জনগণ চায় না।

সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটিকে স্বাগত জানান ড. কামাল।

"এ কমিটি নিয়ে বেশি আলোচনা-সমালোচনা করে একে বিতর্কিত করা ঠিক হবে না। সংবিধান সংশোধনে আদালতের রায়কে গুরুত্ব দেওয়া উচিত," বলেন তিনি।

বিজনেস ফোরামের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম. মনজুর আলম, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান এবং চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ সালাম।

কর্মশালায় সংগঠনের পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশনগুলোকে কার্যকর স্বায়ত্ত্বশাসন প্রদান, মেয়রের পদমর্যাদা মন্ত্রীর সমপর্যায়ে উন্নীত করা এবং ২০০৯ সালের সিটি কর্পোরেশন আইনে ফৌজদারি অপরাধে মেয়র ও কাউন্সিলদের বরখাস্ত করার জন্য যে বিধান রাখা হয়েছে তা বাতিলসহ ১৮ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।

http://www.samakal.com.bd/details.php?news=3&option=single&news_id=81082&pub_no=406

Thursday 22 July 2010

যুক্তরাজ্য মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্টের সাক্ষাত্কার : বাংলাদেশে গণতন্ত্রের লেবাসে স্বৈরশাসন চলছে

ইলিয়াস খান
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যুক্তরাজ্য মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মহিদুর রহমান এক সাক্ষাত্কারে আমার দেশকে বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিক থেকে বাংলাদেশ ইতিহাসের নিকৃষ্টতম সময় অতিক্রম করছে। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ এভাবে চলতে পারে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে বিচারবহির্ভূত হত্যা, বিনা কারণে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের জেলে পাঠানোসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ না করলে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে নালিশ করা হবে।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে দেয়া সাক্ষাত্কারে তিনি গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতার, চৌধুরী আলমের নিখোঁজ হওয়া, পুলিশ ও র্যাবের নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
আলোচনায় প্রথমেই আসে গণমাধ্যম প্রসঙ্গ। দৈনিক আমার দেশ এবং বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘চ্যানেল ওয়ান’ বন্ধ করে দেয়া এবং আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতারে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, এটি কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের আচরণ হতে পারে না। গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণমাধ্যমের সমালোচনা ধরে সরকার নিজেদের শোধরানোর চেষ্টা করবে। যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে তা-ই হয়। কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমান সরকার তা হতে দিচ্ছে না। যেসব গণমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে কিংবা যেখানে সরকারের বশংবদ লোক নেই, সেগুলোকে বন্ধ করে দিচ্ছে অথবা টুঁটি চেপে ধরছে। এটা তো হতে পারে না। এটা তো গণতন্ত্র নয়।
আলোচনায় আসে আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতার প্রসঙ্গ। তীব্র ক্ষোভ ঝরে পড়ে তার জবানিতে। বলেন, মাহমুদুর রহমান দেশের নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর। তিনি তার ক্ষুরধার লেখনীতে তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কুশীলব এবং এ সরকারের আনুকূল্যে ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারের নানা অন্যায়-অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরেছেন। এটাই তার অপরাধ(!)। এ অপরাধে তাকে জেলে পোরা হয়েছে। তাকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এটি কোনো সভ্য দেশে ঘটতে পারে না। মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতারের ঘটনা সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মাথা হেঁট করে দিয়েছে। তিনি বলেন, বিগত মইনুদ্দীন-ফখরুদ্দীন সরকারও তাকে আটকানোর নানা ফন্দিফিকির এঁটেছিল কিন্তু পারেনি। বর্তমান সরকার আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালাচ্ছে। এই গ্রেফতারের আমি তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করছি।
বর্তমান সরকারের দেড় বছরের শাসনামল সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?— এ প্রশ্নের জবাবে মহিদুর রহমান বলেন, এই দেড় বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছে। র্যাব-পুলিশের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি সরকারি দলের ক্যাডাররা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মানুষ হত্যার হোলিখেলায় তারা মেতে উঠেছে। মানুষকে প্রতিবাদ করারও সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানালে হয় হত্যা, না হয় নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এটা কোনো সভ্য দেশে চলতে পারে না।
তিনি নিরাপত্তা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় অবর্ণনীয় নির্যাতনে নিহত ব্যক্তির মৃত্যুকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কিংবা আত্মহত্যা করেছে বলে এই হত্যাকাণ্ডকে জায়েজ করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বিডিআর সদস্যদের ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’ বলে প্রচারিত মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আরও কত বিডিআর সদস্যের এ ধরনের করুণ মৃত্যু হবে কে জানে? বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এই মানবাধিকার কর্মী বলেন, শুধু পুরুষদেরই নয়, জেলখানায় মহিলা কয়েদিদের ওপরও অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। তাদের ধর্ষণ পর্যন্ত করা হয়। প্রসঙ্গক্রমে তিনি ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীনের অবৈধ সরকারের আমলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা ঘটনাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ১৯৭২ থেকে ’৭৫ সাল পর্যন্ত দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে মহোত্সব চলেছে, তা আবার ফিরে আসে মইনুদ্দীন-ফখরুদ্দীন সরকারের আমলে। বর্তমান সরকারও এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে। সন্ত্রাসীদের কারণে বাংলাদেশের মেয়েরা নির্বিঘ্নে স্কুল-কলেজে যেতে পারে না। ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে এ পর্যন্ত ১৪টি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। অনেকে লেখাপড়া বাদ দিয়েছে। কোনো সভ্য দেশে এটা চিন্তাও করা যায় না। কিন্তু এসব বখাটের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কারণ পরিচয় খুঁজতে গিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এরা সরকারি দলের সমর্থক ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তিনি বলেন, চাঁদাবাজি ঠিকাদারির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা। পরস্পর পরস্পরকে হত্যা করছে। এদের দমন করার লোক দেখানো ঘোষণা দিলেও সরকার কার্যত কিছুই করছে না। কারণ নেতারাও চাঁদার ভাগ পেয়ে থাকে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর চৌধুরী আলমের নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুনেছি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা তাকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এখন তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। দেশে তো আইন আছে। তিনি কোনো অপরাধ করে থাকলে আদালতে তার বিচার হবে। উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া তো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। সরকারকে এখনই জানাতে হবে চৌধুরী আলম কোথায় কীভাবে আছেন। নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনার তিনি তীব্র নিন্দা জানান। বলেন, নিরাপত্তা হেফাজতে এখন মৃত্যুর মিছিল চলছে। আমি জানতে পেরেছি গত ছয় মাসে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে ৬১ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে র্যাব কর্তৃক ২৯ জন, পুলিশ কর্তৃক ২৫ জন এবং র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এই ৬১ জনের মধ্যে ১৩ জন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে থাকাকালে মারা গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ক্রসফায়ারে ৫২ জন মারা গেছেন। যেখানে র্যাব কর্তৃক ২৭ জন, পুলিশ কর্তৃক ১৮ জন, র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে ৪ জন এবং ৩ জন র্যাব-কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে নিহত হয়েছেন। এ সময় মোট ১২ জন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নির্যাতনে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে র্যাব হেফাজতে ২ জন এবং পুলিশের নির্যাতনে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া র্যাব-পুলিশ কর্তৃক নির্যাতিত হওয়ার সংখ্যা অগণিত। গত ৬ মাসে জেলহাজতেও ৩৮ জন মারা যান। এদের মধ্যে ২ জন মারা যান কোর্টহাজতে এবং ২ জন র্যাব হেফাজতে। এ সংখ্যাই বলে দেয় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এখন কেমন। বর্তমান সরকারকে গণতন্ত্রের লেবাসধারী স্বৈরাচারী সরকার বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সরকার মূলত ওয়ান-ইলেভেন সরকারের মতোই। তাদের কার্যক্রম দেখে মনে হয়, দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের পাঁয়তারা চলছে। কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ তা হতে দেবে না। বাংলাদেশের ভবিষ্যত্ কী?— এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আশাবাদী মানুষ। অতীতেও গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে স্বৈরতন্ত্র এসেছে। গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরা হয়েছে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এ সরকারেরও হবে না। আমি একটি কথা বলেই শেষ করব, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হচ্ছে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। সাক্ষাত্কার শেষের আগে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানতে চাই। তিনি জানান, ১৯৭৫ সালে তিনি লন্ডন যান। সেখানে নর্থ আমেরিকা ইউনিভার্সিটি থেকে মার্কেটিংয়ে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। প্রবাসী বাংলাদেশীদের কল্যাণ কামনায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হন। তিনি ব্রিটিশ হোম সেক্রেটারির স্ট্যান্ডিং অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল অন রেস রিলেশনের সদস্য ছিলেন। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের গর্বিত পিতা। তিনি বাংলাদেশ সেন্টার ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টেরও প্রেসিডেন্ট। ১৯৫৭ সালে জন্ম মৌলভীবাজারে।

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/07/23/35832

Muslim, Interfaith and Human Right Leaders Concerned About Crisis of Democracy in Bangladesh

July 20, 2010
Muslim, Interfaith and Human Right Leaders Concerned About Crisis of Democracy in Bangladesh
Filed under: From the Desk of Imam Mahdi Bray — Imam Mahdi Bray @ 4:21 pm

The current crackdown on political opposition, students, journalists and academicians by the ruling party (Awami League) in Bangladesh is receiving very little attention from the media and the United States Government. Yet its potentials for increasing destabilization in an already volatile religion could be devastating. Check out the piece below. Imam Mahdi Bray



Current Crackdown on Opposition Could Further Destabilize the Region

National Muslim organizations, interfaith leaders and human right activists in the United States are concerned that the recent arrest of key leaders of the Islamic Movement in Bangladesh (Jamaat-e-Islami), student activists, journalists and members of the political opposition have created a huge crisis in the nation. These actions by the Bangladesh ruling party coalition (Awami League) might well result in violent confrontations between political dissidents and the government. There is also concern that the current U.S. government support for AL may actually reinforce, and protect, ongoing human rights violations that contradict the stated objectives of American foreign policy in this volatile region.

Many human rights experts also contend that these arrests and human rights violations are often carried out under the pretext of a Bangladesh government response to “terrorism”.

These arrests come at a time when AL is being accused of acts of extrajudicial killings, arrests, rape, and even the torture of the members of the Islamic opposition party which holds some 17 seats in the national legislature, and commands a following of some 12 million people in Bangladesh, according to the Christian Science Monitor, Amnesty International, Human Rights Watch and the US State Department’s Human Rights Report on Bangladesh.

The national Muslim umbrella organization, the American Muslim Task Force on Civil Rights and Elections (AMT) under the leadership of Dr. Agha Saeed, has expressed grave concern over the human rights conditions in Bangladesh. American Muslim leaders have also expressed that the current government’s descent into authoritarianism, oppression of religious elements: dismantling freedoms, violating human rights and ending practices that promote transparency could be exploited by extremist movements that, unlike Jamaat-e-Islami, BNP and other opposition groups, do not advocate peaceful means for social change in Bangladesh.

There is also concern that the current crackdown and arrest of Jamaat-e-Islami leaders, including the head of the Jamaat, Hajj Moitur Rahman Nizami, is meant to coincide with the start of a national tribunal investigating war crimes committed in 1971. That was when Bangladesh, formerly known as East Pakistan, broke away from West Pakistan to establish an autonomous, predominantly Bengali republic. While the Awami League indicts the Islamic movement for complicity in the killings of civilians in this period of turmoil, other reliable sources contend that these acts of violence were carried out by other Bengalis who sided with the then-West Pakistan army.

Also, the current crackdown jeopardizes the rule of law, and the social and legal space that nonviolent opponents of the current Bangladeshi government. While the Jamaat-e-Islami functions as a peaceful political opposition force in the country, some observers recognize the potential for mass violence in Bangladesh if the Awami League, and its political allies, continue their attack on Islamic opposition figures, trade unionists, intellectuals, and others dissidents.

An interfaith and human rights coalition is currently preparing to visit U.S. State Department officials and members of Congress to express its concerns about these events, and about current United States foreign policy in the region. We believe that US support for the current regime and its policy will only impede efforts for nonviolent political change in Bangladesh, and potentially isolate America from progressive, nonviolent forces in that nation who now suffer from government repression.

http://mahdibray.net/2010/07/20/muslim-interfaith-and-human-right-leaders-concerned-about-crisis-of-democracy-in-bangladesh/

Economy passing to alien hands

Special Correspondent



The economy is slowly but steadily passing hand to the aliens at a time when the country's ruling elite remained deeply embedded to new found strategic allies to beat back nationalist and Islamist forces in domestic politics.

In the business front, the country's fragile political situation is being utilised to use Bangladesh as the gateway to northeast and Indian businessmen are out to capture the key service sector and manufacturing industries.

Leaders of BGMEA and BKMEA, two apex bodies of the garment sector slowly speaking out the truth. They said Indian investors are now buying major garment factories in Bangladesh.

News reports meanwhile said many British, US and Canadian businessmen of Indian origin have already bought at least 50 key garment factories of the country including the famous SQ group, Crystal, Mustard, Hollywood, Shanta, Rose, Fortune, Trust, Ajax and such other manufacturing plants which have the record of earning billions of dollars in export earnings annually.

Businessmen of Indian origin are also negotiating the buying of another 100 garment factories at the moment, senior BGMEA sources are quoted to have said in talks with the local press. In addition to this, there are 140 garment factories now being laid off and they may eventually end up at the hands of foreign buyers.

BGMEA president Abdus Salam Murshedy reportedly said such passing of hand is taking place as part of free market economy in certain situations. He said many Indians are engaged here at managerial levels.

Former BKMEA president Fazlul Haque reportedly said the question is not who is buying, the truth is that it is going contrary to the country's interest.

The garment sector is treated as the major contributors to the nation's economic fortune generating tens and thousand of jobs mainly to the poor in addition to expansion of banking, insurance, transport, ports, shipping and such other services,

Now these engines of fortunes are passing hand to aliens mainly by way of violence, arson and vandalism.

Foreigners are also working to take control of the country's telecommunication sector by buying big telecom companies and sharing the submarine cable system. The country's domestic consumer market is already in the Indian hand with over US$ 3.5 billion trade deficit and Delhi is not willing to open its market to substantive duty free exports from Bangladesh.

Bangladesh has agreed to open the connectivity under the joint declaration with India in Delhi in January this year.

In this background, a 21-member strong business delegation visited Bangladesh last week to hold talks with government and business leaders about how to use the mutuality to set up new infrastructure facilities in Bangladesh to open the transit gateway from western India to its northeast.

Influential Congress parliamentarian and former minister responsible for development of northeast Moni Sankar Iyar led the delegation. During the visit he also has urged Bangladesh businessmen to invest in the northeast.

The Indian trade delegation visited Ashuganj where India seeks quick mobilisation of resources to set up its port of call and develop port handling facilities. It is also in a hurry to build the 40 km long Ashuganj-Akhaura road to add new capacity to run heavy Indian transport vehicles.

Delhi has sought initial permission to carry equipment for a 1000 MW power plant to the Tripura state. The delegation also visited Chittagong port, assessed its present and future handling capacity and expressed the Indian desire to make investment in port facilities. It also talked about expansion of highway from port city to Tripura and Mizoram and developing infrastructure of the Mongla port to connect it with Indian business.

There is no study or configuration about it. Moreover, what is the security arrangement or sovereignty guarantee that Bangladesh will not become a vassal state at the end.

The Indian delegation has reportedly explored to build every bit of connectivity network by road, railway and water ways, by building bridges and dredging rivers.

http://nation.ittefaq.com/issues/2010/07/19/news0714.htm

জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবিতে অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিবাদ, স্মারকলিপি




এসবি রিপোর্টার, Fri 16 Jul 2010


বাংলাদেশ বর্তমান মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের, গণগ্রেপ্তার ও রিমান্ডের নামে জামায়াত নেতাদের উপর জুলুম নির্যাতন, সরকারের বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ,স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় নগ্ন হস্তক্ষেপ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ, জাতীয় নেতাদের উপর পুলিশী নির্যাতন, বিশেষ করে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর শীর্ষ পাঁচ নেতার গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেয়ার প্রতিবাদে” অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম, অস্ট্রেলিয়া” অস্ট্রেলিয়াস্ত বাংলাদেশ দূতাবাস, ক্যানবেরা এর সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ উত্তর” অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম, অস্ট্রেলিয়া” এর প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী সাইফুল্লাহ খালিদ এর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরা বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তদের সাথে দেখা করেন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় রাষ্ট্রপতি বরাবর এক স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সমাবেশে বক্তারা দেশের বর্তমান সার্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম এর প্রেসিডেন্ট তার বক্তৃতায় দেশের বর্তমান মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সার্বিক পরিস্থিতির উপর দীর্ঘ চিত্র তুলে ধরেন। তাতে প্রবাসীদের মাঝে এক গভীর উদ্বেগ উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, বর্তমান সরকার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশান নির্বাচনে লজ্জাজনক পরাজয়ে বুঝতে পেরেছে তাদের পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে এবং চট্টগ্রাম বন্দর, ট্রানজিটসহ বাংলাদেশের সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ দিয়ে তার বিদেশী প্রভুদের খুশী করার মাধ্যমে তাদের গদি রক্ষা করতে চায়। এ ব্যাপারে সবচেয়ে বড় বাধা বাংলাদেশ জাআয়াত ইসলামী। তাই এই ফ্যাসিবাদী চক্র জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীদের হত্যা, নির্যাতন ও বন্দীর পথ বেছে নিয়েছে। যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডঃ মাসুম আলম এবং ডঃ রাশেদুল ইসলাম। বক্তারা সবাই অবিলম্বে জামায়াত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন। এর মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি রক্ষা ও প্রবাসীদের মাঝে দেশে বিনিয়োগের আস্থা তৈরী করে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

http://www.dailynay adiganta. com/fullnews. asp?News_ ID=222361&sec=2

Monday 19 July 2010

হিংসাত্মক রাজনীতির কারণে আইনের শাসনের অবনতি ঘটছে

একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. আকবর আলি খান
রেজা মাহমুদ

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার পরিস্খিতি নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিশিষ্টজনদের ভাবনা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরছে নয়া দিগন্ত। আজ প্রকাশিত হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খানের সাক্ষাৎকার ।
নয়া দিগন্ত : দেশে আইনের শাসন এখন কোন পর্যায়ে আছে বলে মনে করেন?
আকবর আলি খান : দেশে আইনের শাসনের অবনতি ঘটেছে বলা যায়। তবে তা হঠাৎ হয়নি, দেশের প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দলই এ জন্য দায়ী। যে দলই ক্ষমতায় যায় সে-ই ইটের বদলে পাটকেল নীতি গ্রহণ করে। এর ধারাবাহিকতাই অব্যাহত রয়েছে। তবে আজকের প্রেক্ষাপটে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড বিশেষভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণíí করছে। এ ছাড়া কিছু ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে বলে বলা হলেও কার্যত নিখোঁজ রয়েছেন বলে গণমাধ্যমে উঠে আসছে। এটা সমাজে উদ্বেগ ও অস্খিরতা ছড়িয়ে দেবে। বিষয়টি নিয়ে সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য দরকার।
নয়া দিগন্ত : পুলিশ-র‌্যাবের পোশাকে কারো কারো বাসভবনের ভেতরে হামলার ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও অভিযোগ আনছেন অনেকে। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
আকবর আলি খান : আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণ হচ্ছে এর গোড়ায়ই গলদ রয়েছে। এ দেশে পুলিশে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে চলে ব্যাপক ঘুষবাণিজ্য। ফলে সৎ লোক পুলিশে আসতে পারে না। অসৎ ও অযোগ্য লোকরা পুলিশে ঢুকে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। এ পর্যন্ত কোনো সরকারই এটা বìধ করতে পারেনি।
নয়া দিগন্ত : উচ্চআদালত গ্রেফতার না করার নির্দেশ দেয়া সত্ত্বেও অনেককে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আইনজ্ঞদের অনেকেই বলছেন এতে আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানো হচ্ছে। আপনি কী বলেন?
আকবর আলি খান : আদালতের নির্দেশ যদি অগ্রাহ্য করা হয় সে ক্ষেত্রে আদালতেই এর প্রতিকার চাইতে হবে। পুলিশে সৎ কর্মকর্তা নিয়োগের ব্যবস্খা করতে হবে, যাতে আদালতের নির্দেশ পালিত হয়।
নয়া দিগন্ত : হরতালকালে বিরোধীদলীয় নেতাদের যৌথভাবে মারধর করেছে ছাত্রলীগ ও পুলিশ। তারপর আবার ওই নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
আকবর আলি খান : হরতাল করাও যেমন দেশের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি হরতালে বাধা দিতে যাওয়াও অন্যায়। এটা দেশের বিরাজমান সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিণতি। রাজনৈতিক দলগুলোকেই এ ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এক-এগারোর সময় সুশীল সমাজকে দিয়ে এ কাজ করানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।
নয়া দিগন্ত : কোথায়ও কোনো আইনভঙ্গের কাজ ঘটলে তাতে রাজনৈতিক নেতাদের জড়ানো হচ্ছে, প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। এ ধরনের হয়রানি থেকে রেহাই পেতে আইনি কোনো রক্ষাকবচ রয়েছে কি?
আকবর আলি খান : এটাও সাংঘর্ষিক রাজনীতিরই কুফল। রাজনৈতিক বিবেচনাতেই অন্যায়ভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে লেগে আছে। সহিংস রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রধান দু’টি দলের কেউ কারো চেয়ে কম নয়। তবে এই দু’টি দলের বাইরে নতুন কোনো রাজনৈতিক শক্তির অভ্যুদয়ের বিষয়টি এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। এ কারণে দেশের স্বার্থে দু’টি বড় দলকে হিংসাত্মক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আর পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচতে সংঘাতমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা না থাকার বিষয়টি কমিউনিটি পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তুলে ধরতে হবে।
নয়া দিগন্ত : আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও গ্রেফতারকৃতদের সাথে আইনজীবীদের সাক্ষাৎ করতে দেয়া হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে কী ভাবছেন?
আকবর আলি খান : আমার মনে হয় আদালতের কাছেই বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। আদালতই এর প্রতিকার করতে সক্ষম।
নয়া দিগন্ত : আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর পোশাকে বা সাদা পোশাকে বাড়ি থেকে অনেককে তুলে আনার ঘটনা ঘটছে। পরে তাদের আটক বা গ্রেফতারের বিষয় অস্বীকার করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে একজন নাগরিকের করণীয় কী?
আকবর আলি খান : কোনো ব্যক্তিবিশেষের বিষয় উল্লেখ না করে বলতে চাই, এ ধরনের ঘটনা উদ্বেগজনক। এটা বেড়ে গেলে দেশের সাধারণ মানুষের মনে ভীতি, উৎকণ্ঠা ও অস্খিরতা ছড়িয়ে পড়বে। সরকারের উচিত বিষয়টি পরিষ্কার করা, কোথায় কী হচ্ছে সে সম্পর্কে জনগণের কাছে স্পষ্ট বক্তব্য তুলে ধরা।
http://www.dailynayadiganta.com/fullnews.asp?News_ID=222851&sec=1

Sunday 18 July 2010

আন্দোলন সংগ্রামের ৪৭ দিন




মাহাবুবুর রহমান
আপিল বিভাগের রায়ের মাধ্যমে অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পেয়েছে দৈনিক আমার দেশের সহস্রাধিক সাংবাদিক-কর্মচারী। দীর্ঘ আকাঙ্ক্ষার পর লাখ লাখ পাঠক আজ হাতে পাবেন তাদের প্রিয় পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ। আর এজন্য পত্রিকাটির সাংবাদিক-কর্মচারী ও পাঠকদের লড়াই করতে হয়েছে দেড় মাস। মানুষের অধিকার নিয়ে ছুটেচলা সাংবাদিকরা রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন দীর্ঘ ৪৭ দিন।
এ সময় তারা মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ, অনশন ও সংহতি সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। এমনকি আদালতে ন্যায়বিচার পাওয়ার দাবি নিয়ে আমার দেশ পরিবারের সদস্যরা হাইকোর্টের সামনেও একাধিকবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এতে পাশে দাঁড়ান দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক, পেশাজীবী ও রাজনীতিকরা।
খ্যাতিমান সম্পাদক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, চিকিত্সক, প্রকৌশলী, শিক্ষকরা পৃথক বিবৃতি দিয়ে দেশপ্রেমের পতাকাবাহী দৈনিক আমার দেশ পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করে অবিলম্বে পত্রিকাটি প্রকাশে সব বাধা তুলে নিতে সরকারের প্রতি একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন যেমন কালোদিবস হিসেবে চিহ্নিত, তেমনি ২০১০ সালের ১ জুনও একইভাবে কালোদিবস হিসেবে আগামী প্রজন্মের কাছে চিহ্নিত হবে। দুটি কালোদিবসই জুন মাসে সংঘটিত হয়েছে এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগই এ ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছে।
এ সরকার আইনের তোয়াক্কা না করে দেশের জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ শুধু বেআইনিভাবে বন্ধই করেনি, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম বিনা ওয়ারেন্টে একজন সম্পাদককে কর্তব্যরত অবস্থায় পত্রিকা কার্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দাঙ্গা পুলিশ দিয়ে গভীর রাতে গ্রেফতার করে।
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার শত শত সাংবাদিক, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী ও আইনজীবীদের সামনে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ১ জুন রাত সাড়ে ৩টায় পুলিশ অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
পরদিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও স্যাটেলাইট চ্যানেল জানায়, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করেছে সরকার এবং রাতেই পত্রিকা অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে। ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পত্রিকাটির মুদ্রণ ছাড়পত্রবিষয়ক অনুমতি বাতিল করে পত্রিকার তেজগাঁওয়ের প্রেসে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। পত্রিকার রিপোর্টিং, বার্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা রাতের কাজ শেষ করে যখন পত্রিকাটি প্রকাশের অপেক্ষায় ছিলেন তখনই এ খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তারা অবগত হন। ওই রাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতারা আমার দেশ কার্যালয়ে আসেন।
গ্রেফতারের আগের দিন বিকালে কারওয়ান বাজারে আমার দেশ কার্যালয়ে আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান বলেন, সরকার আমার দেশ বন্ধের পাঁয়তারা করছে। সরকার পত্রিকার কণ্ঠরোধ করতে চায়। সরকারের আচরণকে ফ্যাসিবাদী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালেও তারা চারটি বাদে সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন আবার সেই চেষ্টা শুরু করেছে।
হাইকোর্টের সামনে মানববন্ধন : সর্বশেষ দৈনিক আমার দেশের সাংবাদিক-কর্মচারীরা গত ১৪ জুলাই সকাল ৮টায় হাইকোর্টের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল সংক্রান্ত মামলা ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের আশু মুক্তির ব্যাপারে উচ্চ আদালতের কাছে ন্যায়বিচার কামনা করে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সকাল ৮টা ১৫ মিনিট থেকে ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত কর্মসূচিতে বিএফইউজের সভাপতি রুুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এমএ আজিজ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, আমার দেশের ডেপুটি এডিটর সৈয়দ আবদাল আহমদ, প্রধান সহকারী সম্পাদক সঞ্জীব চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, আমার দেশের বার্তা সম্পাদক মুজতাহিদ ফারুকী, সিটি এডিটর জাহেদ চৌধুরী, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ফকরুল আলম কাঞ্চন, বিএফইউজের সাবেক সহকারী মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজে আমার দেশ ইউনিট চিফ বাছির জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, অধ্যাপক ডা. গাজী আবদুল হক, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন প্রমুখ।
প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন : জনগণের ভাতের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানান দৈনিক আমার দেশের সাংবাদিক-কর্মচারীরা। ২২ জুন দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত আমার দেশ পরিবারের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এতে আমার দেশ পরিবারের সদস্যদের বর্তমান পারিবারিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা এবং দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে বক্তৃতা করেন পত্রিকাটির সিনিয়র সহকারী সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, সিনিয়র রিপোর্টার আহমেদ করিম প্রমুখ।
সংহতি জানিয়ে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এমএ আজিজ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস শহীদ।
প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ : সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, আদালতকে প্রভাবিত করে আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ ও মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে মারতে চায় সরকার। দেশের সাধারণ জনগণ এরই মধ্যে সরকারের এ অশুভ উদ্দেশ্য জেনে গেছে উল্লেখ করে তারা বলেন, জনরোষে পড়ার আগে আদালত ও আইনকে প্রভাবিত করার পথ থেকে সরে আসুন। অন্যথায় সাংবাদিক, পেশাজীবী ও সাধারণ জনতা রাজপথ ছাড়বে না।
দৈনিক আমার দেশ পুনঃপ্রকাশ ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে ২৪ জুন বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে হাইকোর্ট মোড় হয়ে পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে আবার প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএফইউজের মহাসচিব এমএ আজিজ, চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী সমর্থিত সাদাদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক প্রফেসর আমিনুর রহমান মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ফটো সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মীর আহমেদ মিরু, অ্যাগরিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, সম্মিলিত পেশাজীবী ফোরামের সদস্য সচিব প্রকৌশলী শেখ আল আমিন, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি ডা. শফিকুর রহমান, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সদস্য সচিব প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা. কাজী আবদুল মান্নান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব ডা. গাজী আবদুল হক, শিকক্ষ-কর্মচারী ঐক্যজোটের সহকারী মহাসচিব জাকির হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য কাদের গনি চৌধুরী, বাংলাদেশ বিএফইউজের কার্যনির্বাহী সদস্য আহমেদ করিম, মফস্বল সাংবাদিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, চিকিত্ক নেতা ডা. বিপ্লবউজ্জামান, সাংবাদিক নেতা মোদাব্বের হোসেন প্রমুখ।
প্রেসক্লাবে সংহতি সমাবেশ : জাতীয় প্রেসক্লাবে ১২ জুন অনুষ্ঠিত আমার দেশ পরিবারের সঙ্গে সংহতি সমাবেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে অবিলম্বে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশের সুযোগ করে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, আইন ও শিক্ষাবিদরা।
পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবি করে তারা বলেন, আইন ও তথ্যপ্রবাহকে নিজের গতিতে চলতে না দিলে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এটা গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য শুভ হবে না বলে তারা সরকারকে সতর্ক করে দেন। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দৈনিক আমার দেশ পরিবার আয়োজিত সংহতি সমাবেশ বেলা ১১টায় শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে। এতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন দেশের বিশিষ্ট গুণীজন। তারা আমার দেশ পুনঃপ্রকাশ এবং সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে আগত বিশিষ্টজনরা আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশ ও মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিশেষভাবে তৈরি সংহতি ব্যানারে স্বাক্ষর করেন।
সংগ্রামের প্রথম দশ দিন : এদিন জাতীয় দৈনিকগুলোতে দৈনিক আমার দেশের ডিক্লারেশন বাতিলের সংবাদ প্রকাশ হয়। পাশাপাশি সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে এদিন দৈনিক আমার দেশের সাংবাদিকসহ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পাশাপাশি এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ আদালতে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায়। তবে আদালত রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর না করে তাকে তিন দিনের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। মাহমুদুর রহমান কারাগারে যান। এ ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়। একই ইস্যুতে জাতীয় সংসদে বিএনপি দু’বার ওয়াকআউট করে। সংসদ হয়ে ওঠে উত্তপ্ত।
এদিকে বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে যুক্তরাজ্য। চ্যানেল ওয়ানের পর দৈনিক আমার দেশ বন্ধ করে দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এক প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এটি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। মিডিয়ার স্বাধীনতা কার্যকর ও টেকসই গণতন্ত্রের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
একই দিন মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদককে গ্রেফতার এবং পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানকে মুক্তিদান ও পত্রিকাটির প্রকাশনা শুরুর জোর দাবি জানায়।
৩ জুন : বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় দৈনিক আমার দেশ বন্ধ ঘোষণা নিয়ে সম্পাদকীয় ছাপা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দাবি করেন, সংবাদ মাধ্যম বন্ধের চিন্তা সরকারের নেই। প্রকাশকের মামলার কারণে দৈনিক আমার দেশ বন্ধ হয়েছে। পাশাপাশি দৈনিক আমার দেশ চালু ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করে বিভিন্ন সাংবাদিক, পেশাজীবী সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে। এদিন জেলগেটে পুলিশ মাহমুদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একই মামলায় মাহমুদুর রহমানকে রিমান্ডে নিতে পুলিশ আবারও আবেদন জানায়। আদালত ৭ জুন শুনানির দিন ধার্য করেন এবং মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর সুবিধা না দিয়ে নির্জন কক্ষে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।
৪ জুন : মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও দৈনিক আমার দেশ-এর প্রকাশনা পুনর্বহালের দাবিতে দেশ-বিদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত থাকে।
৫ জুন : জাতীয় প্রেসক্লাবে মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের পর একই মামলায় মাহমুদুর রহমানকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন উদ্দেশ্যমূলক। একই দিন মাহমুদুর রহমানকে বেআইনিভাবে রিমান্ডে নেয়ার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় আমার দেশ-এর সাংবাদিক-কর্মচারীরা তাত্ক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন। মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের সময় এবং গত বুধবার কোর্টে হাজিরার সময় পুলিশকে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে এদিন তাকে চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সমাবেশে সাংবাদিকরা বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককে গ্রেফতার করে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। সমাবেশে সাংবাদিকরা আমার দেশ পত্রিকা পুনঃপ্রকাশ এবং মাহমুদুর রহমানের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আমার দেশ-এর পাশে খ্যাতিমান সম্পাদকরা : জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকরা এক ঐতিহাসিক যুক্ত বিবৃতিতে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করে বলেন, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা বাতিল এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতা সম্পাদকরা হলেন—ইনডিপেন্ডেন্ট সম্পাদক মাহবুবুল আলম, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, দি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাসস-এর সাবেক প্রধান সম্পাদক ফয়েজ আহমদ, আমার দেশ-এর সাবেক সম্পাদক আতাউস সামাদ, সাপ্তাহিক মৌচাকে ঢিল সম্পাদক শফিক রেহমান, নতুন দিগন্ত সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীন, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, এখন সম্পাদক শওকত মাহমুদ, নিউ এইজ সম্পাদক নূরুল কবীর, আমাদের সময় সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, যুগান্তর সম্পাদক সালমা ইসলাম এমপি, নিউ নেশন সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, বাংলা নিউজ ২৪ ডটকম প্রধান সম্পাদক আলমগীর হোসেন, দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিডিনিউজ ২৪ ডটকম সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক শাজাহান সরদার, সকালের খবর সম্পাদক রাশিদ উন নবী, শীর্ষ নিউজ ডটকম সম্পাদক একরামুল হক।
৬ জুন : দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’। চিঠিতে বন্দি অবস্থায় মাহমুদুর রহমানের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
৭ জুন : দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে তথাকথিত জিজ্ঞাসাবাদের নামে রিমান্ডে নেয়ার সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের ৩৬ জন এমপি। এক বিবৃতিতে তারা সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ব্যর্থতা ও অপশাসনের সংবাদ সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরার কারণে দৈনিক আমার দেশ ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সে কারণেই পত্রিকাটি এবং এর সম্পাদক হিসেবে মাহমুদুর রহমান সরকারের ক্রোধের শিকার হয়েছেন।
একই দিন দৈনিক আমার দেশ-এর প্রকাশনা (ডিক্লারেশন) বাতিলের সরকারি আদেশ চ্যালেঞ্জ এবং মাহমুদুর রহমানকে পত্রিকাটির প্রকাশক ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়। বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে আমার দেশ পাবলিকেশনস লিমিটেডের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার-উন-নবী মজুমদার এ রিট আবেদন করেন।
৮ জুন : দৈনিক আমার দেশ-এর প্রকাশনা পুনরায় চালু ও এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করে সাংবাদিক ও পেশাজীবীরা। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত এ কর্মসূচি সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলে।
বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান, আতাউস সামাদ, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি শওকত মাহমুদ ও সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন সবুজ, ডিইউজে সভাপতি আবদুস শহিদ, এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, আমার দেশ-এর ডেপুটি এডিটর সৈয়দ আবদাল আহমদ, বার্তা সম্পাদক মুজতাহিদ ফারুকী, সিটি এডিটর জাহেদ চৌধুরী, ফকরুল আলম কাঞ্চন, আলাউদ্দিন আরিফ, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মীর আহমেদ মীরু, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ আকন, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মুকুল তালুকদার, মনিরুজ্জামান মনির, কবি এরশাদ মজুমদার, কবি আবদুল হাই শিকদার, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
৯ জুন : আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা (ডিক্লারেশন) বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি হয়। বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়। তবে আদেশ দেয়ার আগে আমার দেশ-এর আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক এবং সরকারপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান তাদের অসমাপ্ত বক্তব্য রাখার আবেদন জানান।
১০ জুন : দৈনিক আমার দেশ-এর প্রকাশনা বাতিল ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘বস্তুনিষ্ঠ ও সাহসী সাংবাদিকতায় অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা বাতিল ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের ঘটনা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। পত্রিকাটির প্রকাশককে গোয়েন্দা দফতরে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা দিতে বাধ্য করা, পত্রিকাটির ডিক্লারেশন বাতিল, কোনো পরোয়ানা ছাড়াই সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার ও নির্যাতন কোনো নির্বাচিত সরকারের আমলে এক নজিরবিহীন ন্যক্কারজনক ঘটনা। পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ করে সরকার এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাত শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারীকে বেকারত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে। একটি নির্বাচিত সরকার পরমতসহিষ্ণুতা, মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং জনগণের তথ্য জানার অধিকার পুরোপুরি অস্বীকার করে ভিন্নমতের কণ্ঠরোধের পথ বেছে নেয়ায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করি এ ঘটনা দেশে গণতন্ত্রচর্চা ও নির্বাচিত সরকারের ভাবমূর্তিও প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আমরা দৈনিক আমার দেশ বন্ধ এবং এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা অনতিবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের মুক্তি, সাংবাদিক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে
দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আমার
দেশ-এর প্রকাশনা অব্যাহত রাখার সুযোগ দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন, বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, প্রফেসর ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি মনিরুজ্জামান মিঞা ও ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, ফরহাদ মজহার, প্রফেসর ড. মাহবুবউল্লাহ, প্রফেসর ইউএবি রাজিয়া আক্তার বানু, প্রফেসর ড. আবু আহমেদ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, প্রফেসর তাজমেরী এসএ ইসলাম, কবি আল মুজাহিদী, জেড এম তাহমিদা বেগম, প্রফেসর খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান এবং কবি আবদুল হাই শিকদার।

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/07/19/35359
-------------------------------------------------------------------------


আমার দেশ বন্ধ ও মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার : আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া
বশীর আহমেদ
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ, পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার এবং তার ওপর চালানো অমানুষিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ঘনীভূত হয় আন্তর্জাতিক মহলে। মানবাধিকারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পত্রিকা বন্ধের বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে আমার দেশ-এর প্রকাশনা চালু, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও পুলিশি হেফাজতে তার ওপর চালানো নির্যাতনের তদন্ত দাবি করা হয়। সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকারি নির্দেশে পত্রিকা বন্ধের ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ। সরকারের বিভিন্ন বেআইনি কর্মকাণ্ডের সমালোচনা, মানবাধিকারের পক্ষে অবস্থান এবং প্রধানমন্ত্রীর ছেলের দুর্নীতির খবর প্রকাশের কারণেই আমার দেশ-এর প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়া হয় বলে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ
অবিলম্বে দৈনিক আমার দেশ-এর প্রকাশনা চালু, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও পুলিশ হেফাজতে তার ওপর চালানো নির্যাতনের তদন্ত দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ। গত ৮ জুলাই নিউইয়র্কে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, অবিলম্বে আমার দেশ-এর প্রিন্টিং লাইসেন্স পুনর্বহাল করে পত্রিকার প্রকাশনা পুনরায় চালুর ব্যবস্থা করুন। সরকারের উচিত অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি দেয়া অথবা দ্রুত তার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা। পুলিশ হেফাজতে মাহমুদুর রহমানের ওপর যে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ তিনি করেছেন তা অত্যন্ত গুরুতর। আদালতে মাহমুদুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী এলিট ফোর্সের সদস্যরা চোখ বেঁধে, জানালার সঙ্গে তার হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে তাকে কোনো ধরনের খাবার ও পানি দেয়া হয়নি।
বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক তাজ থাপা বলেন, পত্রিকা বন্ধ করে তার সম্পাদককে জেলখানায় আটক রাখার ঘটনা প্রমাণ করছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও স্বাধীন মত প্রকাশের ব্যাপারে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভীত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সহিংসতা গণতন্ত্রের মূলনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবে বলে জোর প্রচারণা চালিয়েছিল।
দৈনিক আমার দেশ-এর প্রকাশনা বন্ধ এবং সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিবৃতিতে তাজ থাপা বলেন, গত ২ জুন মধ্যরাতে শতাধিক পুলিশ জোর করে আমার দেশ কার্যালয়ে ঢুকে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ৩৪টিরও বেশি মামলা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৮টিই হলো মানহানি মামলা। পুলিশ জোর করে পত্রিকার প্রেস বন্ধ করার পাশপাশি প্রকাশনার লাইসেন্স বন্ধ করে দেয়। একই সঙ্গে ওই রাতে ছাপানো পত্রিকার কপিগুলোও নিয়ে যায় পুলিশ। ওই রাতে কর্মরত অনেক সাংবাদিক সেদিনের পুলিশি হামলায় আহত হন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের সমালোচনা করে সংবাদ প্রকাশের ফলে মাহমুদুর রহমান ও তার সহকর্মী সাংবাদিকরা বাংলাদেশ সরকারের চাপের মুখে ছিলেন। পত্রিকাটি সেই থেকে এখনও (বিবৃতি দেয়ার সময় পর্যন্ত) বন্ধ রয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ সরকার তাদের এই পদক্ষেপের যৌক্তিকতা প্রমাণের জন্য মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছে। ইউরোপের মানবাধিকার বিষয়ক আদালতের রায়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদপত্র বন্ধের ঘটনা নিশ্চিতভাবেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। বিবৃতিতে তাজ থাপা আরও বলেন, সরকারের দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলাটা যে কোনো গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদপত্র বন্ধ বা পুলিশ পাঠিয়ে হামলা না চালিয়ে বরং সরকারের উচিত সমালোচনাগুলো থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যায়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া। সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রতারণার মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদপত্র বন্ধ করার যৌক্তিকতা প্রমাণ করা যায় না।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচের পক্ষ থেকে বলা হয়, অবিলম্বে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি দিন অথবা দ্রুত তার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করুন। একই সঙ্গে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাপারে যেসব তথ্য জোগাড় করা হয়েছে, সেগুলোর যথার্থতা পুরোপুরি সঠিকভাবে যাচাই করুন।
আমার দেশ-এর প্রকাশক মোহাম্মদ হাসমত আলী সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে জোর করে দুটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে। অন্যদিকে সরকারি কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসমত আলী দুটি বিবৃতিতে সই দিয়েছেন। এর ভিত্তিতেই মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মানবাধিকার রক্ষা এবং নির্যাতনবিরোধী আন্তর্জাতিক কনভেনশন আইসিসিপিআর অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকারের উচিত মাহমুদুর রহমানের ওপর চালানো নির্যাতনের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নির্যাতনের যুগের অবসান হয়েছে।
ফ্রন্ট লাইন
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ফ্রন্ট লাইন আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ এবং এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে পত্রিকা চালু এবং মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় রিমান্ডের নামে মাহমুদুর রহমানের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের আশঙ্কা রয়েছে। গত ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা চিঠিতে সংগঠনের পরিচালক মেরি লাউলর এই দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে বলা হয়, সরকারের সমালোচনা, গণমাধ্যমের ওপর দমন নীতি, নানা ধরনের নির্যাতন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর ছেলের আর্থিক দুর্নীতির খবর প্রকাশের কারণে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার ও আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করা হয়েছে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে ফ্রন্ট লাইন। চিঠিতে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা বিভিন্ন মামলার বিবরণ তুলে ধরে সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা মনে করি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে দৈনিক আমার দেশ এবং পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সোচ্চার হওয়ায় এই ধরনের মামলা দেয়া হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি দেয়া হোক।
সিপিজে
বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষকারী প্রতিষ্ঠান কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করে। সংগঠনের পক্ষ থেকে এক প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, কেন পুলিশ দিয়ে আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করা হয়েছে তার পুনঃব্যাখ্যা বাংলাদেশ সরকারকে দিতে হবে। প্রকাশনা ত্রুটির নামে মধ্যরাতে দুই শতাধিক পুলিশ দিয়ে একটি সংবাদপত্র বন্ধ করার ঘটনা সরকারের চরম বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ঘটনা প্রমাণ করেছে সরকার বিরোধী সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করাই এই ধরনের পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য। সরকারের উচিত অবিলম্বে এই বেআইনি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা।
রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারস
আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ ও এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারে তীব্র নিন্দা জানায় রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারস। সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার এবং আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। গভীর রাতে পত্রিকা অফিসে অভিযান চালানো, সাংবাদিকদের মারধর এবং একজন সম্পাদককে গ্রেফতারের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। অবিলম্বে আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা চালু এবং মাহমুদুর রহমানের মুক্তির জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা আহ্বান জানাই।
যুক্তরাষ্ট্র
আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ এবং এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান গণমাধ্যম পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র সরকার সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা মনে করি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ওই মুখপাত্র আরও বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন।
যুক্তরাজ্য
আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ ও মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় ব্রিটেন। ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের একজন মুখপাত্র এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন ব্রিটেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কার্যকর ও টেকসই গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/07/19/35306

আমার দেশ প্রকাশে কোনো বাধা নেই: সুপ্রিম কোর্ট




Sun 18 Jul 2010 1:04 PM BdST

rtnn ঢাকা, ১৮ জুলাই (আরটিএনএন ডটনেট)-- দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা স্থগিত করে সরকারের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এর আগে সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল করে পত্রিকাটির প্রকাশনার পক্ষে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিল। কিন্তু সরকারের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ওই আদেশ ১৫ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি স্থগিত করে দেন।

চেম্বার বিচারপতির ওই আদেশ আজ রবিবার প্রত্যাহার করে নেয় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। আদালতের আদেশে বলা হয়, ‘স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।’

আজ বেলা সাড়ে ১২টায় প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

এ রায়ের ফলে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশে আর কোনো বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন আমার দেশ এর আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক।

আদালতে আজ শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক, ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ প্রমুখ।

এদিকে পত্রিকার উপ-সম্পাদক আবদাল আহমদ আরটিএনএনকে জানিয়েছেন, আগামীকাল পত্রিকা প্রকাশ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১ জুন বৈধ প্রকাশক না থাকার অভিযোগে আমার দেশের প্রকাশনা বাতিল করা হয়। পরে ২ জুন ভোররাতে পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরটিএনএন ডটনেট/এমইউএ/এমএম_১৩৪৯ ঘ.

http://rtnn.net/details.php?id=26143&p=1&s=3


আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশে বাধা নেই

ঢাকা, ১৮ জুলাই (শীর্ষ নিউজ ডটকম): দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশে চেম্বার জজের স্থগিতাদেশ খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রোববার প্রধান বিচারপতি মো. ফজলুল করিমের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ সংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে এ রায় দেয় আদালত। উল্লেখ্য, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশনা অবৈধ সংক্রান্ত অভিযোগে ঢাকা জেলা প্রশাসকের এক আদেশ বলে গত ১ জুন পত্রিকাটির

প্রকাশনা বন্ধ করে দেয় সরকার। জেলা প্রশাসকের এ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত প্রকাশক আনোয়ার-উন-নবী হাইকোর্টে আবেদন করেন।গত ১০ জুন জেলা প্রশাসকের এ আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের ওই রায়ের পর ১১ জুন থেকে ১৫ জুন মোট ৫ দিন পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। কিন্তু হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ আপিল করলে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি এসকে সিনহা গত ১৫ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে দেয়। চেম্বার বিচারপতির এ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আমার দেশ পত্রিকার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করা হয়। রোববার ওই আপিলের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতির স্থগিতাদেশ খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট।

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার পক্ষে শুনানি করেন বিচারপতি টিএইচ খান, ব্যারিস্টার রফিকুল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। সরকার পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এনকে রাহমান।

আমার দেশ পত্রিকার আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক সাংবাদিকদের জানান, এ রায়ের ফলে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশে আর কোন বাধা রইল না। এটি আমাদের নয়, সাংবাদিকদের জয়। স্বাধীন সাংবাদিকতার জয়।

তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান কোন বিষয় নয়। মাহমুদুর রহমান উপলক্ষমাত্র। সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমুন্নত এবং নিশ্চিত হলো।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এ রায়ের ফলে সংবাদপত্র এবং মিডিয়ার বিজয় হলো।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরকার অসত উদ্দেশ্যে আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা বাতিল করেছে এবং মাহমুদুর রহমানের আবেদন এক বছর পর্যন্ত ঝুলিয়ে রেখেছে। ১ম পুলিশী তদন্তে বলা হয়, কোন আপত্তি নেই। কিন্তু এক বছর পর ভ্যারিফিকেশনে বলা হয়, দেয়া যাবে না। আপিল বিভাগের এ রায়ের ফলে সংবাদপত্র ভারমুক্ত হলো। আশা করি মাহমুদুর রহমানও একই প্রক্রিয়ায় মুক্তি পাবে। সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হবে।

(শীর্ষ নিউজ ডটকম/ জেডএইচ/ জেইউ/ এমএইচ/১৪.৩০ ঘ.)
http://www.sheershanews.com/index.php?option=com_content&view=article&id=22550:2010-07-18-06-38-12&catid=52:2009-07-24-13-37-08&Itemid=59

Friday 16 July 2010

রক্ষীবাহিনীর সংস্কৃতিতে ফিরে এসেছে সরকার: মওদুদ

Fri, Jul 16th, 2010 1:35 pm BdST

ঢাকা, জুলাই ১৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বর্তমান সরকারকে 'দুর্বল সরকার' হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।

তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার রিমান্ডের নামে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

শুক্রবার সকালে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব অভিযোগ করেন।

মওদুদ আহমেদ বলেন, "পুলিশ-র‌্যাবের মাধ্যমে সরকার অতীতের রক্ষীবাহিনীর সংস্কৃতিতে ফিরে এসেছে। দিন দিন রিমান্ডে নিয়ে বিরোধী মতের মানুষকে নির্যাতন করছে। এই মাত্রা বেড়েই চলছে। সরকারের এ রকম রাষ্ট্রীয় নির্যাতন মানুষ পছন্দ করে না। এর জন্য একদিন তাদের মাসুল দিতে হবে।"

জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী ফোরামের উদ্যোগে 'রিমান্ডে নির্যাতন ও মানবাধিকার' শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী।

নির্বাচিত সরকারের আমলে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের কঠোর সমালোচনা করে সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেন, "দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। সরকারের এই কর্মকাণ্ড থেকে প্রমাণ হয়, তাদের সঙ্গে অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো তফাৎ নেই।"

তিনি সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার আহবান জানান।

মওদুদ বলেন, "আন্দোলনের বিষয়ে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। একে (আন্দোলন) ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে, যাতে জনগণের দাবির মুখে একদিন সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।"

'৭২-৭৫ সালে রক্ষীবাহিনীর কর্মকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, "তাদের ওই অপকর্মের জন্য আওয়ামী লীগ ২১ বছর ক্ষমতায় আসতে পারেনি। আজ আবার তারা সেই সংস্কৃতিতে ফিরে এসেছে।"

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, "সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুব সংগঠন যুবলীগকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না বলেই আইন-শৃঙ্খলার কোনো উন্নতি হবে না।"

তিনি অভিযোগ করে বলেন, "বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় আত্মবিশ্বাসী নয় বলে বিরোধী দলের ওপর নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। জাতীয় স্বার্থ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।"

সংগঠনের প্রধান কোরবান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলাম, ঢাকা ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও সাবেক সচিব এ এস এম সোলায়মান চৌধুরী।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএম/কেএমএস/১৩৩০ ঘ.

http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=131513&cid=3

'৭২ এ ফিরলে জামায়াত নিষিদ্ধ হবে: সুরঞ্জিত

Fri, Jul 16th, 2010 2:14 pm BdST

ঢাকা, জুলাই ১৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফেরার মাধ্যমে নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির অর্থ ও অস্ত্রের যোগানদাতা এবং সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে।

তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফেরার জন্য বৃহস্পতিবার সাংবিধানিক কমিশন গঠনের তাগিদ দিয়েছেন।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ" শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছিলেন সুরঞ্জিত।

সভায় আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত আরও বলেন, "দেশের আইন-আদালত মেনে যে কেউ গণতান্ত্রিক অধিকারবলে রাজনীতি করতে পারে। তবে প্রকাশ্যে গণতন্ত্র আর গোপনে জঙ্গিবাদের কথা বলে কেউ রাজনীতি করতে পারে না।"

যুদ্ধাপরাধ বিচারের অগ্রগতিতে জনগণ সন্তুষ্ট নয় বলে মন্তব্য করে প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, "বর্তমান সরকারের মন্ত্রী মহোদয়গণ যত কম কথা বলবেন, সরকার তত বেশী অঙ্গীকার পালন করতে পারবে। এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও সহজ হয়ে যাবে।"

সুরঞ্জিত বলেন, "দ্রুততম সময়ে এবং গ্রহণযোগ্য মান বজায় রেখে যুদ্ধপরাধের বিচারে আইনজীবী প্যানেলে আরো যোগ্য ও ন্যায়নিষ্ঠ লোক প্রয়োজন। তদন্ত কাজে বাড়াতে হবে জনবল।"

'অসাংবিধানিক পথের' রাজনীতিতে অভ্যস্ত হওয়ার কারণে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ও মওদুদ আহমদের মতো রাজনীতিকরা ১৯৭২ সালের সংবিধান ও যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধিতা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু একাডেমীর সভাপতি হেমায়েত উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং মো. হুমায়ুন কবীর মিজির পরিচালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ করিম ও মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. দিলীপ রায়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/কেএমএস/১৪০১ ঘ.

http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=131516&cid=3

যুদ্ধাপরাধীর সমর্থককে 'তুই রাজাকার' ডাকুন: কামরুল

Fri, Jul 16th, 2010 1:52 pm BdST

ঢাকা, জুলাই ১৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারীদের 'তুই রাজাকার' নামে ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ছায়ানট ভবনে এক আলোচনা সভায় শিশু- কিশোরদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

শিশু-কিশোর সংগঠন ঘাসফুল 'লাখো শিশু হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিপক্ষে দাঁড়াবেন না' শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। ঘাসফুল সংগঠনটি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা হয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় বিএনপি নেতারা বাধা সৃষ্টি করছে মন্তব্য করে কামরুল ইসলাম বলেন, "শুধু বিএনপি নেতারা নয়, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে যারা অবস্থান নেবে তাদেরকে তোমরা (শিশু-কিশোর) 'তুই রাজাকার' বলে ডাকবে।"

কামরুল ইসলাম বলেন, "প্রথমেই চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হবে।"

মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নিতুন কুণ্ড সিংহকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী হত্যা করেছে-এ অভিযোগ করে তিনি বলেন, "সালাউদ্দিনের মতো আরো অনেক যুদ্ধাপরাধীকে ঠাঁই দিয়েছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।"

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে দেশ ও জাতিকে পাপমুক্ত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "ইতোমধ্যে কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের শিগগির ধরা হবে।"

যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, "যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বড়দের মতো তোমরাও (শিশু-কিশোর) ভূমিকা রাখতে পারো।"

মুক্তিযুদ্ধের সময় শিশু কিশোররা নানা সহযোগিতা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন সভা সেমিনারে যোগ দিয়ে তোমাদের অনুভূতির কথা জানাতে পারো।"

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক আবু জাফর সিদ্দীকী, আওলাদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোল্লা আবু কাওছার প্রমুখ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এআরআর/কেএমএস/১৩৪৪ ঘ.

http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=131514&cid=3

মওদুদীর লেখা বই প্রত্যাহার

Qadir Kollol

কাদির কল্লোল

বিবিসি বাংলা

বাংলাদেশে ধর্ম সম্পর্কিত সরকারী প্রতিষ্ঠান ইসলামী ফাউন্ডেশন বলছে দেশের দু লক্ষ সত্তর হাজার মসজিদে যে চব্বিশ হাজার গ্রন্থাগার রয়েছে সেখান থেকে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদীর লেখা সব বই সরকারী নির্দেশে সরিয়ে ফেলা হয়েছে৻


সরকার বলছে ইসলাম ধর্মের আদর্শের সঙ্গে বইগুলো সামঞ্জস্যপুর্ণ নয় এবং বইগুলো বিতর্কিত৻

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিঞা সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথার সত্যতা নিশ্চিত করেন যে বইগুলো মসজিদগুলোর গ্রন্থাগার থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে৻

বইগুলো গ্রন্থাগার থেকে সরিয়ে ফেলা হলেও বাংলাদেশে এগুলো নিষিদ্ধ করা হয়নি৻


বাংলাদেশে বিরোধী জোটের অন্যতম শরিক, ইসলামপন্থী দল জামায়তে ইসলামী দলের আদর্শগত ভিত্তি হিসেবে আবুল আলা মওদুদীর বই ব্যবহার করে৻

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী দেশে দুই লাখ সত্তুর হাজার মসজিদ আছে। এরমধ্যে ২৪ হাজার মসজিদে গ্রন্থাগার রয়েছে, যে গুলোর পরিচালনা করে থাকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন৻

মসজিদভিত্তিক এই গ্রন্থাগার গুলো থেকে জামায়াতে ইসলামীর মূল তাত্ত্বিক নেতা আবুল আলা মওদুদীর লেখা সব বই সরিয়ে ফেলা হয়েছে –এমন তথ্য ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া বৃহস্পতিবার সংসদে তুলে ধরেছেন।

আবুল আলা মওদুদীর লেখা সব বই ইসলাম এবং কোরআন, সূন্নাহ’র পরিপন্থী, যে বইগুলোতে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে৻

শামীম মোহাম্মদ আফজাল


ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল শুক্রবার বিবিসিকে বলেছেন, আবুল আলা মওদুদীর লেখা ইসলামের পরিপন্থী একটি রাজনৈতিক দর্শনে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এবং জঙ্গীবাদে উস্কানি দেয়৻ সে কারণেই এধরনের বই মসজিদভিত্তিক গ্রন্থাগারগুলো থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন,

‘আবুল আলা মওদুদীর লেখা সব বই ইসলাম এবং কোরআন, সূন্নাহ’র পরিপন্থী, যে বইগুলোতে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে৻‘

মসজিদভিত্তিক পাঠাগারগুলো থেকে আবুল আলা মওদুদীর লেখা বই সরিয়ে নেওয়া হলেও এই বইগুলো কিন্তু বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয়। মওদুদীর লেখা নিষিদ্ধ করা না করা প্রশ্নে সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মো: আফজাল বলেছেন, ‘আবুল আলা মওদুদীর লেখা বই অনুবাদ করে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে যে প্রকাশ করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি নেই। এমন তথ্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাছে রয়েছে৻‘

আবুল আলা মওদুদীর লেখা বইগুলোতে জঙ্গীবাদ বা উগ্রতাকে মদত দেওয়ার বা তাতে উস্কানি দেওয়ার মতো কিছু নেই৻

এ টি এম আজহারুল ইসলাম

মসজিদ ভিত্তিক গ্রন্থাগারগুলো থেকে আবুল আলা মওদুদীর বই সরিয়ে নেওয়ার এমন পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেছে জামায়াতে ইসলামী দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম৻ তিনি বলেছেন,

‘আবুল আলা মওদুদীর লেখা বইগুলোতে জঙ্গীবাদ বা উগ্রতাকে মদত দেওয়ার বা তাতে উস্কানি দেওয়ার মতো কিছু নেই।‘

এছাড়া তিনি মন্তব্য করেন, লেখায় কোন বিষয়ে ভিন্ন মত আসতে পারে, কিন্তু ঐ বইগুলোতে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা নেই বলে তারা মনে করেন।

এদিকে, আবুল আলা মওদুদীর লেখা সব বই এমন সময় মসজিদভিত্তিক পাঠাগারগুলো থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে, যখন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামীসহ দলটির শীর্ষ পাঁচজন নেতাকে কিছুদিন আগে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জামায়াতের এই পাঁচজন নেতাকে রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা সর্ম্পকিত বিভিন্ন মামলায়।

http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2010/07/100716_ubmaududi.shtml

Thursday 15 July 2010

কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার ছেলেসহ সাতজন ২ দিনের রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক | তারিখ: ১৫-০৭-২০১০

আদালত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লার ছেলেসহ সাতজনকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল ও বিচারকাজে ব্যাঘাত সৃষ্টির অভিযোগে গতকাল বুধবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। মহানগর হাকিম এ টি এম আল-মামুন প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক জানান, কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লাকে গতকাল আদালতে হাজির করা হলে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আদালত প্রাঙ্গণে কোনো প্রকার মিছিল বা নাশকতা সৃষ্টি করেননি। তাঁদের তাঁর (আবদুর রাজ্জাক) চেম্বার থেকে ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইমাম, কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিলসহ গ্রেপ্তার অন্য ব্যক্তিরা হলেন মাশকুর মাহমুদ, জহিরুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ, নুরুল হক ও জামাল হোসেন।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-07-15/news/78915

বাংলাদেশে ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ২২ হাজার এজেন্ট কাজ করছে

উইং কমান্ডার (অব.) হামিদুল্লাহ খান
মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার

জাতীয় প্রেসক্লাবে এগ্রিকালচারিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ আয়োজিত �সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণ : বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে

সংগ্রাম, ১৫/০৭/২০১০

এগ্রিকালচারিস্টস ফোরামের গোলটেবিল

দেশে মোসাদের ২২ হাজার এজেন্ট কাজ করছে -- হামিদুল্লাহ খান
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক উইং কমান্ডার (অব.) এম হামিদুল্লাহ খান বীর উত্তম বলেছেন, বাংলাদেশে ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ২০ থেকে ২২ হাজার এজেন্ট কাজ করছে। এরাই রাজনৈতিক নেতাদের গুপ্ত হত্যা করছে।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এগ্রিকালচারিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণ : বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এইউ রাজিয়া আক্তার বানু, কৃষিবিদ ফজলুল হক, শেখ মোহাম্মদ মাসউদ প্রমুখ।
এম হামিদুল্লাহ খান আরো বলেন, সরকার বিদেশীদের কাছে দস্তখত দিয়ে আসায় তারা কোন সমালোচনা গায়ে মাখছে না। ফলে দেশের মানুষ ক্রমাগত সরকারের প্রতি বিরক্ত হচ্ছে। একদিন এর বিস্ফোরণ ঘটবে। সেদিন আর শেষ রক্ষা হবে না। তিনি বলেন, সরকারের কোন একটি কাজেও গণতন্ত্র নেই। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ মেরুদন্ডহীন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীকে নতজানু করা হয়েছে। অনেকে বলেন, দেশ আবার ১/১১ এর দিকে যাচ্ছে। কিন্তু আমি বলতে চাই দেশ বর্তমানে ১/১১-এর মধ্যেই রয়েছে।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর সুগভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বর্তমানে মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে গেছে। গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। মানুষের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী একটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দল হলেও তাদের বয়োবৃদ্ধ শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সরকার বিরোধী দলকে দমন করছে। এভাবে চলতে থাকলে সরকারের জন্যও তা সুখকর হবে না। তিনি একশ্রেণীর সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, মিথ্যা সিন্ডিকেট সংবাদ প্রকাশ করা থেকে বিরত হোন, অন্যাথায় এর দায়দায়িত্ব একদিন আপনাদেরও বহন করতে হতে পারে। সোলায়মান চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার চাটুকারদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে গেছে। প্রশাসনের কিছু চাটুকার কর্মকর্তা সরকারকে খুশি করতে অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি কাজ করছে। কিন্তু অন্যায় করে কোনদিন পার পাওয়া যায় না। তিনি মানুষের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান

Wednesday 14 July 2010

Stand Against Awami Brutality June 2010

Stand Against Awami Brutality

Awami Brutality June 2010

Awami Brutality June 2010


Bangladesh Watch Canada Protest Arrest

Bangladesh Watch Canada Protest Arrest

Satament_American Muslim Taskforce on Civil Rights and Elections

Satament_American Muslim Taskforce on Civil Rights and Elections_Clinton


Daily Amardesh Closed Down | Mahmudur Rahman Arrested

Mahmudur Rahman Arrested

পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু রমনার ওসিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

আদালত প্রতিবেদক
রাজধানীর মগবাজারের সিএনজি অটোরিকশা ব্যবসায়ী বাবুল গাজীকে হত্যার অভিযোগে রমনা থানার ওসি শিবলী নোমানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য ও পুলিশের দুই সোর্সের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া বাবুল গাজীর স্ত্রী নাছিমা আক্তার শুভ গতকাল বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এ মামলা করেন।
মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান তালুকদার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। আগামী ১৬ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলতাফ হোসেন, কনস্টেবল সিরাজ, হিরন ও নান্নু এবং পুলিশের সোর্স আনিসুর রহমান ও শাহাদত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ জুন রাতে বাবুল গাজীকে মগবাজার টিঅ্যান্ডটি কলোনির একটি চায়ের দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায় রমনা থানার পুলিশ। এরপর মগবাজার টিঅ্যান্ডটি কলোনি আনসার ক্যাম্পে নিয়ে তাঁকে নির্যাতন চালানো হয়। সেখানে এসআই আলতাফ হোসেন বাবুল গাজীকে বলেন, 'তোর একটি সিএনজি অটোরিকশা আমরা আটক করেছি দুজন ড্রাইভারসহ। চুরির মামলা দিয়েছি তোর ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে।' আলতাফ তখন অটোরিকশাটি ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য বাবুল গাজীর কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। রাজি না হলে আলতাফ বলেন, 'সিএনজি তো পাবিই না, দুজন চালককেও ফেরত পাবি না। চালক মমিন ও করিমের সঙ্গে তোকেও ওই
মামলায় ঢুকিয়ে দেব।' পরে বাধ্য হয়ে বাদী অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কয়েক ভাগে ৭০ হাজার টাকা দেন। অভিযোগে আরো বলা হয়, এসআই আলতাফ এবং কনস্টেবল সিরাজ, হিরণ ও নান্নু তাঁকে (বাবুল) লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও বুট দিয়ে লাথি মেরে নির্যাতন চালায়। ওই দিন রাত ১২টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে স্বামীর লাশ দেখতে পান বাদী।
বাদী অভিযোগ করেন, পুলিশের নির্যাতনের ফলে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ঘুষ না পেয়ে রমনা থানার ওসি ও তাঁর সহকারীরা বাবুল গাজীকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেন।
মামলায় বাদী আরো অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী নিহত হওয়ার পর তাঁকে থানায় নিয়ে সাদা স্টাম্পে সই নেওয়ার চেষ্টা করেন এসআই আলতাফ হোসেন। তিনি বাদীকে দুই লাখ টাকাও দিতে চান বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। বাদী বলেন, স্টাম্পে সই না করলে তাঁর স্বামীর লাশ দিতে চায়নি পুলিশ। পরের দিন সন্ধ্যায় বাদীর অভিভাবকরা বাবুল গাজীর লাশ নিয়ে আসেন। তখন লাশের কপালের বাঁ পাশে ও চোখের পাতার ওপর গর্ত এবং চোখের নিচ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম দেখতে পান। বাদী মামলায় আরো বলেন, তাঁর স্বামী নিহত হওয়ার পর রমনা থানায় মামলা করতে গেলে ওসিসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা থানায় মামলা নেননি। বাদী স্বামী হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
বাদীর আইনজীবী রুহুল আমিন তুহিন কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশ্ব মানবাধিকার ও ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি বাদীকে আইনি লড়াইয়ে সহযোগিতা করছে।

http://www.kalerkantho.com/ ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ আষাঢ় ১৪১৭, ২ শাবান ১৪৩১, ১৫ জুলাই ২০১০

Kader Siddique stands out for Justice

স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার আলবদররা শাস্তি পেতে যাচ্ছে, এ আনন্দে প্রথমবারের মতো কপি পেষ্ট করলাম

১৪ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৫৬


একাত্তর সালে এ দেশেরই কিছু কুলাঙ্গার মানুষ পাকবাহিনীর গণহত্যা আর নির্যাতনের সহযোগীর ভুমিকা পালন করেছে। একাত্তরে আমি না জন্মালেও সমস্ত প্রমাণের কারণে নিরপেক্ষভাবে উপরের বাক্যটুকু দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। ঐ সহযোগী রাজাকার আলবদর বাহিনীর হোমড়া চোমড়াদেরকে এখন রাষ্ট্র আইনের মুখোমুখি করছে। আল্লাহ তায়ালা জুলুম কখনো মেনে নেন না, পৃথিবীতে না হলে মৃত্যুর পর হলেও শাস্তি পেতে হয়। বাংলাদেশের জন্মের আগে পরে এখন পর্যন্ত যারাই জুলুম করেছে তারা সবাই শাস্তি পাক।

বাংলাদেশে ইসলাম যারা ভালোভাবে মানতে চায়, মুসলিম পরিচয়ে মাথা উঁচু করে দাড়াতে চায়, জামাত তাদের ঘাড়ে অন্যায় একটা বোঝা তুলে দিয়েছে। ইসলামকে বুঝতে পড়তে চর্চা করতে গেলেই স্বাধীনতা বিরোধীর তকমা লেগে যাবে, যার বড় দায়ভার বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের দলীয় সিদ্ধান্তের। আমরা যারা মুসলিম আমরা জামাতের অপকর্মের দায় নিজ ঘাড়ে নিতে চাই না। কিন্তু সুদূরপ্রসারী কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইসলাম আর দেশের স্বাধীনতাচিন্তাকে মুখোমুখি শত্রু বানিয়ে যেন দাড় করানো না যায়, তা প্রতিটি সচেতন মানুষেরই ভাবা দরকার।

আজকে কালের কণ্ঠে জামাত নেতা কামারুজ্জামান এবং কাদের মোল্লার গ্রেফতারের খবর পড়তে গিয়ে মনে হলো, গত কয়েকদিন যাবত জামায়াত সংক্রান্ত বিভিন্ন খবর পড়তে গিয়ে কি একটা বিষয় বুঝি বুঝি করেও বুঝছি না। কপি পেষ্ট শুরু।

---------------------------------------------------------
নানা কৌশল অবলম্বন করেও গ্রেপ্তার এড়াতে পারলেন না জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা। একাত্তরে 'গণহত্যার' অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ হাইকোর্ট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে। এরপর তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে। সেখানে আগে থেকেই পুলিশ হেফাজতে (রিমান্ড) আছেন জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে সন্ধ্যা ৬টার দিকে। তিনি হাইকোর্টে আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা শেষে গোপনে বাসার দিকে ফিরছিলেন। ওই সময় সাদা পোশাকে পুলিশ তাঁর পথ রোধ করে। পরে পোশাকধারী পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানার উদ্দেশে নিয়ে যায়। এর দুই ঘণ্টা আগে হাইকোর্টের সামনে থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে কাদের মোল্লাকে। তাঁরা দুজনই আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

এ গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মিরপুরের আলোকদী গ্রামে সংঘটিত গণহত্যার ব্যাপারে ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে পল্লবী থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি ছিল আগে থেকেই। গোয়েন্দাদের দৃষ্টি এড়িয়ে দুই নেতা হাইকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের চেম্বারে অবস্থান নেন। দুটি মামলায় গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার ব্যাপারে তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশনা নিয়ে অনেকটা নিশ্চিন্ত হয়েই বাইরে বের হতে যান। সে ক্ষেত্রে দুজন আলাদাভাবে বের হন। পুলিশ দুই ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। হাইকোর্ট যে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়েছেন সেই মামলায় নয়, ভিন্ন মামলার আসামি হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নেতাকে নেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা কার্যালয়ে।

জানা যায়, দুটি মামলায় আগাম জামিন নেওয়ার জন্য কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লা হাইকোর্টে যান দুপুর ১২টার দিকে। তাঁরা তাঁদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের চেম্বারে অবস্থান করেন। এরপর বেলা ৩টার দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি আফজাল হোসেন আহমেদ ও বিচারপতি মো. আবদুল হাফিজের বেঞ্চে যান। আগে থেকেই দাখিল করা জামিন আবেদনের ওপর তখন শুনানি হয়। তাঁদের পক্ষে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানি করেন।
রাজধানীর শাহবাগ থানায় পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হত্যা মামলার এজাহারে এ দুজন আসামি। এ দুটি মামলাতেই জামিন নিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল মান্নান মোহন শুনানির জন্য এক দিনের সময় চান। আদালত সময় দিলেও জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লাকে গ্রেপ্তার না করতে নির্দেশ দেন।

এরপর কাদের মোল্লা বিকেল ৪টার দিকে হাইকোর্ট ছেড়ে তাঁর গাড়িতে করে বেরিয়ে যান। আদালতের পূর্বপাশের মূল ফটকের বাইরে ৪টা ১০ মিনিটে সাদা পোশাকের পুলিশ তাঁর পথ রোধ করে। পরে পোশাকধারী পুলিশ তাঁকে আটক করে। গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

কৃষ্ণপদ রায় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, 'হাইকোর্ট দুটি মামলায় কাদের মোল্লাকে গ্রেপ্তার না করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা পল্লবী থানার একটি মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছি।'

সূত্র জানায়, হাইকোর্টে অবস্থান করার সময় কামারুজ্জামান জানতে পারেন যে কাদের মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের চেম্বারে যান। সেখানে তিনি দুই ঘণ্টা কাটান। এ সময়ের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সাংসদ হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিমসহ উপস্থিত আইনজীবীদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করেন। সেখানে তাঁর দুই ছেলে ওয়ালি ও ওয়াফি উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, কামারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে_এমন আশঙ্কায় তাঁর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতে ছুটে যান। তিনি আদালতকে বলেন, 'আবদুল কাদের মোল্লাকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও আপনাদের আদেশ না মেনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। এটা আদালত অবমাননা।' তিনি বলেন, কামারুজ্জামানকেও গ্রেপ্তার করা হতে পারে। তখন আদালত বলেন, 'আপনি আদালত অবমাননার অভিযোগ নিয়ে আসতে পারেন। আমরা শুনব।' খন্দকার মাহবুব হোসেন আর ওই ধরনের আবেদন নিয়ে যাননি।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে কামারুজ্জামান তাঁর আইনজীবীর চেম্বার থেকে বের হন। তিনি আইনজীবী সমিতি ভবনের নিচে পেঁৗছে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাকে গ্রেপ্তার করার মতো আর কোনো মামলা নেই। আমার বিরুদ্ধে অন্য কোনো অভিযোগও নেই। কাজেই আমাকে গ্রেপ্তার করবে না।' তবে তিনি বলেন, 'জামায়াতের ওপর সরকার অন্যায়ভাবে জুলুম-নির্যাতন করছে।' দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিকার চান তিনি। তিনি আরো বলেন, 'জুলুম-নির্যাতনের পরিণতি কখনো ভালো হয় না।' এরপর তিনি গাড়িতে উঠে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ব পাশের মূল ফটকে গেলেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি কিছু বলতে চান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে গাড়িতে টেনে তোলে।

যে মামলায় গ্রেপ্তার : ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) শ্যামল মুখার্জি জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা ও অগি্নসংযোগের ঘটনায় সর্বমোট ৮০ জনকে আসামি করে ২০০৮ সালের ২৫ জানুয়ারি পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে ১০ জনের নাম-পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার নম্বর ৬০। মামলায় প্রধান পাঁচ আসামি হলেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী। এ ছাড়া পরিচয় পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন সরদার আবদুস সালাম, খাজা ওয়াসিম উদ্দিন (মৃত), আক্তার গুন্ডা (বর্তমানে পাকিস্তানে পলাতক), নেওয়াজ (বর্তমানে পাকিস্তানে পলাতক) এবং ডোমা (বর্তমানে পাকিস্তানে পলাতক)।
মামলার আরজিতে নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানকে হত্যাকারীদের নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এঁরা ছাড়াও আরো অনেকেই হত্যাযজ্ঞ ও অগি্নসংযোগে নেতৃত্ব দেয় এবং হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতার জন্য রাজাকার, আলবদর ও আলশামস নামে স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন গড়ে তোলে। নিজামীকে আলবদর বাহিনীর কমান্ডার ও মুজাহিদকে সংগঠনের পূর্ব পাকিস্তান শাখার কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। আবদুল কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামানসহ অন্য নেতারা মিলে একটি সুপারিশ কমিটি গঠন করে সারা দেশে হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগি্নসংযোগ এবং মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেন।


----------

সব দেখে শুনে মনে হইতেসে শুধু 'শেখ অলস ছেলে' হইলে কর্মসাধন হইবে না। 'শেখ অলস ছেলে চ্যাটার্জি' হলে উত্তম হয়। সিরিয়াস চিন্তিত আছি।

মুসলিম হইলে আকীকা করিতে হয়। সনাতন :) হইলে কি করিতে হয়!! যদু মিয়াকে তার পিতা রাজা গণেশ গরুর ভিতর ঢুকাইয়া দিয়াছিলেন বলে কেউ কেউ বলিয়া থাকে, সে বড় অনাসৃষ্টি হইবে। তাহলে কি আমার চ্যাটার্জি হওয়া হইবে না? আমি কি পুলিশ সাংবাদিক জজ হিসেবে সফল হইবো না! :(( :(( :((



লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): রাজাকার নিধনের সাথে সাথে ইসলাম বধ যজ্ঞ? ;
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৫৯

http://www.somewhereinblog.net/blog/oloshcheleblog/29199261

Tuesday 6 July 2010

Crushing the opposition in Bangladesh

Zoglul Husain, UK

London 4 July 2010. Bangladesh plunged into a new and deep political crisis as the government deliberately set itself on a collision course with the opposition, which many presume to be prompted from across the border. The overt objective of the government seems to be to crush the opposition for perpetuation of its power and its covert aim being to remove the obstacles in serving the Indian interest at the cost of the country.

According to some opposition quarters, the government thus acting as the obsequious minions of a hegemonic neighbouring country is bound to bring upon Bangladesh untold peril and dire consequences and, as poetic justice, upon itself too, which would be reaping a bitter harvest and, as such, it could be quite harsh and unkind too. Obaidul Quader, a Bangladesh Awami League (BAL) leader, vented out the recognition of this realisation when he said on 2 July 2010 that the present political confrontation could be “suicidal” for both the government and the opposition.

Repression of the media:

The daily Amar Desh, a popular and powerful voice of the opposition, not belonging to any particular political party, was conspiratorially shut down as the National Security Intelligence (NSI) nabbed its publisher for six hours to get him to sign a few blank papers, which were then converted to complaints, framed by the NSI, to arrest the editor-in-charge, Mahmudur Rahman, at about 4 am on 2 June 2010 with a 200-strong police force, on ridiculously flimsy charges. After arrest, new charges of conspiracy against the state and of patronisation of Hijb-ut Tahrir, an Islamic organisation, were lodged against him, again conspiratorially.

Defying the concerns of the US and the UK embassies for freedom of the press and also defying the court order not to torture, which is forbidden by the constitution, the police later forcibly undressed him at midnight in remand, tortured and beat him up leaving him unconscious, while the paper was closed down by the supreme court for a month, within which time, new orders may be issued. In the circumstances, the future of Mahmudur and the daily Amar Desh are uncertain at this stage.

As regards the vague allegations against Mahmudur of his connections with “Islamic terrorism”, it needs to be remarked that, according to many, whatever there were in Bangladesh in the name of “Islamic terrorism”, were created in the main by India (such as JMB) and Israel (such as HuJI-B) for their ulterior motives of imparting blemish of “terrorism” and “failed state” to the country and thus making it a target of some foreign powers with the aim of subjugating the country by India in the common interest of those countries.

The hegemonic neighbouring country has continued with the same heinous conspiracy unabated, with malicious propaganda by their powerful media and pockets of influence worldwide. But it would not be out of place to mention here that the evil US-Israel-India axis of the Bush era, seems to be in the process of gradually being down-graded and dismantled in the present Obama era, in spite of defiance and circumvention by both India and Israel, which may not yield their desired result, albeit definitive conclusions cannot yet be reached for lack of unequivocal official statements backed up by discernable actions.

As to the present government’s attempt to gag the media, already previously, it closed TV channels, such as Channel-1 and Jamuna. By now, all the newspapers, indeed all print and electronic media, including online publications and websites, of Bangladesh are being controlled by the government through autocratic actions and intimidations, the TV talk shows being prevented from any dissensions and these shows are being directed to eulogies only for the government and its foreign allies. The government seems to be taking directions churned out of powerful computers of foreign lands.

“Persecution” of the BNP:

Irrespective of whether anyone supports a particular party or not, it is in the interest of the citizens in a democracy to see that human rights, democratic rights and rule of law are respected and practised and that justice prevails in matters of governance and all walks of social and political lives. Any incumbent autocracy should also learn from the history, for today’s power can evaporate tomorrow, as it generally does.

The countrywide general strike called by the Bangladesh Nationalist Party (BNP) on 27 June 2010 on their 11-point demands and supported by many opposition parties, including the Bangladesh Jamaat-e-Islami (BJI), was hugely successful and the picketing and processions of various groups of the opposition were also peaceful. But the Bangladesh Chhatra League (BCL), police and the Rapid Action Battalion (RAB), according to reports, resorted to violence as they went on attacks, which were clearly seen to be unprovoked and premeditated. In particular, certain government-sponsored acts of brutality drew public condemnation, as well as international criticism, such as, of Amnesty International.

The brutal beating up of BNP students’ affairs secretary Shahiduddin Chowdhury Annie MP jointly by BCL members and the police and later, as a total disgrace to medical profession, by BAL elements of hospital doctors and staffs when Annie was taken to hospital, was a case in point. Similarly, thoroughly condemned was the joint attack of members of BCL and RAB in the peaceful house of the BNP standing committee member Mirza Abbas, a former Mayor, who was earlier arrested the same day. The people, who gathered in the house after his arrest, were beaten up brutally including women, among them were his wife and his 85-year old mother and, as stated by his wife, about 50 people were arrested.

BNP claimed that more than one thousand of their leaders and workers were arrested on the day and more than five hundred injured. Prominent among them, in addition to the two above, were Vice-Chairman Shamsher Mobin Chowdhury, Khaleda’s advisers Prof M A Mannan and Adv Ahmed Azam, and Rajia Begum, secretary of women’s organisation, Bangladesh Jatiotabadi Mohila Dal (BJMD).

Clearly, many of these arrests were targeted in order to weaken and demolish the BNP organisation. The arrest of Mirza Abbas and filing of case against Mayor Sadek Hossain Khoka, who may be arrested later, are aimed at weakening the BNP in Dhaka. MP Annie was arrested to weaken the student organization the Bangladesh Jatiotabadi Chhatra Dal (BJCD), while BNP adviser, former foreign secretary and former ambassador to the US, Shamsher Mobin Chowdhury, to weaken foreign lobbying and Rajia Begum to weaken women’s organisation, BJMD. Similarly, the arrests of the secretaries of volunteer organisation Jatiotabadi Swechhasebok Dal, Fishermen’s organisation Motshojibi Dal etc. were targeted. The BNP termed these targeted attacks as “political persecution”.

At this present tempo, any leader of the BNP, including Khaleda, may be arrested and the BNP should have no illusions of any kind about that. The government seems to be cutting off the twigs and branches of BNP, before felling the tree. Even today (4 July 2010) Hasina claimed that Khaleda was involved in the bombing of August 21, 2004 at Hasina’s meeting. Is it a hint?

Arrest of BJI leaders:

The government previously arrested many members of Hijb-ut Tahrir, including its leader, and later banned the organisation. Previously also many of Jamaat and Shibir activists were arrested. In the RU (Rajshahi University) BCL leader Faruk murder case in February 2010 alone, more than two hundred Jamaat and Shibir activists were arrested. And now comes the crunch, the top three leaders of BJI were arrested.

On 29 June 2010, Nizami, Mojahid, and Sayedee were arrested on most laughable charges of hurting Islamic sentiments. But that this was only a ploy was apparent next day when a raft of cases, such as murder of Freedom Fighters in 1971, implication in RU BCL leader Faruk Hossain murder case, torching of vehicles during the general strike of 27 June 2010, malicious propaganda against the image of the country and its foreign friends, etc. were brought against them. And then each of them was given a remand of 16 days, which is a record number.

Today (4 July 2010), according to reports, Law minister Shafique Ahmed said that the 1971 war crimes tribunal could have the three top Jamaat-e-Islami leaders shown arrested for crimes against humanity on the basis of witnesses and evidence.

The government seems to be aiming at meting out capital punishment to a number of BJI leaders and destroying the organisations of BJI and Shibir. When the Jamat-Shibir activists demonstrated today throughout the country to protest the arrest of their leaders and workers, about one hundred activists were arrested, as reported.

According to many, Jamaat was an ally of BAL and Ershad, during the Ershad regime of 9 years, until at the end when both BAL and BJI joined the movement to bring down Ershad. Again BJI along with Ershad was an ally of BAL, during Hasina regime of 1996-2001, when at the end of it, the BJI switched sides to join a coalition with the BNP and won two ministries for Nizami and Mojahid during Khaleda regime of 2001-06. The BJI has since become a target of the BAL, while Ershad became an ally of the present BAL government.

So, which way is the political pendulum swinging?

The writing seems to be on the wall for the government. The complaint of the opposition against the government include: rampant corruption, armed terror, murders, grabbing, misrule, oppression of citizens, repression, partisan control of administration, judiciary, Anti-corruption Commission (ACC), law enforcing agencies, educational and other institutions etc. The people’s discontent and swelling rage are gradually cutting the ground from under the feet of the government.

Additionally, its declared intent to serve Indian interest at the cost of the country has added fuel to the fire. The total silence of the Hasina government against Indian border atrocities such as killing of nine hundred innocent unarmed Bangladeshi villagers in ten years by contravening the Geneva convention, and incidents such as forcible intrusion and occupation of Bangladeshi agricultural lands in the Jaintapur border area are not going unnoticed. The people are getting further enraged.



No wonder Indian media are hinting at a possible military coup in Bangladesh. Coup or not, the government is already finding itself in a tight corner. Within one and a half years of its coming to power, the government seems to have started tottering.

It is in this charged backdrop that the BNP emphatically won the Chittagong City Corporation (CCC) election held on 17 June 2010. It is the first time since 1/11 2007 that the law enforcing agencies did not interfere in the balloting system. What internal and or external influences were there at work is not crystal clear, but the returning officer Jasmine Tuli set an example of acceptable, free and fair election, just as the general elections of 1991, 1996 and 2001 were acceptable.

In the recent Bhola-3 by-election, the loser BNP candidate Maj (Retd) Hafiz complained of the Directorate General of Forces Intelligence (DGFI), NSI, Special Branch (SB) etc. campaigning against him. About the general election of 29 December 2008, former BAL secretary Abdul Jalil said that the Hasina government came to power through understanding with the army. Gen (Retd) Ershad also said that without the help of the army, this government would never come to power. These three leaders summed up the situation of these rigged elections. Thus, the people who termed the CCC election a turning point are more than justified. It boosted up the spirits of the BNP camp.

The highly successful general strike of 27 June 2010 called by the BNP camp is indeed a notice served on the government. And the more the government resorts to repression and persecution, the more the people will be mobilised against it. What is more, if the repression exceeds the level of tolerance, some sections of the BNP and the BJI, which are involved in constitutional politics for the last three decades, may be driven underground along with sections of other opposition parties, as the opposition did during Mujib regime of 1972-75.

In order to play a good role in history, the political parties need to learn from the history.

Writer: Zoglul Husain
Email: zoglul@hotmail.co.uk