Monday 5 July 2010

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত, বহিষ্কার ১৩


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত এবং ১৩ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বিরুনী হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৫ জন আহত হওয়ার জের ধরে কেন্দ্রীয় কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান আজ সোমবার রাতে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
এর আগে সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৩ জনের বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। তাঁরা হলেন কাজী মারুফ সজীব, বিজয় কুমার দাশ, পারভেজ, দেবব্রত প্রিয়, আরিফুল হক আরিফ, খায়রুল বাশার, শুভাশীষ কুণ্ড, মহিউদ্দিন আহমেদ, উজ্জ্বল কুমার দাশ, চয়ন, সকাল, স্বাধীন ও পলাশ।
ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বিশৃঙ্খল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আজ সকাল নয়টার দিকে আল-বিরুনী হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলামের পক্ষের কর্মী সজীব এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্ঝর আলমের পক্ষের কর্মী এমিলের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ১১টি গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হন। সকাল নয়টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে এই সংঘর্ষ। আহতদের সাভার ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শরীফ এনামুল কবীর ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
প্রক্টর আরজু মিয়া জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংষর্ষের কারণে ১৪ মাস কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। পরে ওই কমিটি বাতিল করে গত ১৯ মে সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নির্ঝর আলমের নেতৃত্বে নতুন কমিটি করা হয়। আজ এই দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

No comments:

Post a Comment