Saturday 5 June 2010

আমার দেশ বন্ধ করা প্রসঙ্গে কিছু প্রশ্ন

আতাউস সামাদ

প্রথমেই অকপটে স্বীকার করে নিচ্ছি যে কয়েকটি পত্রিকা ও বেতার-মাধ্যমের জন্য আমি একটু আলাদা টান অনুভব করি। যেকোনো মানুষ অনেক দিন ধরে একটা প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে সেটার জন্য তাঁর মনে বিশেষভাবে খানিকটা জায়গা থাকবেই। কিন্তু সে অর্থে নয়, একেক বিশেষ কারণে একেকটা পত্রিকা, রেডিও ও টেলিভিশনকে মনে পড়ে, আমি সে কথাই বলছি। যেমন_ষাটের দশকে পাকিস্তান অবজারভারে কাজ করার সময় আমরা কয়েকজন মিলে খবর, ভাষ্য ও মন্তব্য লিখে দেশে যে কী চাঞ্চল্য তৈরি করে ফেলতাম, তা এখনো অবাক হয়ে ভাবি। সাপ্তাহিক হলিডে পত্রিকার সম্পাদক বন্ধুবর এনায়েতুল্লাহ খানের সঙ্গে দেশের, বিশেষ করে রাজনীতির গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে প্রতিনিয়ত মতান্তর ঘটলেও বহুবছর প্রতি সপ্তাহে লিখেছি। কারণ তথ্য ও অভিমতের মিশেল দিয়ে মনের কথা লেখার জন্য ওই পত্রিকাই যেন ছিল আমার জন্য নির্ধারিত স্থান। বিবিসির কথা ভুলি না এ জন্য যে এখানে কাজ করার সময় যেন ঘুমের মধ্যেও চিন্তা করতে হতো, এখনই লন্ডন থেকে একটা ফোন আসবে যে আধঘণ্টার মধ্যে অমুক-তমুক বিষয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন চাই, সে রকম ক্ষেত্রে কিভাবে যেন কাজটা করে দিতাম।

দৈনিক আমার দেশ আর এনটিভির জন্যও আমার বিশেষ টান আছে। আর তা এ জন্য যে দুটো প্রতিষ্ঠানেরই খুব বড় দুর্যোগের সময় আমার ওপর হাল ধরার দায়িত্ব বর্তেছিল। আল্লাহর অশেষ কৃপায় এবং সহকর্মীদের সহযোগিতায় এনটিভিকে ঝড়ঝঞ্ঝা পার করে নিরাপদ পাড়িতে রেখে আসতে পেরেছিলাম। দৈনিক আমার দেশের হাল ধরতে হয়েছিল সহকর্মীদের অনুরোধে। এক সংকটময় রাতে তাঁরা বললেন, পত্রিকাটি বন্ধ হওয়ার হুমকির মুখে, তবু তাঁরা বেতন না নিয়ে এবং অন্যান্য কষ্ট সহ্য করে তাঁদেরই উদ্যোগে এর প্রকাশনা চালিয়ে যেতে চান; তবে সে জন্য তখন থেকেই আগামী কিছুদিনের জন্য হলেও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে আমার নাম ব্যবহার করতে দিতে হবে। তার পরের চার-পাঁচ মাস ছিল ওই পত্রিকায় কর্মরত আমাদের জন্য একটা কঠিন পরীক্ষা ও কঠোর সংগ্রামের সময়। মূলধন নিঃশেষিত ও ঋণের ভারে ন্যুব্জ, বলতে গেলে প্রায় দেউলিয়া প্রতিষ্ঠানটি সেই সময় প্রকৃত অর্থেই বেঁচে গিয়েছিল কর্মীদের ঘাম আর চোখের পানির বিনিময়ে। এর মধ্যেই আমাদের খুঁজতে হয়েছে নতুন মালিক। বিরাট ধনী এমন বেশ কয়েকজনের কাছেই গেছি। সাড়া দিয়েছেন কমই। শেষ পর্যন্ত মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন সবাই।

শেষ পর্যন্ত প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের কাছে হাজির হই দুই কারণে। প্রথমত, আমার 'সাপ্তাহিক এখন' পত্রিকায় (বর্তমানে সেটির মালিক সাংবাদিক শওকত মাহমুদ) তাঁকে অংশীদার হতে অনুরোধ করায় তিনি সম্মত হয়েছিলেন। দ্বিতীয়ত, বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি অনেক পুঁজিপতিকে চিনতেন বিধায় তাঁর পক্ষে আমার দেশ পত্রিকার জন্য নতুন বিনিয়োগকারীদের সংগঠিত করা সম্ভব হতে পারে। আমারই অনুরোধে তিনি সাপ্তাহিক এখন বাদ দিয়ে আমার দেশ পত্রিকার জন্য মাঠে নামলেন এবং কয়েকবার আশাভঙ্গ হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে তরুণ কয়েকজন ব্যবসায়ী বন্ধুকে নিয়ে দৈনিক আমার দেশের মালিকানা নিলেন। আমরা কর্মচারীরা পত্রিকা চালানোর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেলাম। আমরা বেতন পেতেও শুরু করলাম।

তখনকার সেই সংকট কেটে যাওয়ার কিছুদিন পর কিছুটা নির্ভার হওয়ার জন্য এবং ইচ্ছামতো সময় কাটানোর আশায় চাকরি ছেড়ে দিই। লেখালেখি নিয়ে আছি। তবে এনটিভি ও দৈনিক আমার দেশের সংগ্রাম_দুটোর কথা সব সময়ই মনে পড়ে। প্রতিষ্ঠান দুটির জন্য আমার মনে আলাদা টান এ জন্যই।

এখন একটা সরকারি সিদ্ধান্তে যে আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হলো_এ দুটো ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই আমাকে ক্ষুব্ধ, দুশ্চিন্তিত ও মর্মাহত করেছে। একটা দল নির্বাচনে জাতীয় সংসদে আসনসংখ্যায় মহাবিজয় নিয়ে ক্ষমতায় বসার পর থেকে তার আশ্রিত বহু ব্যক্তি রাতারাতি দুর্বৃত্তে পরিণত হলো, তা দেখে স্তম্ভিত হলাম। দেশজুড়ে দুর্জনরা প্রতিদিন যেসব জঘন্য অপরাধ করছে, তা রোজই আমাদের ভয়, আতঙ্ক ও লজ্জার অন্ধকার জগতে ঠেলে দিচ্ছে। এসবের প্রতিকার করা তো দূরের কথা, সরকার নিজেই এখন দুঃশাসনের পথে আসুরিক নৃত্য করতে করতে ধেয়ে চলেছে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা করছি ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে অবিলম্বে আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, তার বন্ধ প্রেস খুলে দেওয়ার এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করছি। সরকারকে অনুরোধ করব চ্যানেল ওয়ানের পুনঃসম্প্রচার শুরু করার পথের বাধা দূর করে সেটি পুনরায় চালু করতে (যন্ত্রপাতির মালিকানা, ব্যাংকের ঋণ শোধ, বিটিআরসির ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ_এগুলো সম্পর্কে আদালত ও আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব) এবং যমুনা টেলিভিশনের সম্প্রচার আবার শুরু করার জন্য সরকারের যে অনাপত্তি প্রয়োজন, তাও অবিলম্বে দিয়ে দিতে। পিএসটিএন ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারগুলোর হাজার হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এখন যে অচলাবস্থার মধ্যে পড়েছেন, সেই সমস্যারও সমাধান হওয়া দরকার। আর ফেইসবুক বন্ধ করা! সেটা নিয়ে তো বাংলাদেশ সরকারই বেশি সমস্যায় পড়েছে বলে মনে হচ্ছে।

আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ এবং এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে সরকার যা যা করেছে, তার সবই প্রশ্নবিদ্ধ। আমার দৃষ্টিতে কিছু বেআইনি কাজও হয়েছে। ওই পত্রিকার সাবেক মালিকদের মধ্যে একজন হাসমত আলী থানায় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করার আগে সেই দিনই (গত মঙ্গলবার) এনএসআইয়ের লোকজন তাঁকে বাসা থেকে এনএসআই অফিসে নিয়ে গেল কেন? (তথ্যসূত্র : সাংবাদিকদের কাছে হাসমত আলীর পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য)। হাসমত আলীর অভিযোগ পেয়ে একদল পুলিশ মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে আমার দেশ অফিসে ছুুটে গেল, কিন্তু তারা কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা পত্রিকা বন্ধ করার কোনো লিখিত নির্দেশ দেখাল না কেন? আর সে জন্যই ওই হানা ও গ্রেপ্তার জনগণের চোখে বেআইনি প্রতীয়মান হয়েছে। জনমনে এ প্রশ্নও জেগেছে, রোজ যারা চাপাতি ঘোরাচ্ছে আর টেন্ডার ছিনতাই করছে, পুলিশকে সেসব দুর্বৃত্ত ধরতে তো আগে এমন তৎপর দেখা যায় না। একই রকমভাবে আমার দেশ পত্রিকার ছাপাখানা বন্ধ করার জন্য।
যে পুলিশ বাহিনী গিয়েছিল, তারাও প্রেসে উপস্থিত কর্মকর্তাদের কোনো লিখিত সরকারি হুকুম দেখায়নি!

তদুপরি যদিও আমার দেশ বন্ধ করার জন্য সরকারি তৎপরতা সারা দিন লক্ষ করা গেছে, তবু পুলিশি হানা ঘটেছে গভীর রাতে। আমার দেশ পত্রিকা অফিসে সাংবাদিক ও উপস্থিত অন্য কর্মচারীরা পুলিশকে ঢুকতে যে বাধা দিয়েছিলেন, তার কারণ ছিল পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো গ্রেপ্তারি বা তল্লাশি পরোয়ানা দেখাতে না পারা।

আর সরকার যেভাবে আমার দেশ পত্রিকাকে প্রকাশকবিহীন করে ফেলল, সেটা যে ইচ্ছাকৃত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তাও পরিষ্কার। কারণ আমার দেশ পত্রিকার স্বত্বাধিকারী কম্পানি আমার দেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ মাহমুদুর রহমানকে ওই পত্রিকার প্রকাশক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরপরই আইন অনুসরণ করে তিনি ঢাকার ডেপুটি কমিশনারকে তা জানিয়ে সেমতে প্রকাশকের নাম পরিবর্তন করার অনুরোধ করে চিঠি দেন ২০০৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। অতঃপর তিনি ৫ নভেম্বর ২০০৯ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কাছ থেকে একটি চিঠির অনুলিপি পান, যা তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠানো হয়েছিল। এই চিঠিটি ঢাকার জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠিয়েছেন ওই অধিদপ্তরের উপপরিচালক (নিবন্ধন) মাসুদা খাতুন 'জেপ্রঢা/প্রকাঃ/২০০৯/৬৬৮ (সং), তারিখ : ১২-১০-২০০৯'_এই সূত্র ধরে। এই পত্রে সরকারের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকার জেলা প্রশাসককে জানাচ্ছে "...ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক 'আমার দেশ' পত্রিকাটির প্রকাশক জনাব আলহাজ মোঃ হাসমত আলী-এর পরিবর্তে জনাব মাহমুদুর রহমানের নাম প্রতিস্থাপন করার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।' কিন্তু ঢাকার জেলা প্রশাসক তা সত্ত্বেও সেই নভেম্বর মাস থেকেই জনাব মাহমুদুর রহমানের আবেদনে সাড়া দিলেন না। সরকারের মতামত জানার পরও তিনি সাত মাস নির্লিপ্ততা ও নিঃশব্দতা অবলম্বন করলেন! যখন উঠে বসলেন, তখন যেন হুংকার দিলেন, 'না, মাহমুদুর রহমান প্রকাশক পদে গ্রহণযোগ্য নন, কাজেই তাঁর আবেদন খারিজ করা হলো।' একই সঙ্গে তিনি আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশক পদ থেকে জনাব হাসমত আলীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে এই মুহূর্তে পত্রিকাটির কোনো প্রকাশক নেই ঘোষণা করে তার প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিলেন। এখানে তিনটি প্রশ্ন ওঠে : ১. সরকারের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের চিঠির মূল্য তাহলে কী; ২. জনাব মাহমুদুর রহমানের আবেদন পাওয়ার পর ৯ মাস ঢাকার ডেপুটি কমিশনার নীরব ও নিশ্চল হয়ে থাকলেন কেন এবং ৩. মাহমুদুর রহমান প্রকাশক হওয়ার আবেদন করেছিলেন আমার দেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেডের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সিদ্ধান্তক্রমে অর্থাৎ কম্পানির পক্ষে, সে ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনার তথা সরকার যদি তাঁকে প্রকাশক হওয়ার যোগ্য মনে না করেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সরকারের কর্তব্য ছিল ওই কম্পানির কাছে বিকল্প নাম চাওয়া। কেন সরকার আমার দেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেডকে সেই সুযোগ দিল না? আশা করব, সরকার এসব প্রশ্ন এখনো বিবেচনায় নেবে এবং আমার দেশের প্রকাশনা সম্পর্কে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে।

এখানে আরো দুটি প্রশ্ন আসে। আমার দেশ পত্রিকা ও চ্যানেল ওয়ান সরকারের কাছ থেকে যথাযথ ও বৈধ অনুমতি নিয়ে ব্যবসা করছিল, অর্থাৎ এগুলো চালু ছিল এবং যমুনা টেলিভিশন একটি অনাপত্তিপত্রের ভিত্তিতে পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চালাচ্ছিল। এই তিনটি প্রতিষ্ঠানেরই প্রচুর মূলধন বিনিয়োগ আছে। অথচ এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মূলধন বিনিয়োগ করে যে ব্যবসা চালু হয়েছে, সরকার সেই রকম বৈধ ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেশি বা বিদেশি কোনো ব্যবসায়ী নতুন বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হবে কিভাবে? অথচ সরকার নাকি বিনিয়োগ চায়! নতুন বিনিয়োগের অভাবে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি কম হচ্ছে! দ্বিতীয়ত, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্প কয়েক দিন আগে বলেছেন, মূল্যস্ফীতি সহনীয় করার জন্য দেশের মানুষের আয় বাড়াতে হবে। কিন্তু একের পর এক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে বা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে সরকার নতুন বেকারত্ব সৃষ্টি করছে। তাহলে কি জনগণকে এই ধারণা নিয়ে থাকতে হবে যে এই সরকার মুখে একরকম বলে আর কাজ আরেক রকম করে? সরকারকেই বলব বিষয়টি চিন্তা করে দেখতে।
সবশেষে দুটি ভুল সংশোধন। আমার গত সপ্তাহে এই কলামে লিখেছিলাম, চাঁদে অবতরণকারী মার্কিন নভোচারী নীল আর্মস্ট্রং পরে সিনেটর হয়েছিলেন। আসলে সিনেটর হয়েছিলেন পৃথিবী প্রদক্ষিণকারী নভোচারী জন গ্লেন। দ্বিতীয়ত, আমি লিখেছিলাম একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য সাঁতারু আব্দুল মালেক কলকাতায় টানা ৯১ ঘণ্টা সাঁতরেছিলেন।আসলে বাংলাদেশের বিশিষ্ট সেই সেই সাঁতারুর নাম হবে অরুণ কুমার নন্দী। আমার ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা প্রকৌশলী অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী ও সাংবাদিক এবিএম মূসার কাছে কৃতজ্ঞ থাকলাম।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
(সুত্র, কালের কন্ঠ, ০৫/০৬/২০১০)

No comments:

Post a Comment