Monday 30 August 2010

বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন : বাণিজ্য মন্ত্রণালয় : ইপিবিতে আতঙ্ক



আবু হেনা মুহিব
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোকে (ইপিবি) এবার বিরোধী দলমুক্ত করার অভিযান শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় লিখিত এক নির্দেশে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া
হয়েছে। হঠাত্ করে সরকারের এ ধরনের নির্দেশে ইপিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সরকারি এ নির্দেশনা জারির পর সুযোগসন্ধানী এবং সরকারপন্থী কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত শত্রুতা উদ্ধারে তত্পর হয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সাকিউন নাহার বেগম স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে ইপিবিতে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বিসিএস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট এ নির্দেশ দেয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ইপিবিতে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বিসিএস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্মারক নং ২৬.০৪৬.০৭৮.০০.০০১.২০১০-১৫২ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। গত ২৯ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন শাখার উপ-সচিব সাকিউন নাহার বেগম স্বাক্ষরিত এক পত্রে ইপিবিকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশপত্রে ইপিবির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাহাব উল্লাহসহ একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইপিবির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বিগত জোট সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল সন্দেহে ঢালাওভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা, শস্তিমূলক বদলি এবং ওএসডি করা ছাড়াও নতুন করে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ আসায় ভিন্নমতের কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসকেন্দ্রিক বিভিন্ন আলোচনা এবং কর্মসূচিতে চোখে পড়ার মতো তত্পরতা যারা দেখাতে পারেননি তারাই সরকারের নতুন এ তালিকাভুক্ত হয়ে যেতে পারেন।
এছাড়া ইপিবিতে কয়েক মাস ধরে ভিন্নমতের কর্মকর্তা তালিকাভুক্ত হচ্ছেন বলে আলোচনা ওঠে। সরকারের নতুন এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। সূত্রমতে, ভিন্নমতের কর্মকর্তাদের প্রশাসন থেকে সরিয়ে দেয়ার আগে তালিকা প্রণয়নে ৬টি বিষয়কে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে—ছাত্র অবস্থায় কোন রাজনীতি করত, পরিবারের সদস্যরা কোন দলের সঙ্গে জড়িত, মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ও পরিবারের ভূমিকা, বন্ধু-বান্ধব কারা বা কাদের সঙ্গে ওঠাবসা করছেন, বিগত সরকারের সময় কোন পদে ছিলেন, কোনো প্রকাশনা কিংবা লেখালেখি করে থাকলে তার ধরন।
জানা গেছে, সংস্থাপন মন্ত্রণালয় বেসামরিক প্রশাসনের জন্য সিভিল সার্ভিস অ্যাক্ট ২০১০ নামে একটি নয়া আইন চূড়ান্ত করছে শিগগিরই। এই আইনেই বিরোধী মতের সরকারি কর্মকর্তাদের শায়েস্তা করা হবে। নতুন এ আইন অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতির অভিযোগে দণ্ডিত হলে তিনি আর চাকরি ফিরে পাবেন না। এমনকি উচ্চ আদালতে আপিল করে বেকসুর খালাস পেলেও তিনি আর চাকরিতে ফিরতে পারবেন না। এ বিবেচনায় ভিন্নমতের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঢালাও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
ইপিবি সূত্র জানিয়েছে, ইপিবি প্রশাসনে এ ধরনের অস্থিরতার কারণে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে নির্দিষ্ট সময়ের পরও দুই মাস সময় লেগে গেছে। বিদেশে বেশিরভাগ মিশন রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি।

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/08/31/41889

Wednesday 25 August 2010

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোরকা পরতে বাধ্য করা যাবে না

Shamokal | ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ ভাদ্র ১৪১৭, ১৫ রমজান ১৪৩১, ২৬ আগস্ট ২০১০

সমকাল প্রতিবেদক
সরকারি অথবা বেসরকারি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের বোরকা পরতে বাধ্য করা ও খেলাধুলা-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠানে বোরকা না পরার কারণে কোনো ছাত্রীকে নির্যাতন, হয়রানি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের অসদাচরণ বলে গণ্য হবে। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কাজকর্মে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া যাবে না। গতকাল বুধবার শিক্ষা সচিব স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ আদেশ জারি করা হয়।
সরকারের এ পদক্ষেপ গ্রহণের কারণ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল সমকালকে বলেন, 'প্রথমত হাইকোর্টের একটি আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই আদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে একটি পক্ষভুক্ত
করে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, এ রায়ের সঙ্গে সরকার সম্পূর্ণ একমত। আমরা মনে করি, প্রত্যেকেরই ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে। কেউ কাউকে জোর করে কোনো পোশাক পরিধান করতে বাধ্য করতে পারে না।'
পরিপত্রে আরও বলা হয়, 'সরকারি-বেসরকারি কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এবং তাদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কাজকর্মে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে মর্মে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ছাত্রীদের সুশিক্ষা ও মেধা বিকাশের জন্য ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা এবং খেলাধুলা
ও সাংস্কৃতিক কাজকর্মে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া কোনোক্রমেই কাম্য নয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মানবাধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে এসব নির্দেশনা জারি করা হলো।' সরকারের এ নির্দেশনা ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা অধিদফতর ও শিক্ষা বোর্ড তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।
শিক্ষা সচিব সৈয়দ আতাউর রহমান জানান, গতকালের এ পরিপত্রের মাধ্যমে সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদে বর্ণিত মানবাধিকার সংরক্ষণের প্রচেষ্টা থেকে মূলত চার দফা নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে_ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ছাত্রীকে বোরকা অথবা ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা যাবে না। ছাত্রীদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকা করতে বাধা দেওয়া যাবে না। বোরকা না পরলে কোনো ছাত্রীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না এবং বোরকা ও ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা হলে তা অসদাচরণ বলে গণ্য হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিশেষ করে ছাত্রীদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, 'খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড মানুষের সৃজনশীলতা, সৃষ্টিশীলতা ও মনুষ্যত্বকে বিকশিত করে। তাই এর চর্চা যে কোনো মূল্যে বজায় রাখতে হবে।'
মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন সেল থেকে জারি করা এ পরিপত্র সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে। পরিপত্রে বলা হয়েছে, 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের বোরকা বা ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা যাবে না।' আইন সেলের একজন কর্মকর্তা জানান, এখানে নির্দিষ্ট কোনো ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়নি বরং সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা বোঝানো হয়েছে। সে হিসাবে মাদ্রাসাগুলোও জোর করে কোনো ছাত্রীকে বোরকা পরাতে পারবে না। তবে স্বেচ্ছায় যার খুশি তিনি বোরকা পরতে পারবেন।
জানা গেছে, দেশে তিনটি বড় আলিয়া মাদ্রাসা (ঢাকা, বগুড়া ও সিলেট) ও ৯৩ হাজার কওমি মাদ্রাসা রয়েছে। এছাড়া দাখিল মাদ্রাসা (এসএসসি স্তর) ৬ হাজার ৮০টি, আলিম (এইচএসসি স্তর) মাদ্রাসা এক হাজার ১০০টি, ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা ৮৮৫টি এবং কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসা রয়েছে ১৭৫টি। এসব মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করা নারী ও ছাত্রীদের প্রায় সবাই বোরকা পরিধান করেন। এসব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটিই রেওয়াজ। এছাড়া একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের পরিচালিত বেশকিছু স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় বোরকা পরা বাধ্যতামূলক করা হয় বলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গতকালের পরিপত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ সমকালকে বলেন, 'পর্দা করা ইসলামে ফরজ। এ ব্যাপারে কারও কোনো আদেশ প্রদান বা হস্তক্ষেপ অনভিপ্রেত ও অনৈতিক।' মাদ্রাসা শিক্ষকরা আদালতের নির্দেশ মানতে বাধ্য। তবে মাদ্রাসা শিক্ষকরা কাউকে বোরকা পরতে বাধ্য করেন না। তারা কেবল ইসলামের অনুশাসনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
হাইকোর্টের আদেশ : এর আগে গত ২২ আগস্ট হাইকোর্ট সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে বোরকা পরতে বাধ্য না করা এবং খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকা থেকে মেয়েদের বাদ না রাখার নির্দেশ দেন। বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মোঃ জাকির হোসেনের বেঞ্চ গত রোববার এ আদেশ দেন। পাশাপাশি আদালত ওই কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হককে ২৬ আগস্ট সশরীরে হাজির হয়ে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী আজ তার আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী মাহবুব শফিক ও কেএম হাফিজুল আলমের করা জনস্বার্থ রিট আবেদনে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
রানী ভবানী কলেজে যা ঘটেছিল : নাটোরে রানী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও খেলাধুলায় ছাত্রীদের অংশ নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করাকে কেন্দ্র করে উচ্চ আদালতের নির্দেশ ও তারপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ পরিপত্র জারি করা হলো। এ কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক মাস দুয়েক আগে কলেজে যোগ দেওয়ার পরই নির্দেশ দেন, বোরকা পরে আসতে হবে ছাত্রীদের। এ নির্দেশ না মানায় অনেককেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি কলেজে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ 'অবাধ্য' ছাত্রীদের গায়ে হাত তুলতে পর্যন্ত দ্বিধা করেননি।
শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকদের অভিমত : বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সমকালকে বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। তবে এ ধরনের পরিপত্র জারির প্রয়োজনীয়তা কেন দেখা দিল সেটি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে। পাকিস্তান আমলেও কাউকে বোরকা পরতে বাধ্য করার মতো ঘটনা আমরা দেখিনি।' ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম বলেন, 'আমি সরকারের এ আদেশে খুশি হয়েছি। বর্তমান যুগে এসে কাউকে জোর করে বোরকা পরানো অমানবিক।' তিনি বলেন, 'অনেকে মনে করেন, ইভটিজিং থেকে বাঁচতে বোরকা পরানো উচিত। এটা ঠিক নয়।' উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন ভঁূইয়া সমকালকে বলেন, 'সাধারণত স্কুলগুলো কাউকে জোর করে বোরকা পরে আসতে বাধ্য করে না। পারিবারিক কারণে অনেক ছাত্রী বোরকা পরে থাকে। সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।' মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বলেন, 'আগ্রহ নিয়ে বোরকা পরলে শিক্ষকরা বাধা দেন না। তেমনিভাবে কাউকে নিষেধও করা হয় না।'

Saturday 14 August 2010

Awami মহাজোটের দিনবদলের ১০০ দিন : from ০২.০১.০৯

মহাজোটের দিনবদলে ১০০ দিন


০২.০১.০৯ ছাত্রলীগের হল দখল জিয়া হল, ঢাবি ৪ ছাত্রলীগ কর্মী আহত ( জসিম,
তাওহিদ, সালমান) ইত্তেফাক, নিউএজ, নয়াদিগন্ত
ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ চবি সাধারণ শিক্ষার্থী ন্উিএজ
০৪.০১.০৯ আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের সংঘর্ষ রুয়েট
ছাত্রলীগের ১০ আহত (উৎফল, শাহিন, শিহাব, জুনায়েদ, কবির, রাসেল, রশিদ)
ইত্তেফাক
ছাত্রলীগের দখলে ছাত্রাবাস চট্টগ্রাম কলেজ ও পলিটেশনিক ইন্িস্টটিউশন
হেলাল (ছাত্রদল) প্রথম আলো
০৫.০১.০৯ ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া বগুড়া আযিযুল হক কলেজ ইত্তেফাক
ছাত্রলীগের চাঁদবাজি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ব্যবসায়ীরা প্রথম আলো
ছাত্রলীগের দু’প্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ পল্টন ময়দান ওবায়দুল কাদের, সুলতান
মোহাম্মাদ মনসুর ও নজরুল ইসলাম দিনকাল
১০.০১.০৯ ছাত্রলীগ শিবিরকে বিতাড়িত করেছে। রুয়েট শিবির কর্মী তাইবুর
রহমান, জাহিদুল ইসলাম মারাত্মকভাবে আহত ডেইলি স্টার
ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ জিয়া হল , ঢাবি ছাত্রলীগের এক গ্র“পের আহত
-৫ ( সোহাগ, সুমন-৪র্থ বর্ষ, সুমন-১ম বর্ষ, হিমেল, সায়েম-বহিরাগত) ডেইলি
স্টার
১১.০১.০৯ ছাত্রলীগ -শিবির সংঘর্ষ খুলনা মেডিকেল কলেজ আহত শিবির কর্মী
মুহসিন রেজা, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ কাফি ও ছাত্রলীগে নেতা আমিনুল
ইসলাম। ১৩ টি শিবির কক্ষ ভাংচুর। কলেজ অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ডেইলি
স্টার
ছাত্রলীগ অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে ছাত্রদলের রুম দখল ঢাকা কলেজ আহত-৫, রুম
দখল-১০ ডেইলি স্টার
ছাত্রলীগ ও যুবলীগ পিটিয়েছে ছাত্রদল নেতাকে ঢাকা সিটির ৮৫ নং ওয়ার্ড
শামীম মাহমুদ আহত ডেইলি স্টার
১৩.০১.০৯ যুব, ছাত্রলীগ সরকারী সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে বগুড়া সরকার
১৪.০১.০৯ ছাত্রলীগের দখল রাবি আহত-১ দিনকাল
ছাত্রলীগের হল দখল রাবি সংগ্রাম
১৬.০১.০৯ সাংবাদিকের উপর ছাত্রলীগের হামলা রাবি আহত: শিক্ষক ও সাংবাদিক
১০ জন নয়াদিগন্ত
ছাত্রলীগের দুই গ্র“পে সংঘর্ষ জাবি আহত-৬ (শুদ্ধ, লেমন, আশিক, স্বর্ণ)
দিনকাল, গ্রথমআলো
ছাত্রলীগ শিবির সংঘর্ষ মিরপুর আয়ুর্বেদীক কলেজ আহত-৫০ প্রথমআলো
১৭.০১.০৯ ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষ-৩ জাবি আহত-২০ (পারভেজ গ্র“পের
মুরাদ, রাজিব, সাম্য, জনি, আজিজুর ও অয়ন গ্রুপের সাকিব, রেজা, অঙ্কন,
রনি, আসাদ, জুয়েল, দীপন, রিজন) আমারদেশ
ছাত্রলীগের লুটপাট, হামলা চট্টগ্রাম বইয়ের দোকান আহত-১ দিনকাল
ছাত্রলীগের দুইগ্র“পে সংঘর্ষ জাবি আহত ২৫ নয়াদিগন্ত
১৮.০১.০৯ চবিতে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ।। জবিতে সংঘর্ষ জাবিতে উত্তেজনা চবি,
জবি, জাবি চবির ভিসি সাধারণ ছাত্ররা ইত্তেফাক
ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সংঘর্ষ চবি, জবি চবির ভিসি অবরুদ্ধ,,
ছাত্রলীগের আহত-৪০ ন্উিএজ
ছাত্রলীগে গ্র“পিং সংঘর্ষ জবি আহত ৩০ ন্উিনেশন
ছাত্রলীগ চবির বাসভবন অবরুদ্ধ করে রাখে চবি প্রথম আলো
১৯.০১.০৯ ৪ টি পত্রিকা বন্ধের দাবি ঢাবি সংগ্রাম
ছাত্ররা অবরুদ্ধ/ জিম্মি জাবি ২ হাজার অবরুদ্ধ ইনকিলাব
খালেদা জিয়া ও সাইফুরের নাম মুছে ফেলা ওসমানী মেডিকেল কলেজ মানবজমিন
ছাত্রলীগ চবির ভিসিকে পদত্যাগে চাপ দেয় চবি চবির ভিসি ন্উিএজ
ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ রাবি ছাত্রদল কর্মী মীর খালেদ রাতুল
মারাত্মক আহত ডেইলি স্টার
২০.০১.০৯ ৪ পত্রিকা পড়া নিষিদ্ধ ঢাবি আমারদেশ,
সংগ্রাম
চবির উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ছাত্রলীগে আন্দোলন চালিয়ে যাবার
ঘোষণা চবি চবির ভিসি আমারদেশ
২১.০১.০৯ ডেপুটি রেজিষ্ট্রারসহ কিছু কর্মকর্তাকে অফিস থেকে বের করে দেয়
ছাত্রলীগ চবি যায়যায়দিন
ছাত্রলীগ তাণ্ডব লীলা বরিশাল পলিটেকনিক ইনষ্টি. সাধারণ শিক্ষার্থী ন্উিএজ
২২.০১.০৯ হামলা ঢাবি: ফজিলাতুন্নেসা হল আহত-১ প্রভোস্ট কর্মচারী-৪ দিনকাল
শ্ক্ষিকের উপর হামলা , ভাংচুর মিরর্পু ইউনানী কলেজ দুই শিক্ষক লাঞ্চিত সংগ্রাম
ছাত্রলীগের হামলা শিবিরের উপর ঢাকা পলিটেশনিক ১জন আহত সংগ্রাম
ছাত্রলীগ নেত্রীদের অশোভন আচরণ ঢাবি, ফজিলাতুন নেসা হল হল প্রাধ্যক্ষ ড.
দিল রওশন জিন্নাত আরা ছাত্রলীগ নেত্রী অপূর্ণ পাল কর্র্তৃক সংগ্রাম
চার গ্র“পের মহড়া শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে যায়যায়দিন
২৪.০১.০৯ ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ মিরসর্ইা চট্টগ্রাম কমলদহ বাজার
আহত-১ নয়াদিগন্ত
ছাত্রলীগ নেতা রিংকু ও কিশোর চাঁদাবজি মামলায় গ্রেফতার খুলনা ডেইলি স্টার
২৫.০১.০৯ ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল জাবি আহত-৩ ছাত্রদলকর্মী আশিক, রাজ ও শাকিল
আটক-১ আমারদেশ
ছাত্রদল ছাত্রলীগ সংঘর্ষ জাবি দুই ছাত্রদল নেতা রাজ ও আশিক আহত ন্উিএজ
২৬.০১.০৯ ছাত্রলীগের দু’গ্র“পে সংঘর্ষ শাবি আহত-২ যুগান্তর
২৭.০১.০৯ ছাত্রলীগের আলটিমেটামে প্রক্টর ও প্রক্টটরিয়াল বডির পদত্যাগ
রাবি প্রথম আলো
২৮.০১.০৯ ছাত্রলীগের হামলা ছাত্রদলের উপর\ ফয়সাল, কায়েস , হাসান, কামাল
ঢাবি ইমরান, ইস. ইতিহাস, ২য় বর্ষ আমারদেশ
ছাত্রলীগের হামলা ছাত্রদলের ২ কর্মী আহত ঢাবি ইমরান ও নজরুল ইসলাম পিন্টু ইত্তেফাক
৩০.০১.০৯ ছাত্রলীগের দুইগ্র“প সংঘর্ষ জাবি দিনকাল
ছাত্রলীগের হল দখল শাবি দিনকাল
৩১.০১.০৯ ছাত্রলীগের দু’গ্র“প সংঘর্ষ\ তমাল , রফিকুল ইসলাম, রফিক, সোহাগ,
আঃরব খুলনা কমার্স কলেজ, যশোর সরকারি কলেজ আহত-১৪ নয়াদিগন্ত
ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি, চাঁদাবাজ জুয়েল ঢাবি ট্এিসসি ক্যাফেটেরিয়ার মালিক
মৃদুল নয়াদিগন্ত
হামলা ভাংচুর শিবির কর্মীর উপর বরিশাল বিএম কলেজ শিবির কর্মী আহত-১০ সমকাল
ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগে হামলা , শিবিরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা বরিশাল বিএম
কলেজ ছাত্রদলের ৬/৭ জন আহত যুগন্তর
ছাত্রলীগের দু’গ্র“পে সংঘর্ষ জাবি আহত-১ নাহিদ ডেসটিনি
০২.০২.০৯ ছাত্রলীগের হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
আহত- ১৫ ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের কর্মী (মাসুম, শোভন, গিয়াস, রাজিব,
মোস্তফা)গ্রেফতার-১ নয়াদিগন্ত
০৩.০২.০৯ ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ তিতুমীর কলেজ আহত- ৭ (ইসমাঈল,
নিয়ন, মামুন, শিফাত, প্রিতম) ইত্তেফাক
০৫.০২.০৯ ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সংঘর্ষ কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ
ছাত্রলীগের ৫ কর্র্মী হান্নান গ্র“পের
সমকাল


কলেজের হোটেল দখল ও ক্যাম্পাস দখল নোয়াখালী মাইজদীকোর্ট এক শিবির কর্মী সংগ্রাম
০৬.০২.০৯ পিটিয়ে আহত কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দৈনিক সংবাদের সাংবাদিক ইত্তেফাক
পিটিয়ে আহত মুরাদনগর কুমিল্লায় এবং মীরসরাই চট্টগ্রাম অবসর প্রাপ্ত
সেনাসদস্য এবং শিবির নেতা আনোয়ার হোসেন আমারদেশ
ভিসি, ডিনসহ অবরুদ্ধ ৯ ঘন্টা শাবিপ্রবি ভিসি, ডিন ও বিভাগীয় প্রধান আমারদেশ
০৮.০২.০৯ ছাত্রলীগে ছাত্রবাস দখলে নিতে ছাত্রদলের সাথে সংঘর্ষ রংপুর
মেডিকেল কলেজ আহত-৭জন ন্উিএজ
০৯.০২.০৯ ছাত্রলীগ পিটিয়েছে দুই ছাত্রকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আহত-২ ন্উিএজ
১০.০২.০৯ কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষ রংপুুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রদল নেতা শফিক যুগান্তর
হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে ছাত্রলীগ সিলেট মেডিকেল কলেজ সিমেক এর সাবেক ছাত্র
গোলাম ফরহাদ জিলানী নয়াদিগন্ত
ছাত্রলীগের চবির ট্রেনের বগিভিত্তিক গ্র“প চবির শাটল ট্রেনে মামুন
গ্র“পের সমর্থিত এবং উপগ্র“পের ২ জন (তারেক) যায়যায়দিন
ছাত্রলীগ ছাত্রলীগ সংঘর্ষ আহত কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা ২ জন
ছাত্রদলে ৮ জন (আলমগীরসহ) প্রথমআলো
টেণ্ডারবাজি সংঘর্ষ সাতক্ষীরা দরপত্র জমা দিতে আসা মানুষ প্রথমআলো
১১.০২.০৯ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জায়গা দখল চাঁদাবাজি পাহাড়তলী
থানাধীন ঢাকা ট্রাঙ্গ রোড ফলের দোকান দখল দিনকাল
১২.০২.০৯ বৈধ কার্ডধারী ২০০ ছাত্রকে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগ ঢাকা আলিয়ার
কাশগরী হল কাশগরী হলের সাধারণ ছাত্ররা সংগ্রাম
১৩.০২.০৯ যশোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সেক্রেটারী মদ্যপ ও সন্ত্রাসী
অভিযোগ এম.এম কলেজ শাখা ছাত্রলীগ যশোর জেলা জেলা সাধারন সম্পাদক মাহমুদ
হাসান ও শফিকুল ইসলাম জুয়েল নয়াদিগন্ত
কুপিয়ে আহত বুড়িচয়য়ের শিক্ষক ও ইউপি সদস্য কুমিল্লা বুড়িচং আকতার হোসেন সংগ্রাম
পলাশবাড়ী উপজেলা শিবির সভাপতি ও সেক্রেটারী কে আহত পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা
নবম শ্রেনীর ছাত্র শাহজাহান ও আবদুল মতিন সাধারণ ছাত্র সংগ্রাম
শার্ট ভাগ করে নিয়েছে ঢাবি বঙ্গবন্ধু হলে ক্রিয়া শার্ট জিমনেসিয়াম মাঠে
সাধারণ ছাত্র সংগ্রাম
ঢাস ভাংচুর ছাত্রলীগ জিয়া হলের ১০/১৫ জন খাবার টোকেন ছাড়া না দিলে ভাংচুর
করে (সুমন, হাবিব, লিমন, আসাদ) টিএসসি , ঢাবি ঢাসের মলিক ভোরের কাগজ
শিক্ষক লাঞ্চিত ভূতত্ব বিভাগের চতুর্থ বর্ষেও ও ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল ঢাবি
ক্যাম্পাস অনুজীব বিঞ্জানের সহ অধ্যাপক ইলিয়াস প্রথম আলো
শিক্ষককে লাঞ্চিত করেছে ছাত্রলীগ নেতা ঢাবি অধ্যাপক ইলিয়াস ডেইলি স্টার
১৫.০২.০৯ ছাত্রলীগের হামলা ছাত্রদলের উপর এসএম হল ছাত্রদলের তিন নেতা
আরাফাত রহমান, রবিন, সানজিদ আল হেলাল ও রাসেল। নয়াদিন্ত
ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী জুয়েল কর্তক বি. অধ্যাপক ইলিয়াসের উপর হামলা এস, এম
হল ঢাবির অধ্যাপক ইলিয়াস নয়াদিগন্ত
১৭.০২.০৯ ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ প্রক্টও লাঞ্চিত
অয়ন-মুজিবুল ও পারভেজ জনি গ্র“প জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় প্র্রক্টর ও ছাত্রলীগ
মাহমুদ, জনি ও পারভেজ জনি গ্র“পের নয়ন এয়াড়া শোভন, সাগর, মিজান, রাইসুল,
নিজাম, রুবেল, সুলতান জনি, সুমন, রাজিব, সুমন, রফিক, জিহান, শফিক
যুগান্তর
ব্যাগিয়ের নামে যৌন হয়রানী
মঞ্জুরুল, রণি আজাদ, শাহনেয়াজ, নরেন্দু সাহা , মামুন ও ফিদা শিকদার ঢাবি
চারুকলা নিতু, চিত্রকলার ছাত্রী ঢাবি নয়াদিগন্ত
ছাত্রলীগের দু’প্র“পে সংঘর্ষ
গায়েম গ্র“প ও জাফর গ্র“প বরিশাল মেডিকেল কলেজ জাফর গ্র“পের কর্মীরা যায়যায়দিন
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডিডিউল ফেলতে বাঁধা
তোফা হাসান মšটু ঠাকুরগাও পুলিশ সুপার কার্যালয় হলপাড়া ঠিকাদার গোপাল
চন্দ্র ঘোষ যায়যায়দিন
সংঘর্ষ ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ সংঘর্ষ করে ছাত্রলীগ জেলা কমিটির সদস্য
মাহফুজ, চপল কিশোরগঞ্জ আব্দুর রশিদ প্রথম আলো
দালালি ও প্রতারণা যুবলীগ সহসভাপতি আনসার, ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা হবিগঞ্জ
বনিয়াচং এলাকাবাসী সমকাল
১৮.০২.০৯ ভাংচুর , শিক্ষক লাঞ্চিত কাপ্তাই পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট দুই
শিক্ষক, ক্যাম্পাস ভাংচুর ( মেকানিকাল বিভাগের আকতারুজ্জামান এবং বিদ্যুৎ
বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক মোঃ ওয়ালি উল্লাহ সুমন) ইত্তেফাক
আহত হামলা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নীলফামারী সরকারী কলেজ বয়েজ
হোস্টেল ছাত্রদল কর্মী (সুজন খান, ) যায়যায়দিন
ব্এিনপি অফিসে হামলা ভাংচুর করে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মজিবুর রহমানের
নেতৃত্বে মোহনগঞ্জের পাটপট্টি এলাকায় বিএনপি নেতা ফারুকের দোকান তিনটি
ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও বিএনপি কার্যালয় সমকাল
ছাত্রলীগ কর্মীদের ধর্ষণ, ২ লাখ টাকা লুট ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায়
ধাণীখোলা গ্রামে ফারজানা আক্তার সূমী দিনকাল
ছাত্রলীগের একাধিক গ্র“পের সংঘাত ঢাবি, জবি, জাবি, খুলনা বিএল কলেজ ও
খুলনা মেডিকেল ঢাবি –১০, খুলনা-৭, জগন্নাথ-৩০ ভোরের কাগজ
চবি উত্তপ্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ,
শিক্ষককে জুতা প্রদর্শন যায়যায়দিন
চবি অচল\ সব ভবনে তালা চবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট জনকণ্ঠ
ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণহীন জবি ছাত্রলীগের দু’গ্র“পে সংঘর্ষ, আহত-২৫ সমকাল
চবি ভিসির পদত্যাাগ দাবি চবি মানবজমিন
ছাত্রলীগের দুই গ্র“পে সংঘর্ষ জবি আহত -৩০ মানবজমিন
বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ চবি, জবি, বিএল কলেজ চবিতে তালা, জগন্নাথে
গ্র“পিং, বিএল কলেজে হামলা প্রথম আলো
ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে বিব্রত আ’লীগ হাইকমাণ্ড রাবি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,
কুমিল্লা চাঁদা দাবি, ছাত্রদলের উপর হামলা, দখল- আহত-২০ আমারদেশ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ মারমূখি জবি. জাবি, চবি দু’গ্র“পে সংঘর্ষ ও
ধাওয়অ পাল্টা ধাওয়া আহত-১৫ আমাদের সময়
ভিসিকে আলটিমেটাম , সংঘর্ষ জবি, চবি আহত-৩০ সংবাদ
রেজিষ্ট্রার লাঞ্চিত, পরীক্ষা স্থগিত চবি সমকাল
গ্র“পিং, চবি অচল জবি, চবি আহত-২০ যুগান্তর
ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ (চবিতে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ\ জবিতে সংঘর্ষ, জাবিতে
উত্তেজনা) চবি, জাবি, জবি ইত্তেফাক
পরীক্ষার হলে ঢুকে মারধর জবি ছাত্রদল-৩, ছাত্রলীগ-২৫ ডেসটিনি
সাংবাদিককে মারধর , গ্র“পিং সংঘর্ষ জবি, চবি আহত-২০ দিনকাল
দ্ ুগ্র“পের সংঘর্ষ জবি আহত-২৫ আমারদেশ
প্রতিপক্ষের উপর হামলা ঢাবি আহত-৩ আমারদেশ
ভিসির বাসভবন ঘেরাও চবি নয়াদিগন্ত
অবৈধভাবে হলে ওঠার চেষ্টা ঢাবি, শামসুন্নাহার হল সংবাদ
৩ ছাত্রকে পিটিয়েছে ঢাবি এসএম হল আহত-৩ দিনকাল

১৯.০২.০৯ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ৩ দফা ভাংচুর মারামারি ঢাকা, তেজঁগাও ও
তিতুমীরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ছাত্রলীগরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পল্টন
ময়দানে তিতুমীর কলেজের মোস্তাফীজ সহ ১০ জন আহত ও ঢাকা কলেজের রাফি, জসিম,
তাপস, রাকিবুল রাসেল। নয়াদিগন্ত
চাঁদা না পেয়ে ৪০ কোটি টাকায় বাঁধ নির্মানে কাজ বন্ধ
অগ্নিসংযোগ লুটপাট সরিষাবাড়িতে দখল জামালপুরের বগুড়া ও চৌদ্দগ্রাম জামাত
ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ও তাদের আসবাবপত্র নয়াদিগন্ত
রুবেল ও রনির নেতৃত্বে সাংবাদিক আহত ডুয়েট মানবজমিনের মধুপুর প্রতিনিধি
আব্দুর রাজ্জাক আমারদেশ
ছাত্রদল শিবিরের মিছিলে বাঁধা টাঙ্গাইলে আব্দুর রাজ্জাক আমারদেশ
ব্যানার ও আসবাবপত্র পোড়ানো অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ নীলফামারী শিবির / ছাত্রদল
কমী সুজন, নাসির উদ্দিন, রাজু, জহুরুল জহির, সাদ আমারদেশ
অস্ত্রসহ জাবিতে মহড়া ও গুলি ছাত্রলীগ কর্মী সিরাজুল ইসলাম সুমন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিপক্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা ইত্তেফাক
ফেনীতে ছাত্রলীগের দু’প্রপের সংঘর্ষ গোলাগুলি শিপন হারুন ও সুমন আরিফ
ফেনী উভয় পক্ষের ১০ জন
অস্ত নিয়ে ঘোরা গ্রেফতার ছাত্রলীগ রায়পুর উপজেলা সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম
নরসিংদী সংগ্রাম
শাবিতে ছাত্রদল কর্মী যোবায়েরকে আহত করা
ছাত্রলীগের ৬ জন শাবিতে যোবায়ের ছাত্রলল কর্মী যায়যায়দিন
২৩.০২.০৯ ভাংচুর হামলা একুশে হল ঢাবি জাসদ ছাত্রলীগ ইত্তেফাক
জেতমারীতে ছাত্রলীগ লুটপাট গাজীপুরা জিয়া বিমান বন্দর ও নগরীর বিভিন্ন
অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ছেড়ে দেয়া দিনকাল
২৫.০২.০৯ হামলা/ ভাংচুর ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী – ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন
ঢাকা আলিয়া বকশিবাজার ল্ইাব্রেরীয়ান সহ ৩ জন সংগ্রাম
চাঁদার দাবিতে আটকে রাখে খূলনার ইন্টারনী ডাক্তারকে খুমেক ক্যান্টিন
ইন্টারনী ডাক্তার সংগ্রাম
হামলা জাবি সাইবার সেন্টার টেকনিশিয়ান প্রথমআলো
টেণ্ডারবাজি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলো কালেক্ট ৬ জন আক্তার
হোসেন উপজেলা বিএনপি সহ-সভাপতি যুগান্তর
টেণ্ডারবাজি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ১৫ কোটি টাকা সিসিসি যুগান্তর
২৬.০২.০৯ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ সংঘাত কুষ্টিয়া
সরকারি কলেজ উভয় গ্র“পের নেতা কর্মীরা সংগ্রাম
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ সংঘাত চবি ছাত্রলীগ নেতা এরশাদ
সহ ৪ জন সমকাল
২৮.০২.০৯ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ সংঘাত রাবি
আরিফুজ্জামান (ছাত্রলীগ নেতা) সংগ্রাম
চাঁদাবাজি বেনাপোল বেনাপোল - খূলনা রুটের ট্রেন লিজ গস্খহণকারী প্রতিষ্ঠান যুগান্তর
০১.০৩.০৯ হত্যা, অভ্যন্তরীণ সংঘাত নেত্রকোণা কামরুল কবীর নামক ছাত্রলীগ নেতা জনকণ্ঠ
আধিপত্য বিস্তার (ক্যাম্পাস) নরসিংদী সরকারি কলেজ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৮
কর্মী মানবজমিন
আধিপত্য বিস্তার (ক্যাম্পাস) বরিশাল বিএম কলেজ ও নরসিংদি সরকারী কলেজ
শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নয়াদিগন্ত
আধিপত্য বিস্তার (ক্যাম্পাস) বরিশাল বিএম কলেজ ৩ জন অধ্যাপক ও ৭ জন
শিক্ষার্থী সংগ্রাম
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ সংঘাত শাবিপ্রবি প্রতিপকক্ষ
ছাত্রলীগ কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থী দিনকাল
হত্যা, মারপিট কেন্দুয়ানেত্রকোণা কামরুল ইসলাম, রিপন সংগ্রাম
টেন্ডারবাজি পাবনা রাকিব হাসান প্রথম আলো
০৪.০৩.০৯ ভর্তি বাণিজ্য ঢাকা কলেজ সাধারণ শিক্ষার্থী যুগান্তর
চাঁদাবজি, লুণ্ঠন ঢাবি মোবাইল কার্ড দোকানী নয়াদিগন্ত
০৫.০৩.০৯ হামলা ও মারপিট ঢাবি ক্যাম্পাস, রাজু ভাস্কর্য আঃ সাকিব, ইমরান,
মামুন, জামালুদ্দিন, আঃ আলিম নয়াদিগন্ত
হামলা ও মারপিট বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ, মৌলভীবাজার কতিপয় শিবির কর্মী নয়াদিগন্ত
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ বিরোধ চবি ১০ জন শিক্ষার্থী প্রথম আলো
টেন্ডারবাজি ব্এিডিসি, ঢাকা সাধারণ শিক্ষার্থী আমারদেশ
মারপিট ও হামলা রাজু ভাস্কর্য, ঢাবি ছাত্রশিবিরের ৫ কর্মী আমারদেশ

০৯.০৩.০৯ দিগম্বর করে পেটানো করিমগঞ্জ প্রবাসী শেখ ফরিদ দিনকাল
লুণ্ঠন দীঘলিয়ার তিন গ্রাম সংশ্লিষ্ট গ্রামের পুরুষ লোকেরা দিনকাল
১২.০৩.০৯ ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল জাবি ছাত্রলীগের কর্মী ১০ আহত:
জাহাঙ্গীর, সমীর, রিপন, পলাশ, শাহিন, ঝুনুন, মুরাদ, উজ্জ্বল প্রথম আলো
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ সংঘাত জাবি ২০ জন শিক্ষার্থী
আহত( জাহাঙ্গীর, আমীর, রিগান, পলাশ, শাহীন, ঝুন্ধন, মুরাদ) সংবাদ
হামলা ও মারপিট রাবি, রামেক ২৫ জন শিবির কর্মী সংগ্রাম
১৩.০৩.০৯ ভর্তি বাণিজ্য সরকারি বিভিন্ন কলেজ সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষ আমারদেশ
হামলা ও লুণ্ঠন রাবি সাধারণ শিক্ষার্থী সংগ্রাম
অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি বাবি সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা সংগ্রাম
১৪.০৩.০৯ নোমানী হত্যা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাবি শিবির সেক্রেটারী
নোমানী প্রথমআলো
হত্যা রাবি রাবি শিবির সেক্রেটারী নোমানী বাংলাদেশ সময়
হত্যা রাবি রাবি শিবির সেক্রেটারী নোমানী ইত্তেফাক
হত্যা রাবি নোমানী আমারদেশ
হত্যা রাবি নোমানী প্রথমআলো
হত্যা রাবি রাবি শিবির সেক্রেটারী নোমানী ভোরের কাগজ
হত্যা রাবি নোমানী ন্উিএজ
কুপিয়ে হত্যা রাবি নোমানী নয়াদিগন্ত
কুপিয়ে হত্যা রাবি নোমানী ডেইলি স্টার
১৫.০৩.০৯ চবি ক্যাম্পাস দখল চবি সাধারণ শিক্ষার্থী ইত্তেফাক
ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ জবি আহত ছাত্রদল নেতা- লিমন, সোহাগ, রাসেল রাজু প্রথম আলো
১৬.০৩.০৯ ভর্তি বাণিজ্য ইডেন মহিলা কলেজ সাধারণ শিক্ষার্থী আমারদেশ
সন্ত্রাস, সংঘর্ষ ২৫ টি ভার্সিটি ও কলেজ সাধারণ শিক্ষার্থী মানবজমিন
ব্যাপক সন্ত্রাস ও সংঘর্ষ জবি সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথমআলো
ছাত্রলীগ নেতা দুই শিবির নেতাকে কুপিয়েছে বরিশাল বি,এম কলেজ শিবিরনেতা
গোলাম কিবরিয়া ও মামুন ন্উিনেশন
ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষ জিয়া হল , ঢাবি আহত-৯ ইত্তেফাক
যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মামলা রাবি শিবিরের ৫০ জনের নামে ইত্তেফাক
১৭.০৩.০৯ চাঁদাবজি ও
অভ্যন্তরীণ দন্ধ তেজগাঁও পলিটেকনিক কলেজ সাধারণ শিক্ষার্থী ইত্তেফাক
অভ্যন্তরীণ সংঘাত ঢাবি কতিপয় ছাত্রলীগ কর্মী আহত ( রানা, হারুন, মহসিন,
শিহান, আসাদ, লিটন, আমির, ফয়সাল , জাকারিয়া, নিসান, মাহমুদ, বিদ্যুৎ)
নয়াদিগন্ত
ছাত্র সংসদ দখল খুলনা এম এম কলেজ সাধারণ শিক্ষার্থী সংগ্রাম
ঢাবির জিয়া হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুুুপের সংঘর্ষ
আহত ৯ ইত্তেফাক
ছাত্রলীগে ভর্তি বাণিজ্য ইডেন মহিলা কলেজ সাধারণ ছাত্রীরা ইত্তেফাক
ছাত্রলীগের স্কুল - কলেজে ভর্তিতে চাপ প্রয়োগ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রথম আলো
১৮.০৩.০৯ কলেজ দখল লালমনিরহাট সাধারণ শিক্ষার্থী যুগান্তর
ভর্তি বাণিজ্য সরকারি বিবিও কলেজ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী নয়াদিগন্ত

১৯.০৩.০৯ অভ্যন্তরীণ সংঘাত চবি ছাত্রলীগ কর্মী ও হাটহাজারী থানার ওসিসহ ৮
জন আহত ( সফিক, ইশরাম, অসিত, অভি, মিথুন, নুরুজ্জামান, হিমেল) যুগান্তর ,
সংবাদ
২০.০৩.০৯ অভ্যন্তরীণ সংঘাত (এক ছাত্রের রগকেটে দিয়েছে) ঢাকা পলিটেকনিক
ইনষ্টিটিউশন ছাত্রলীগ কর্মী ইশতি ইনকিলাব
কলেজ ভাংচুর মুন্সিগঞ্জ সাধারণ শিক্ষার্থী ইনকিলাব
টাকা না পেয়ে পরিবার উচ্ছেদ রাজশাহীর তানোর এক গরীব পরিবার ইনকিলাব
ছাত্রলীগ ভিসি পরিবর্তনে চাপ প্রয়োগ বিএসএমএমইউ বিএসএমএমইউ’র ভিসি প্রথম আলো
২১.০৩.০৯ যোগ্যতা না থাকলে ও ছাত্রলীগ নেত্রীকে হাউস টিউটর করার চেষ্ঠা
ঢাবি সাধারণ শিক্ষার্থী আমারদেশ
৬ শিক্ষার্থীকে মারধর জাবি সাধারণ শিক্ষার্থী আমারদেশ
শিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের মারধর জাবি শিবির কর্মী ৫ আহত (তানিম, পলক,
আশিক, মতিয়ার, মেহেদী, ইমরান) ন্উিএজ

২৩.০৩.০৯ অভ্যন্তরীণ সংঘাত সিলেট, রাজশাহী, রংপুর সাধারণ শিক্ষার্থী ইত্তেফাক
টেণ্ডারবাজি সোনালী ব্যাংক, ঢাকা এস আলী এন্ড সন্স, মেসার্স গ্রীন
ইন্টারন্যাশনাল প্রথমআলো
২৬.০৩.০৯ মারপিট জাবি সাধারণ শিক্ষার্থী প্রথমআলো
২৭.০৩.০৯ যুবলীগ নেতা খুন ঢাকা নেতা মানবজমিন
ছাত্রলীগ শিবির কর্মীদের প্রহার করেছে সালাম,বরকত হল, জাবি শিবিররা ইনডিপেন্ডেন্ট
৩১.০৩.০৯ ভাংচুর, লুটপাট, চাঁদাবাজি ফেনী মাস্টারপাড়া আশরাফুল প্রথমআলো, সমকাল
০১.০৪.০৯ হত্যা , হামলা, লাঞ্চনা ঢামেক- ফজলে রাব্বী ছাত্রাবাস রাজিব
নিহত, আহত ৫০ প্রথমআলো
ছাত্রলীগের সংঘর্ষ ঢাবি- শামসুন্নাহার হল ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রথমআলো
বাকৃবি প্রক্টর, সহ-প্রক্টর ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রথমআলো
০২.০৪.০৯ ভর্তি বাণিজ্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থী সমকাল
বেপরোয়া ছাত্রলীগ সারাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী জনকণ্ঠ
অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ ঢাকা পলিটেকনিক ছাত্রলীগ কর্মীরা যুগান্তর
০৩.০৪.০৯ ছাত্রলীগের দু’গ্র“প মুখোমূখী চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ ছাত্রলীগ
কর্মীরা জনকণ্ঠ
ভর্তি বাণিজ্য ঢাকা কলেজ সাধারণ শিক্ষার্থী জনকণ্ঠ
নেতা ফেল কারায় ভাংচুর যশোর পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউশন সাধারণ শিক্ষার্থী জনকণ্ঠ
ছাত্রলীগ নেতার নামে দুধকের মামলা বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্রলীগ নেতারা সংগ্রাম
ভর্তি বন্ধ করা নারায়নগঞ্জ তোলারাম কলেজ সাধারণ শিক্ষার্থী সংগ্রাম
জোয় হলে পাহারায় বাসানো জাবি সাধারণ শিক্ষার্থী সমকাল
ছাত্রলীগের আগুনে পুড়ছে আওয়ামীলীগ সারাদেশ যুগান্তর
ঠিকাদারির কমিশন ভাগাভাগি ঢামেক যুগান্তর
০৪.০৪.০৯ অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ জাবি ছাত্রলীগ কর্মীরা যুগান্তর, আমারদেশ
নষ্ঠ ছাত্র রাজনীতি গুরুর হাতে বলি শিষ্য ঢামেক সমকাল
আত্মঘাতি ছাত্রলীগ মানবজমিন
অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ খুলনা কমার্স কলেজ ছাত্রলীগ কর্মীরা সংগ্রাম
অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ জাবি তম্ময়, বেলাল, রবিন, লিটন, রণি, জয়সহ ২০জন ইত্তেফাক
অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ জাবি ছাত্রলীগ কর্মী ইনকিলাব
অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ জাবি ছাত্রলীগ কর্মী প্রথআলো
কোটি টাকার ভর্তি বাণিজ্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি কলেজ সাধারণ
মেধাবী শিক্ষার্থী ডেইলি স্টার
০৫.০৪.০৯ ছাত্রলীগ এখন পাগলা ঘোড়া সারাদেশ সাধারণ মানুষ আমারদেশ
ছাত্রী উত্যক্ত জবি ছাত্রীরা সমকাল
সাংগঠনিক পদ ছাড়লেন শেখ হাসিনা সমকাল
ধর্মঘট হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শ্ক্ষিার্থী নয়াদিগন্ত
অভ্যন্তরিণ সংঘর্ষ দিনাজপুর কর্মীরা যুগান্তর
০৬.০৪.০৯ ছাত্রলীগে অস্থিরতা সারাদেশ সাধারণ মানুষ ইত্তেফাক
টেল্গারবাজ ও চাঁদাবাজি সারাদেশ সাধারণ মানুষ ইত্তেফাক
ছাত্রলীগের ব্যর্থ নেতৃত্ব সারাদেশ সাধারণ মানুষ জনকণ্ঠ
০৭.০৪.০৯ অস্ত্রসহ আটক ঢাবি ট্যাক্সিচালক আমারদেশ
বেপরোয়া জুনিয়র কর্মীরা চবি সাধারণ শিক্ষার্থী যায়যায়দিন
শিক্ষককে জীবননাশের হুমকি যশোর প্রধান শিক্ষক জনকণ্ঠ
সাংবাদিককে মারধর জাবি দিনকাল পত্রিকার সাংবাদিক রাজ্জাক পারভেজ সংগ্রাম
ছিনত্ইা ঢাবি ফেরদৌস নামক প্রাইভেট গাড়ী চালক আমারদেশ
ছিনত্ইা ঢাবি ফেরদৌস নামক প্রাইভেট গাড়ী চালক নয়াদিগন্ত
মারধর কুড়িগ্রাম দুইজন কলেজ শিক্ষক নয়াদিগন্ত
মারধর , হামলা রাজশাহী আবু তাহেরসহ ৫ জন জনৈক বিএনপি কর্মী যায়যায়দিন

০৯.০৪.০৯ অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও মারধর শাবিপ্রবি, হা. দানেশ বি. ভিসি, হা.
দানেশ বি বিশ্ব. ও ছাত্রলীগের কতিপয় কর্মী নয়াদিগন্ত
অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও মারধর দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ ১১ জন ছাত্রলীগ কর্মী যুগান্তর
২২ অস্ত্র উদ্ধার, আটক ঢা.বি এস এম হল ছাত্রলীগ নেতা প্রথম আলো, জনকণ্ঠ, মানবজমিন
মারধর জা.বি সাধারণ ছাত্র যুগান্তর
গ্রেফতার সিরাজগঞ্জ ছাত্রলীগে নেতা বাংলাবাজার
চাঁদাবাজি চট্টগ্রাম সাধারণ মানুষ সমকাল
সব অরাধে জড়িত ছাত্রলীগ সারাদেশ ” ”
ভর্তি বাণিজ্য, কলেজে তালা নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা জনকণ্ঠ
হামলা পবিপ্রবি ছাত্রমৈত্রী যুগান্তর
৩ মাসে ৮ টি অভ্যন্তরীণ সংঘাত জাবি কতিপয় ছাত্রলীগ কর্মী সংবাদ
১১.০৪.০৯ বর্বর হামলা ও মারধর কুষ্টিয়া - কুমারখালি ইউএনও ইত্তেফাক
১৮.০৪.০৯ হল দখল ক্যান্টিন ক্লাব দখল মাস্তানি, চাঁঁদাবাজি, আধিপাত্য
বিস্তার , অভ্যন্তরীণ সংঘাত দেশের ৭ টি মেডিকেল কলেজ ১৭ টি মেডিকেল
কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠন গুলো
যুগান্তর
অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও সংঘর্ষ এবং কলেজ বন্ধ ঘোষণা বরিশাল মেডিকেল কলেজ উক্ত
কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী প্রথম আলো


সংগ্রহে রাখার মত

দলিলপর্ব১

Wednesday 11 August 2010

১৯৭৩ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের কিছু খবরের শিরোনাম

“ঝিনাইদহে এক সপ্তাহে আটটি গুপ্তহত্যা”(০১/০৭/৭৩);“ঢাকা-আরিচা সড়কঃ সূর্য ডুবিলেই ডাকাতের ভয়” (০২/০৭/৭৩) “বরিশালে থানা অস্ত্রশালা লুটঃ ৪ ব্যক্তি নিহত” (৪/০৭/৭৩);“পুলিশ ফাঁড়ি আক্রান্তঃ সমুদয় অস্ত্রশস্ত্র লুট” (১২/০৭/৭৩);“লৌহজং থানা ও ব্যাঙ্ক লুট”(২৮/০৭/৭৩);“দুর্বৃত্তের... ফ্রি স্টাইল” (০১/০৮/৭৩); “পুলিশ ফাঁড়ি ও বাজার লুটঃ লঞ্চ ও ট্রেনে ডাকাতি”(৩/০৮/৭৩);“এবার পাইকারীহারে ছিনতাইঃ সন্ধা হইলেই শ্মশান”(১১/০৮/৭৩);“চট্টগ্রামে ব্যাংক ডাকাতি,লালদীঘিতে গ্রেনেড চার্জে ১৮ জন আহত, পাথরঘাটায় রেঞ্জার অফিসের অস্ত্র লুট” (১৫/০৮/৭৩);“খুন ডাকাতি রাহাজানিঃ নোয়াখালীর নিত্যকার ঘটনা,জনমনে ভীতি” (১৬/০৮/৭৩); “২০ মাসে জামালপুরে ১৬১৮টি ডাকাতি ও হত্যাকান্ড” (১৭/১১/৭৩);“আরও একটি পুলিশক্যাম্প লুটঃ সুবেদরসহ ৩ জন পুলিশ অপহৃত” (১৩/০৭/৭৩);“যশোরে বাজার লুটঃ দুর্বৃত্তের গুলীতে ২০ জন আহত” (১৮/০৪/৭৪);“রাজশাহীতে ব্যাংক লুট” (২১/৪/৭৪)। মুজিব আমলের পত্রিকাগুলো পড়লে চোখে পড়বে এরূপ হাজার হাজার ঘটনা ও বহু হাজার বিয়োগান্ত খবর। পাকিস্তানের ২৩ বছরের ইতিহাসে দুর্বৃত্তির যত না ঘটনা ঘটেছে মুজিবের ৪ বছরে তার চেয়ে বহু গুণ বেশী ঘটেছে। বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে “ভিক্ষার ঝুলী”-এ খেতাব জুটিনি,কিন্তু মুজিব সেটি অর্জন করেছে। অথচ কিছু কাল আগেও গ্রামবাংলার অধিকাংশ মানুষের গৃহে কাঠের দরজা-জানালা ছিল না। ঘরের দরজায় চট বা চাটাই টানিয়ে অধিকাংশ মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদে রাত কাটাতো। কিন্তু মুজিব শুধু খাদ্যই নয়,সে নিরাপত্তাটুকুও কেড়ে নেয়

Wednesday 4 August 2010

যুদ্ধাপরাধী কারা আর বিচার হচ্ছে কাদের -মীর্যা সিকান্দার

বেশ কিছুদিন ধরে পত্র-পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলগুলোতে সরকারি দলের পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে ব্যাপক প্রচার ও প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছিল। হঠাৎ করে মাঝখানে এক মন্ত্রী সাহেব বললেন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা হবে না বিচার করা হবে মানবতাবিরোধী কাজের। চিন্তায় পড়ে গেলাম ব্যাপার কি যুদ্ধাপরাধীদের যদি বাদ দেয়া হয় তাহলে মানবতাবিরোধী কাজের জন্য কাদের বিচার করা হবে! দু'একদিন পরেই জানতে পারলাম যেটা মামলেট সেটাই ডিমভাজা। অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় তারা যাদের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন যুদ্ধাপরাধীর বিচার না করে মানবতাবিরোধী কাজের বিচারের তালিকা থেকে তাদের একজনের নামও বাদ পড়েনি। বরং মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা চার, পাঁচ বছরের ছিল অথবা জন্মেইনি তাদের নামও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এমন কি যারা মুক্তিযুদ্ধে বড় বড় দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইসলামী আন্দোলন করার কারণে এখন তারাও রাজাকার। পক্ষান্তরে যারা রাজাকার অথবা পিস কমিটির চেয়ারম্যান ছিল আওয়ামী লীগে যোগ দেবার কারণে তারা এখন মুক্তিযোদ্ধা। একজন রসিক ব্যক্তি রসিকতা করে বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নামে একটি পরশ পাথর আছে যার ছোঁয়া পেলে কঠিন রাজাকারও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায় আর ছোঁয়া না পাওয়ায় মেজর আঃ জলিল মরহুমের মত সেক্টর কমান্ডারও রাজাকার হয়ে যায়। যার ছোঁয়া পেলে নেশাখোর, খুনী, ধর্ষণকারী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীও মহান নেতায় পরিণত হয় আর ছোঁয়া না পেলে শিক্ষাবিদ জ্ঞানী-গুণী পুতঃ পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন জীবনের অধিকারী মহৎ ব্যক্তিরাও জঙ্গি খেতাবে ভূষিত হন।
হ্যাঁ, যে কথা ফেলে এসেছি। বিচারিক বিষয়ের নাম পরিবর্তনের হেতু কি? সরকারের যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ইস্যুটি নিছক রাজনৈতিক মতলব হাসিল ছাড়া কিছু নয়। এটা আন্তর্জাতিক কোন আইনেই পড়ে না। যে কারণে আন্তর্জাতিক কোন সমর্থন মেলেনি। বরং বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট আইনবিশারদগণ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এই বিচারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে যে, এ বিচার হবে মানবতাবিরোধী। আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ আইনবিদ ও বিশিষ্টজনের কিছু বক্তব্য এখানে তুলে ধরা হলো।
বিচারপতি টিএইচ খান-- বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল গঠনের মাধ্যমে প্রকৃত আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। ঐ আদালতের সাথে আমাদের দেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য গঠিত আওয়ামী লীগের আদালতের আন্তর্জাতিক শব্দটা ছাড়া আর কোন সম্পর্ক নেই। মূলকথা হচ্ছে কিসে আর কিসে ধানে আর তুষে। জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে দিন আর রাত এবং আকাশ আর পাতালের পার্থক্যের মতো। আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক নিয়োগ করা হয় সারাবিশ্ব থেকে অভিজ্ঞ ও দক্ষ বিচারকদের সমন্বয়ে। যুগোস্লাভিয়া ও রুয়ান্ডাসহ যেখানেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে তাতে সারাবিশ্ব থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে বিচারক করা হয়েছে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়েছে। যুগোল্লাভিয়ায় নয়টি দেশ থেকে নয় জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি রুয়ান্ডা ট্রায়ালের বিচারক ছিলাম। সেখানে ৬ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। রোমট্রায়াল শুরু হয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৮ জন বিচারককে নিয়ে। আর বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালের অবস্থা হলো আমিই বরের মা-আমিই কনের মা। এখানের অবস্থা হলো তারাই তদন্তকারী তারাই উকিল তারাই বিচারক। তিনি শেরে বাংলার একটি উক্তি এখানে তুলে ধরেন।
একজন নির্দোষ ব্যক্তি যেন সাজা না পায় প্রয়োজনে ১০ জনে দোষী খালাস পেয়ে যাক-- এটাই হলো আইনের মূলনীতি। সেই মূলনীতি এখানে উপেক্ষিত হয়েছে। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হবার আগে কাউকে দোষী বলা যাবে না। এই মূলনীতি উপেক্ষা করে মন্ত্রীরা কারো কারো নাম ধরে বলেছেন তাদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে বিচার কার্যকর করা হবে। মানে রায় আগেই দেয়া হয়ে গেছে। মূল সাক্ষ্য আইনকে এই বিচারিক আইনে কবর দেয়া হয়ে গেছে। পত্রিকার রিপোর্ট ফটো এটাও নাকি সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য হবে। অমুক অপরাধী আমি তার সহযোগী হিসেবে তার সাথে ছিলাম। এমন সাক্ষ্যও গ্রহণ করা হয়েছে। অথচ এই সহযোগী অপরাধী নয়। এ এক অভিনব আইন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাথে এই আইনের তুলনা কোথায় লিভারপুল আর কোথায় হাতিরপুল এর মতই।
গত বছর জুলাইতে '৭৩ এর এ্যাক্টের ওপর যে আইন পাস করা হয়েছে সেটা সংসদের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। আগে যেখানে ছিল আর্মড ফোর্স, ডিফেন্স ফোর্স এবং অক্সিলারী ফোর্স, এই সংশোধনীর মাধ্যমে তার সাথে যোগ দেয়া হয়েছে ব্যক্তিগত অপরাধকারী এবং অপরাধকারী গ্রুপ। এ সংশোধনীর উদ্দেশ্য হলো যেনতেনভাবে তাদের টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ সাজা দেয়া। এটা হবে বিচারের নামে প্রহসন। অবিচার হলে বা বিচারে সন্তুষ্ট না হলে হাইকোর্টে রিভিউ করারও এখতিয়ার রাখা হয়নি এই আইনে।
সম্মানিত আইনজীবীগণ আপনারা আরো জানুন, বুঝুন। আইনের পোশাক পরে আপনারা কোর্টেও যেতে পারতেন না। কেউ মিথ্যে সাক্ষ্য দিলে আইনের দৃষ্টিতে সে অপরাধী। অথচ এই আইনে তা উপেক্ষা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে এটা হলো হাত পা বেঁধে কুরবানীর গরুর জবেহ করার মত কাউকে জোর করে ফাঁসি দেয়া।
বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, আইনটিতে অনেক গলদ রয়েছে। সংবিধানকে এড়িয়ে আইন হলে তা খুবই জঘন্যতম হিসেবে বিবেচিত হবে। এ আইনে জুডিশিয়াল রিভিউর অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে। এটি বিচারপ্রার্থীর একটি মৌলিক অধিকার ও সংবিধানের মৌল ভিত্তি। রাতারাতি আইন করলে যা হয় ১৯৭৩ সালের আইনের ক্ষেত্রে তা রয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক মানদন্ড রক্ষিত হয়নি। স্বাধীনতার পরেও মানবতাবিরোধী অনেক কাজ হয়েছে। এ আইনে আসতে পারে। স্বাধীনতা পরবর্তী রক্ষী-বাহিনীর নির্যাতনকেও মানবতাবিরোধী আইনের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। হাইকোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে তা আইনসিদ্ধ হবে না। এটি সংবিধানের স্কীম নয়। সংবিধানের মূল আদর্শ থেকে বিচ্যুত হলে চলবে না। ১৯৭৩ সালের আইনে ২০০৯ সালে সংশোধন আনা হয়। এটিও বিতর্কিত। প্রহসনের বিচার করলে কেউ রেহাই পাবে না। আর এমন কোন বিচার করবেন না যাতে আপনাদের আবার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়।
এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন : মরহুম শেখ মুজিবই ১৯৫ জন মূল যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিলুপ্ত করে গেছেন। কাজেই যুদ্ধাপরাধীর সহযোগীদের বিচার করতে হলে ঐ অপরাধে আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিবেরই বিচার করতে হবে আগে। এছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের উদ্যোগ যদি নিতেই হয় তাহলে রক্ষীবাহিনী ও তাদের নেতাদের বিচার হতে হবে। তাদের হাতেই হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে দেশের নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছিলেন। কলাবরেটর এ্যাক্টে এমন কোন অপরাধ ছিল না যার বিচার করা যেত না। কিন্তু সেটা কারা বাতিল করেছে তা সময়মত ফাঁস করে দেব। মূল অপরাধীকে ছেড়ে দিয়ে সহযোগীদের বিচার করা দুনিয়ায় কোন নজির নেই। যে আইনে বিচার করা হচ্ছে সেটা কোন সভ্য সমাজের আইন হতে পারে না।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচার করা হলে বাংলাদেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে। আইনজীবীরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী আইনের শাসন বিরোধী কিছু করা হলে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচারের আয়োজন করলে আমরা ২৬ হাজার আইনজীবীকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করব। কাজেই সময় আছে সাবধান হোন।
জনাব ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, সিমলা চুক্তির মাধ্যমে ৯৪ থেকে ৯৮ হাজার যুদ্ধবন্দী এবং ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দেয়ার পর আর এই বিচার চলতে পারে না। এই বিচারের আর প্রয়োজন নেই। তবে বিচার যদি করতে হয় তবে দেশীয় আইন ও সংবিধানের মৌলিক মানবাধিকার বহাল রেখে করতে হবে। আন্তর্জাতিক মানদন্ডে উন্নীত করতে হবে আইন। যে আইনে বিচার করা হচ্ছে তা মানবাধিকার ও সংবিধান পরিপন্থী। প্রথম কথা হচ্ছে, এ আইনে বিচার করা যাবে না। গায়ের জোরে বিচার করতে গেলে উল্টো বিচারক ও বিচারের উদ্যোক্তাদেরই আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কেননা, কোন জংলী কালো আইন দিয়ে বিচার করা আদালতের কাজ নয়। প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন বলেন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে করা হয়েছে বলে মনে হয়।
এ দেশের মানুষ পাকিস্তানী বর্বর বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। কিন্তু আজ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে যেন আমরা কিছু রাজাকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম। বর্তমান প্রজন্মকে আমরা কি এটাই শিখাতে চাচ্ছি? আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলাম। কারা বিরোধিতা করেছে তা আমি দেখেছি। তারা ছিল একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী। হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগসহ জঘন্য অপরাধের সাথে যুক্ত পাকিস্তান আর্মির সদস্যদের কোন কথাই এখানে উচ্চারিত হচ্ছে না। বিচার যদি করতেই হয় তাহলে আগে ক্ষমা করে দেয়া সেই ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এরপর সহযোগীদের বিচারের প্রশ্ন আসবে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ আইনের অধীনে বিচার হবে অবৈধ ও অসাংবিধানিক।
এডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, আইনটির প্রবিধানে আন্তর্জাতিক মানদন্ড নিশ্চিত হয়েছে কিনা তা জাতির কাছে পরিষ্কার করতে হবে।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, এমপি বলেন, এ বিচার আরেক ধরনের মানবতাবিরোধী কাজ হবে।
এডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন যাতে না হয় সে জন্য এ আইনের সংশোধন জরুরি। ব্যারিস্টার ফাতেমা আনোয়ার বলেন, ১৯৭৩ সালের অনেক ধারাই আন্তর্জাতিক আইনের মানদন্ডের অনেক নিচে। এটি একটি প্রশ্নবিদ্ধ আইন।
ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন বলেন, আইনটিতে কোন গাইড লাইন নেই। কিভাবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে তা সচেতন মহলের বুঝে আসছে না। ইন্টারন্যাশনাল বার এসোসিয়েশনের আইনগত মতামতের সার সংক্ষেপ : আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়ক হলো এই আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বার্থ ও অধিকার সংরক্ষণ। আমরা মনে করি এই আইনে স্বীকৃত আন্তর্জাতিক মানদন্ডের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এই স্বীকৃত মানদন্ডের মূল উপজীব্য নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির ১৪ অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে। এই অনুচ্ছেদের কতিপয় মানদন্ড ১৯৭৩ সালের আইনের অন্তর্ভুক্ত করা হলেও অনেকগুলো এতে অনুপস্থিত। যা ট্রাইব্যুনালকে সমালোচনার মুখোমুখি করবে।
আমরা নিম্নরূপ সুপারিশ পেশ করছি।
১. ১৯৭৩ সালের আইনের ৬(৫) ধারা সংশোধন করা উচিত যাতে ট্রাইব্যুনালের কোন একজন সদস্য শুনানিতে অংশগ্রহণ না করতে পারলে টাইব্যুনালের কার্য পদ্ধতি মূলতবি করা যায়।
২. এই আইনে একটি প্রবিধান সংযোজন করা উচিত যাতে ট্রাইব্যুনালের গঠন বা এর চেয়ারম্যান অথবা সদস্যের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ অধিকার দেয়া থাকবে।
৩. এই আইনের ৮ ধারায় ৫ ও ৭ উপধারা বাতিল করতে হবে। কারণ এগুলো অকার্যকর ও অপ্রয়োজনীয়।
৪. ১১ ধারার ২ উপধারা সংশোধন করতে হবে। যাতে ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্ত ব্যক্তির নীরবতা থেকে না বোধক অনুমান (Negative Interference) করতে না পারে।
৫. ১৮ ধারা সম্পূর্ণ বাতিল করা উচিত।
৬. অভিযুক্ত ব্যক্তি কিংবা সাক্ষী নিজে অপরাধে সম্পৃক্ত হয়ে এ ধরনের সাক্ষ্যের ব্যাপারে আইনে অধিকার সুস্পষ্টভাবে সংরক্ষণ করা উচিত।
৭. ১০ নং ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনজীবীর Opening Statement প্রদানের বিধান সংযুক্ত করা উচিত।
৮. এই আইনের ১২ ধারায় নিম্নরূপ বিধান সংযোজন করা উচিত : ‘‘ কোন অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনী সহায়তা না পেয়ে থাকলে বিচারের যে কোন পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্ত ব্যক্তির জন্য আইনজীবী নিয়োগের নির্দেশ দিবেন।’’
৯. এই আইনে উল্লেখিত মৃত্যুদন্ডের বিধান বাতিল করতে হবে।
১০. ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র আপীল আদালতে (সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ ব্যতীত) দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির আপীল করার অধিকার সম্বলিত বিধান সংযোজন করা উচিত।
১১. ১৯ ধারার ১ উপধারা বিলুপ্ত করতে হবে।
১২. ঐতিহাসিক ঘটনা প্রমাণে সাক্ষ্য-সম্পর্কিত বিধান এই আইনে সংযোজন করা উচিত।
১৩. Rome Statute এর ৫৪ অনুচ্ছেদ এ বর্ণিত প্রসিকিউশনের কর্তব্য ও ক্ষমতাসমূহ এই আইনে সংযোজন করা উচিত।
১৪. Rome Statute এর ৫৫ অনুচ্ছেদ এ সংরক্ষিত তদন্ত চলাকালীন সময়ে প্রযোজ্য সন্দেহভাজন ব্যক্তির অধিকারসমূহ ১৯৭৩ সালের আইনে থাকা উচিত।
The Honourable Michel j Belof QC-কে অনুরোধ করা হয়েছিল সংবিধানের ১ম সংশোধনী আইন ১৯৭৩ এর সাংবিধানিক বৈধতার ওপর তার মতামত দেবার জন্য। উল্লেখ্য, এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে ৪৭ (৩) ও ৪৭(ক) অনুচ্ছেদ সংযোজিত হয়েছিল। সংবিধানের ৪৭(৩) অনুচ্ছেদ মতে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারণে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। অধিকন্তু ৪৭(ক) অনুচ্ছেদের বিধান হলো ১৯৭৩ সালের আইনে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তির মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হতে পারবে না।
২. তিনি মনে করেন Judicial Review বাংলাদেশের সংবিধানের একটি মৌলিক কাঠামো (Basic Structure) ৪৭ (৩) ও ৪৭ক অনুচ্ছেদ এর বিধান হলো ৪৭ (৩) ও ৪৭ ক অনুচ্ছেদসমূহ High Court কর্তৃক সংসদে পাসকৃত আইনের বিচার বিভাগীয় নিরিক্ষার (Judicial Review) এর ক্ষমতা খর্ব করে তা অসাংবিধানিক।
৩. তিনি আরো মনে করেন ১৯৭৩ সালের আইনের ৬ ধারা ট্রাইব্যুনালের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ এ বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ মর্যাদার সদস্যদের পদের মেয়াদের যে নিশ্চয়তা দেয়া আছে তা ট্রাইব্যুনালের সদস্যদের দেয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে এটি যথাযথ মানদন্ডে উত্তীর্ণ নয়। পদের মেয়াদের অনিশ্চয়তা সরকারি প্রসিকিউটর-এর প্রতি ট্রাইব্যুনালকে অনুগ্রহশীল করতে পারে।
৪. ট্রাইব্যুনালের গঠনকে চ্যালেঞ্জ করতে না পারার বিধান (১৯৭৩ সালের আইনের ৬ ধারার ৮ উপধারা) ট্রাইব্যুনালকে পক্ষপাতদুষ্ট করতে পারে। (Rome Statute) এর ৪১.১ ও ২ (বি) যদিও ৬ ধারার ৮ উপধারা চ্যালেঞ্জ করার অধিকার প্রসিকিটউর ও অভিযুক্ত উভয়ের জন্যে সমভাবে প্রযোজ্য।
৫. ১৯৭৩ সালের আইনের নির্দোষ অনুমান (Presumption of Innocence) এর কোন সুস্পষ্ট বিধান নেই। সুনির্দিষ্ট বিধানের অনুপস্থিতি আইনটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণাপত্র ও আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত চুক্তির বিধানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ করেছে।
পরিশেষে বলা যায় ১৯৭৩ সালের আইনে জামিনের কোন বিধান নেই। ১১ ধারার ৫ উপধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক রাখার বিধান আছে। বিচার চলাকালীন সময়ে মুক্ত থাকা দন্ডিত হবার আগে নির্দোষ অনুমিত হবার অধিকারের অংশ। অথচ আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত চুক্তির ৯.৩ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সম্পর্কিত ঘোষণাপত্রের ৯. অনুচ্ছেদ জামিনের অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের আইনগত মতামত সংক্ষেপে এখানে পেশ করা হলো: ১৯৭৩ সালের আইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী বন্দির বিচার সম্পাদন। ১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই সংবিধানের ১ম সংশোধনী আইন পাস হয়। এই সংশোধনী জরুরি ছিল। কারণ ১৯৭৩ সালের আইনের সংবিধানের স্বীকৃত কতিপয় মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী বিধান রয়েছে। ৪৭ (৩) অনুচ্ছেদ ও ৪৭ ক অনুচ্ছেদ সংযোজনের মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তির মৌলিক অধিকার যেমন আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, ৩৫ অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিচার ও দন্ড সম্পর্কিত রক্ষাকবচ, মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ (অনুচ্ছেদ ৪৪) ইত্যাদি খর্ব করাকে সাংবিধানিক বৈধতা দেয়া হয়েছে। এই সংশোধনী অভিযুক্ত ব্যক্তির ১০২ অনুচ্ছেদের অধীনে Judicial Review এর অধিকারও খর্ব করেছে। সুতরাং ৮ম সংশোধনীর মামলা রায়ের আলোকে বলা যায়, এই সংশোধনী Judicial Review এর মত সংবিধানের একটি মৌল কাঠামোকে ধ্বংস করেছে। তাই সংবিধানের নতুন সংযোজিত ৪৭(৩) ও ৪৭ক অসাংবিধানিক। এছাড়া আইনটিতে যে ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা দেয়া হয়েছে তাও আপত্তিকর। এই আইনটিতে নির্দোষিতার অনুমান Presumption of innocence ও জামিনের বিধান না থাকায় তা আন্তর্জাতিক মানদন্ড উত্তীর্ণ নয়। এই আইনের ১৯ (১) ট্রাইব্যুনালকে যে কোন সাক্ষ্য গ্রহণের অনিয়মতান্ত্রিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালকে মৃত্যুদন্ডসহ যেকোন শাস্তি প্রদানের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে অথচ কোন গাইড লাইন দেয়া হয়নি। এতে ন্যায়বিচার পরাহত হবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। Procedural Safeguards ছাড়া বিধি ও কার্যপদ্ধতি প্রণয়নের একচেটিয়া ক্ষমতা প্রদান ট্রাইব্যুনালকে মুলত Kangaroo Court-এ পরিগণিত করতে পারে। অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবেই দন্ডিত হবে।
আইন এবং আদালতের প্রয়োজন হয় সমাজের শান্তি-শৃক্মখলা বজায় রাখা, সমাজবাসীর সর্বপ্রকার অধিকার সংরক্ষণ ও কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। কেউ যাতে গায়ের জোরে অন্যের অধিকার হরণ করতে না পারে, প্রত্যেকের জান-মাল ইজ্জ্বত নিরাপদে থাকে। কেউ যদি এমনটি করে তাকে আইনের আওতায় এনে সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে সে দোষী প্রমাণিত হলে তাকে যথাযোগ্য শাস্তির বিধান করা এবং রাষ্ট্র বঞ্চিতের বা নির্যাতিতের হক তাকে পৌঁছিয়ে দেবে। সে কারণেই আইন ও বিচার ব্যবস্থা হতে হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সার্বজনীন। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিশেষের স্বার্থ রক্ষায় আইন এবং আদালত এ দুটো প্রভাবিত হতে পারে না। যদি এ দুটো প্রভাবিত হয় তবে দেশে শান্তি-শৃক্মখলা ও ইনসাফ বলে কিছুই থাকে না। জোর যার মুল্লুক তার নীতির দৌরাত্ম্যে সমাজে মানুষ বাসের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। মানুষের জানমাল ইজ্জ্বত দারুণভাবে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে।
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনি দেশের শান্তি শৃক্মখলা উধাও হয়েছে আর নেমে এসেছে সীমাহীন দুর্নীতি আর সন্ত্রাস। মানুষের জানমাল ইজ্জ্বত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে নিজেদের লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে। আইন-আদালতকে প্রভাবিত করে মিথ্যে মামলা, পুলিশ, যুবলীগ আর ছাত্রলীগ দিয়ে হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষকে নির্মূলের অভিযান চালিয়ে থাকে। আইন আদালতকে কুক্ষিগত করার কারণে বঞ্চিত ও নির্যাতিত জনগণ আইন এবং আদালত থেকে সামান্য সাহায্যও লাভ করতে পারে না। ফলে সরকারি দলের যে কেউ যদি ১০টা খুন এবং ২০টা মেয়ের সম্ভ্রম লুটে নেয় থানায় তাদের কোন কেস নেয় না। বরং অপকর্ম করার সময় পুলিশ Safeguard এর ভূমিকা পালন করে। পক্ষান্তরে প্রতিপক্ষের শীর্ষ নেতাদেরকে মিথ্যে ধানাই পানাই অযুহাতে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিদের নানাভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে। ডক্টর হুমায়ূন আযাদ মরলেন কোথায়, এবং তার লাশ পরীক্ষা করে ডাক্তাররা বলেছিলেন যে বেশী পরিমাণ মদপানে হার্ট এ্যাটাক হয়ে তিনি মারা গেছেন। অথচ বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন যিনি দেশে বিদেশে কয়েক হাজার অমুসলিমকে মুসলমান বানিয়েছেন ড. হুমায়ূন আযাদের মৃত্যুর জন্য তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। যদিও সাঈদী সাহেবের জেলার হিন্দু মুসলমান, বৌদ্ধ-খৃস্টান সকলে বলছেন যে তিনি স্বাধীনতা আন্দালনের সময় কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলেন না, এবং কোন অসামাজিক কাজ তিনি করেননি। বরং তিনি দু'বার এমপি হয়েছেন, তার সময়ে আমরা মায়ের কোলে থাকার মত নিরাপদে ছিলাম। তার মত ভাল মানুষ আমরা আর কাউকে দেখিনি। তারপরেও তাকে যুদ্ধাপরাধী বানিয়ে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। আসলে যারা ‘ইসলামের' শত্রু তাদের নিকট ইসলামের মহান ব্যক্তিদের মূল্যায়ন হবে কিভাবে?
যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে যে প্রহসন করা হচ্ছে সবাই বলছে এটা অমানবিক। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যে কোন নাগরিক রাষ্ট্রের পক্ষ নেবে এটাই স্বাভাবিক। রাষ্ট্রের পক্ষে সমর্থন করা, আন্দোলনের সাথে মতপার্থক্য হওয়া আর যুদ্ধাপরাধ এক জিনিস নয়। যুদ্ধের ময়দানে নেমে যারা লোকহত্যা, সম্পদ লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণ করেছে তাদের বাদে আর সকল ধরনের মতপার্থক্যকারী ব্যক্তিকে শেখ সাহেব নিজেই ক্ষমা করে গেছেন। এখন যদি শেখ সাহেবের ক্ষমাকৃত অপরাধে অপরাধীদের নতুন ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হয়, মূলতঃ জাতির পিতাকেই অবমাননা করা হয়। যাদেরকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গ্রেফতার করা হচ্ছে তারা ঐ চার অপরাধে অপরাধী নন। অপরাধী হলে এই ৩৬ বছরে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই থানায় বা কোর্টে মামলা করা হতো। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে জিডি পর্যন্ত নেই কোন থানায়।
সরকারি পক্ষের কেউ কেউ বলেছেন, মৌলবাদ বা ইসলামকে নির্মূল করতে হলে জামায়াতে ইসলামকে নির্মূল করতে হবে। কারণ, জামায়াত ইসলাম যতদিন থাকবে ততদিন মৌলবাদ থাকবে। সে কারণে জামায়াতে ইসলামীকে ঘায়েল করতে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুকেই তাদের চাঙ্গা করতে হয়েছে। সরকার মানবতাবিরোধী কাজের বিচার করতে চাচ্ছে। মানবতাবিরোধী কাজের বিচার করতে হলে কোন সময়ের বিচার করা হবে একাত্তরের আগের, ৭১ থেকে পঁচাত্তর, না একাত্তর থেকে ২০১০ পর্যন্ত মানবতাবিরোধী কাজের বিচার করা হবে? বর্তমান থেকে বিচার শুরু হওয়া ন্যায়সংগত। যেসব মানবতাবিরোধী কাজ বর্তমানে ঘটছে, যে সব তাজা ঘটনার সাক্ষী প্রমাণ পর্যাপ্ত পরিমাণে মওজুদ রয়েছে। অথচ সরকার সে সব মানবতাবিরোধী কাজের বিচার করছে না। বরং সরকারি দলের যাদের বিরুদ্ধে যত মানবতাবিরোধী মামলা ছিল সে সবগুলো সরকার ডিসমিস করিয়েছে এবং বর্তমানে সরকারি দলের লোকেরা যেসব মানবতাবিরোধী কাজ করছে সরকার তাদেরওে বিচার করছে না। অথচ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য সাক্ষী প্রমাণহীন ৩৬/৩৭ বছর আগের মানবতাবিরোধী কাজের বিচার করতে নেমেছে। যদি একাত্তর থেকে ২০১০ পর্যন্ত মানবতাবিরোধী কাজের হিসেব নেয়া হয় তবে দেখা যাবে আওয়ামী নেতা কর্মীরাই সর্বযুগে শ্রেষ্ঠত্বের আসন দখল করে বসে আছেন। তাদের মানবতাবিরোধী কাজের যদি তালিকা প্রস্তত করা হয় তাহলে একটি সুবৃহৎ গ্রন্থে পরিণত হবে। প্রবন্ধের কলেবর বৃদ্ধির ভয়ে অতি সংক্ষেপে দু'একটি উদাহরণ পেশ করা হল।
১৯৭১-১৯৭৫ শেখ সাহেব দলের নেতা কর্মীদের প্রতি স্নেহবশত: প্রকাশ্য জনসভায় ঘোষণা দেন, ‘এতদিন অন্যেরা খাইছে, এবার আমার লোকেরা খাইবো'। তার দলের লোকদের যারা সমালোচনা করত তাদের উদ্দেশে তিনি কঠোর ভাষায় বলেছিলেন লালঘোড়া দাবড়াইয়া দিমু। এবং তা তিনি দিয়েওছিলেন। নেতা-কর্মীরা ওই আশকারা পেয়ে মাত্রাহীনভাবে জাতীয় সম্পদ লুটপাট করতে শুরু করে, এমনকি জনগণের ব্যক্তিগত সম্পদও জবর দখল শুরু করে দেয়। শেখ সাহেব অতিষ্ঠ হয়ে বলে উঠলেন আমার চারদিকে কেবল চাটার দল সব খেয়ে শেষ করে ফেলল। তিনি রক্ষিবাহিনী গঠন করে সকল আইনের ঊর্ধ্বে তাদের সীমাহীন ক্ষমতা প্রদান করেন। যে কারণে রক্ষিবাহিনীর দ্বারা লাখ লাখ নর-নারী দারুণভাবে নির্যাতিত ও নিগৃহীত হন। কিন্তু রক্ষিবাহিনীর বিরুদ্ধে কোন মামলা করার উপায় ছিল না। তিনি রক্ষিবাহিনী দিয়ে প্রায় ৫০ হাজারের বেশী লোক হত্যা করান এদের মধ্যে বেশ কিছু হিন্দু পরিবারও ছিল। ১৯৯৬-২০০১ শেখ হাসিনার প্রথম শাসন আমলে আইন শৃক্মখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। সরকারি দলের লোকদের দ্বারা দুর্নীতি খুন ধর্ষন জবরদখল বোমা বিস্ফোরণ ইত্যাদি নাশকতামূলক কর্মকান্ডে দেশবাসী অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। কিন্তু বিচার চাওয়ার কোন সুযোগই ছিল না। শেখ হাসিনা যখন বিরোধীদলের নেত্রী ছিলেন তখনও দোতলা বাসে আগুন লাগিয়ে ১১/১২ জন লোক পুড়িয়ে মেরেছিলেন। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর দিনদুপুরে প্রকাশ্য রাজপথে জামায়াত-শিবিরের ১২/১৪ জন কর্মীকে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মেরে লাশের উপর নর্তন কুর্দন করেছিল তার কর্মীরা। বর্তমানে সে সব হত্যা, ধর্ষণ জবরদখল, টেন্ডারবাজি তার কর্মীরা করে চলেছে, এর কোনটাই মানবতার পক্ষের কাজ নয়। তাই মানবতাবিরোধী কাজের বিচার করতে হলে সকল মানবতাবিরোধী কাজের বিচার করতে হবে। এটাই দেশবাসীর দাবি। মনে রাখতে হবে বিচারের নামে যদি প্রতিপক্ষের ওপরে যুলুম চালানো হয়। তবে আল্লাহর মারের হাত থেকে বাঁচাবার মত কোন শক্তি পৃথিবীতে নেই.

Monday 2 August 2010

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রশ্ন

Mon, Aug 2nd, 2010 9:58 am BdST

ডেভিড বার্গম্যান

বিশেষ প্রতিবেদন সম্পাদক

ঢাকা, আগস্ট ০২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- একাত্তরে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মামলায় মতিউর রহমান নিজামীসহ জামায়াতে ইসলামীর চার শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত যথাযথ আইনগত ভিত্তি ছাড়াই হয়েছে বলে মনে করছেন একজন আইন বিশেষজ্ঞ।

অপরাধ বিষয়ে দেশের শীর্ষ আইনজ্ঞ আনিসুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আইন অনুযায়ী এই ট্রাইব্যুনাল 'অভিযোগ গঠনের পরই' কেবল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে।

জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ এবং দুই সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লাকে সোমবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই চার জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে এখনো কোনো অভিযোগ গঠন করে নি।

১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক দেখানের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জুলাই এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সরকার পক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হকের দেওয়া আইনের এ ব্যাখ্যা যদি সঠিক হয়, তাহলে এই ট্রাইব্যুনাল প্রথম শুনানিতেই হয়তো এক গুরুতর ভুল করেছে।

এছাড়া যে আইনের আওতায় চার জামায়াত নেতার বিচার হচ্ছে, তা ট্রাইব্যুনালের কোনো সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ট্রাইব্যুনালের বাইরে অন্য কোনো আদালতে আপিলের সুযোগ দেয় না।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।

গত ২৬ জুলাই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক এক আদেশে বলেন, "কার্যকর ও যথাযথ তদন্তের স্বার্থে এই চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা উচিত।"

শুনানিতে প্রধান কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপু ট্রাইব্যুনালের কার্যপ্রণালী বিধিমালার বিধি ৯ উদ্ধৃত করেন, যাতে বলা হয়েছে- কার্যকর ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে, তদন্তকারী কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে তদন্তের যে কোনো পর্যায়ে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার জন্য প্রসিকিউটরের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের কাছ থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সংগ্রহ করতে পারবেন।

তবে আনিসুল হকের যুক্তি হচ্ছে, ১৯৭৩ সালের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট এর ধারা ১১(৫) এর আলোকে এই বিধি পড়া উচিত।

তিনি জানান, ১৯৭৩ সালের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট এর ধারা ১১(৫) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ক্ষমতা দিয়েছে।

এই ধারায় বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনালের কেবলমাত্র 'ধারা ৩ এ বর্ণিত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির' বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ক্ষমতা রয়েছে।

ধারা ৩ এ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধ রয়েছে।

আনিসুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করার পরই কেবল এসব অপরাধের ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ক্ষমতা প্রাপ্ত হবে।"

জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী আরো বলেন, কার্যপ্রণালী বিধিমালার বিধি ৯ ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্টকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না। এই বিধি ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতার কার্যপরিধি পরিবর্তনে ব্যবহৃত হতে পারে না।

"বিধিমালা অ্যাক্টের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হতে পারে না। অ্যাক্ট অনুযায়ী বিধিমালা প্রণীত হয়, এর অন্যথা হতে পারে না", বলেন তিনি।

আনিসুল হক উল্লেখ করেন যে, অ্যাক্টের ধারা ২২ ট্রাইব্যুনালকে তার নিজস্ব কার্যপ্রণালী নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দিয়েছে। অর্থাৎ, নিজস্ব কার্যপ্রণালী বিধিমালা প্রকাশের ক্ষমতা, তবে তা হবে অবশ্যই এই আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/ডিবি/টিএ/জেবি/এইচএ/০৯৫০ ঘ.

http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=3&id=132901&hb=5

--------------------------------------------------

জামায়াত নেতাদের ‘আইন অনুযায়ী’ গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি: আনিসুল হক

Mon 2 Aug 2010 7:53 PM BdST



rtnn ঢাকা, ০২ আগস্ট (আরটিএনএন ডটনেট)-- জামায়াতের চার শীর্ষ নেতাকে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে ‘আইন অনুযায়ী’ গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সরকার পক্ষের প্রধান কৌঁসুলি ও সিনিয়র আইনজীবী আনিসুল হক। বলেছেন, ‘আইন অনুযায়ী অভিযোগ গঠনের পরই কেবল এই ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে।’

আজ সোমবার প্রথমবারের মতো জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ এবং দুই সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লাকে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারে স্থাপিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার পর নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এত প্রতিক্রিয়ায় আনিসুল হক এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ এ্যাক্ট ৭৩ অনুযায়ী কাউকে গ্রেপ্তার দেখানোর আগে অভিযোগ গঠন করতে হয়।

জামায়াতের শীর্ষ চার নেতার গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ কারণে মানবতা বিরোধী অপরাধে তাদের (জামায়াতের চার নেতা) গ্রেপ্তার দেখানো সম্পূর্ণ অবৈধ।

তিনি বলেন, জামায়াতের শীর্ষ চার নেতাকে হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো বৈধ হলেও ট্রাইব্যুনাল সেকশন ১১(৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের গ্রেপ্তার দেখানো ঠিক হয়নি।

ঐ অনুচ্ছেদের ৩ নং ধারায় এ বর্ণিত অপরাধে (মানতার বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক অভিযোগ) অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধেই কেবলমাত্র ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ক্ষমতা রয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করার পরই কেবল এসব অপরাধের ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ক্ষমতা প্রাপ্ত হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, আইনের বিধান ঠিক রেখেই বিচার হওয়া উচিত।

প্রত্যেক বাঙালিই যুদ্ধাপরাধের বিচার চায় দাবি করে তিনি বলেন, বিচারের নামে প্রহসন কেউ দেখতে চায় না।

আরটিএনএন ডটনেট/এমই/এমএম_১৯৫২ ঘ.

http://rtnn.net/details.php?id=26519&p=1&s=3