Wednesday 14 July 2010

স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার আলবদররা শাস্তি পেতে যাচ্ছে, এ আনন্দে প্রথমবারের মতো কপি পেষ্ট করলাম

১৪ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৫৬


একাত্তর সালে এ দেশেরই কিছু কুলাঙ্গার মানুষ পাকবাহিনীর গণহত্যা আর নির্যাতনের সহযোগীর ভুমিকা পালন করেছে। একাত্তরে আমি না জন্মালেও সমস্ত প্রমাণের কারণে নিরপেক্ষভাবে উপরের বাক্যটুকু দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। ঐ সহযোগী রাজাকার আলবদর বাহিনীর হোমড়া চোমড়াদেরকে এখন রাষ্ট্র আইনের মুখোমুখি করছে। আল্লাহ তায়ালা জুলুম কখনো মেনে নেন না, পৃথিবীতে না হলে মৃত্যুর পর হলেও শাস্তি পেতে হয়। বাংলাদেশের জন্মের আগে পরে এখন পর্যন্ত যারাই জুলুম করেছে তারা সবাই শাস্তি পাক।

বাংলাদেশে ইসলাম যারা ভালোভাবে মানতে চায়, মুসলিম পরিচয়ে মাথা উঁচু করে দাড়াতে চায়, জামাত তাদের ঘাড়ে অন্যায় একটা বোঝা তুলে দিয়েছে। ইসলামকে বুঝতে পড়তে চর্চা করতে গেলেই স্বাধীনতা বিরোধীর তকমা লেগে যাবে, যার বড় দায়ভার বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের দলীয় সিদ্ধান্তের। আমরা যারা মুসলিম আমরা জামাতের অপকর্মের দায় নিজ ঘাড়ে নিতে চাই না। কিন্তু সুদূরপ্রসারী কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইসলাম আর দেশের স্বাধীনতাচিন্তাকে মুখোমুখি শত্রু বানিয়ে যেন দাড় করানো না যায়, তা প্রতিটি সচেতন মানুষেরই ভাবা দরকার।

আজকে কালের কণ্ঠে জামাত নেতা কামারুজ্জামান এবং কাদের মোল্লার গ্রেফতারের খবর পড়তে গিয়ে মনে হলো, গত কয়েকদিন যাবত জামায়াত সংক্রান্ত বিভিন্ন খবর পড়তে গিয়ে কি একটা বিষয় বুঝি বুঝি করেও বুঝছি না। কপি পেষ্ট শুরু।

---------------------------------------------------------
নানা কৌশল অবলম্বন করেও গ্রেপ্তার এড়াতে পারলেন না জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা। একাত্তরে 'গণহত্যার' অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ হাইকোর্ট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে। এরপর তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে। সেখানে আগে থেকেই পুলিশ হেফাজতে (রিমান্ড) আছেন জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে সন্ধ্যা ৬টার দিকে। তিনি হাইকোর্টে আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা শেষে গোপনে বাসার দিকে ফিরছিলেন। ওই সময় সাদা পোশাকে পুলিশ তাঁর পথ রোধ করে। পরে পোশাকধারী পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানার উদ্দেশে নিয়ে যায়। এর দুই ঘণ্টা আগে হাইকোর্টের সামনে থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে কাদের মোল্লাকে। তাঁরা দুজনই আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

এ গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মিরপুরের আলোকদী গ্রামে সংঘটিত গণহত্যার ব্যাপারে ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে পল্লবী থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি ছিল আগে থেকেই। গোয়েন্দাদের দৃষ্টি এড়িয়ে দুই নেতা হাইকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের চেম্বারে অবস্থান নেন। দুটি মামলায় গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার ব্যাপারে তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশনা নিয়ে অনেকটা নিশ্চিন্ত হয়েই বাইরে বের হতে যান। সে ক্ষেত্রে দুজন আলাদাভাবে বের হন। পুলিশ দুই ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। হাইকোর্ট যে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়েছেন সেই মামলায় নয়, ভিন্ন মামলার আসামি হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নেতাকে নেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা কার্যালয়ে।

জানা যায়, দুটি মামলায় আগাম জামিন নেওয়ার জন্য কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লা হাইকোর্টে যান দুপুর ১২টার দিকে। তাঁরা তাঁদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের চেম্বারে অবস্থান করেন। এরপর বেলা ৩টার দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি আফজাল হোসেন আহমেদ ও বিচারপতি মো. আবদুল হাফিজের বেঞ্চে যান। আগে থেকেই দাখিল করা জামিন আবেদনের ওপর তখন শুনানি হয়। তাঁদের পক্ষে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানি করেন।
রাজধানীর শাহবাগ থানায় পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হত্যা মামলার এজাহারে এ দুজন আসামি। এ দুটি মামলাতেই জামিন নিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল মান্নান মোহন শুনানির জন্য এক দিনের সময় চান। আদালত সময় দিলেও জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লাকে গ্রেপ্তার না করতে নির্দেশ দেন।

এরপর কাদের মোল্লা বিকেল ৪টার দিকে হাইকোর্ট ছেড়ে তাঁর গাড়িতে করে বেরিয়ে যান। আদালতের পূর্বপাশের মূল ফটকের বাইরে ৪টা ১০ মিনিটে সাদা পোশাকের পুলিশ তাঁর পথ রোধ করে। পরে পোশাকধারী পুলিশ তাঁকে আটক করে। গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

কৃষ্ণপদ রায় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, 'হাইকোর্ট দুটি মামলায় কাদের মোল্লাকে গ্রেপ্তার না করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা পল্লবী থানার একটি মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছি।'

সূত্র জানায়, হাইকোর্টে অবস্থান করার সময় কামারুজ্জামান জানতে পারেন যে কাদের মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের চেম্বারে যান। সেখানে তিনি দুই ঘণ্টা কাটান। এ সময়ের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সাংসদ হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিমসহ উপস্থিত আইনজীবীদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করেন। সেখানে তাঁর দুই ছেলে ওয়ালি ও ওয়াফি উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, কামারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে_এমন আশঙ্কায় তাঁর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতে ছুটে যান। তিনি আদালতকে বলেন, 'আবদুল কাদের মোল্লাকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও আপনাদের আদেশ না মেনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। এটা আদালত অবমাননা।' তিনি বলেন, কামারুজ্জামানকেও গ্রেপ্তার করা হতে পারে। তখন আদালত বলেন, 'আপনি আদালত অবমাননার অভিযোগ নিয়ে আসতে পারেন। আমরা শুনব।' খন্দকার মাহবুব হোসেন আর ওই ধরনের আবেদন নিয়ে যাননি।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে কামারুজ্জামান তাঁর আইনজীবীর চেম্বার থেকে বের হন। তিনি আইনজীবী সমিতি ভবনের নিচে পেঁৗছে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাকে গ্রেপ্তার করার মতো আর কোনো মামলা নেই। আমার বিরুদ্ধে অন্য কোনো অভিযোগও নেই। কাজেই আমাকে গ্রেপ্তার করবে না।' তবে তিনি বলেন, 'জামায়াতের ওপর সরকার অন্যায়ভাবে জুলুম-নির্যাতন করছে।' দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিকার চান তিনি। তিনি আরো বলেন, 'জুলুম-নির্যাতনের পরিণতি কখনো ভালো হয় না।' এরপর তিনি গাড়িতে উঠে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ব পাশের মূল ফটকে গেলেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি কিছু বলতে চান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে গাড়িতে টেনে তোলে।

যে মামলায় গ্রেপ্তার : ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) শ্যামল মুখার্জি জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা ও অগি্নসংযোগের ঘটনায় সর্বমোট ৮০ জনকে আসামি করে ২০০৮ সালের ২৫ জানুয়ারি পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে ১০ জনের নাম-পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার নম্বর ৬০। মামলায় প্রধান পাঁচ আসামি হলেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী। এ ছাড়া পরিচয় পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন সরদার আবদুস সালাম, খাজা ওয়াসিম উদ্দিন (মৃত), আক্তার গুন্ডা (বর্তমানে পাকিস্তানে পলাতক), নেওয়াজ (বর্তমানে পাকিস্তানে পলাতক) এবং ডোমা (বর্তমানে পাকিস্তানে পলাতক)।
মামলার আরজিতে নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানকে হত্যাকারীদের নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এঁরা ছাড়াও আরো অনেকেই হত্যাযজ্ঞ ও অগি্নসংযোগে নেতৃত্ব দেয় এবং হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতার জন্য রাজাকার, আলবদর ও আলশামস নামে স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন গড়ে তোলে। নিজামীকে আলবদর বাহিনীর কমান্ডার ও মুজাহিদকে সংগঠনের পূর্ব পাকিস্তান শাখার কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। আবদুল কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামানসহ অন্য নেতারা মিলে একটি সুপারিশ কমিটি গঠন করে সারা দেশে হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগি্নসংযোগ এবং মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেন।


----------

সব দেখে শুনে মনে হইতেসে শুধু 'শেখ অলস ছেলে' হইলে কর্মসাধন হইবে না। 'শেখ অলস ছেলে চ্যাটার্জি' হলে উত্তম হয়। সিরিয়াস চিন্তিত আছি।

মুসলিম হইলে আকীকা করিতে হয়। সনাতন :) হইলে কি করিতে হয়!! যদু মিয়াকে তার পিতা রাজা গণেশ গরুর ভিতর ঢুকাইয়া দিয়াছিলেন বলে কেউ কেউ বলিয়া থাকে, সে বড় অনাসৃষ্টি হইবে। তাহলে কি আমার চ্যাটার্জি হওয়া হইবে না? আমি কি পুলিশ সাংবাদিক জজ হিসেবে সফল হইবো না! :(( :(( :((



লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): রাজাকার নিধনের সাথে সাথে ইসলাম বধ যজ্ঞ? ;
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৫৯

http://www.somewhereinblog.net/blog/oloshcheleblog/29199261

No comments:

Post a Comment