Tue 6 Apr 2010 7:55 PM BdST
rtnn ময়মনসিংহ, ০৬ এপ্রিল (আরটিএনএন ডটনেট)-- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ময়মনসিংহে একটি মামলা হয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যাসহ কয়েকটি ঘটনায় অভিযোগ এনে তাকেসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করে এ মামলা হয়েছে।
ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (ফুলবাড়িয়া) দুপুরে মামলাটি করেন একই উপজেলার আওয়ামী লীগের শ্রম ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. জালাল উদ্দিন (৬৫)। তিনি উপজেলার জোরবাড়িয়া গ্রামের অধিবাসী।
বিকেল ৪টায় বিচারক লুৎফর রহমান শিশির মামলাটি আমলে নিয়ে ফুলবাড়িয়া থানার ওসিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনের সংসদ সদস্য মোসলেমসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে লুট ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখিত ১৪ আসামি হলেন- ফুলবাড়িয়া উপজেলার কুশমাইল গ্রামের শুক্কুর আলী মুন্সীর ছেলে মুসলেম উদ্দিন (৭৬), ফুলবাড়িয়ার ফয়জাল বারী (৬১), এবাদুল্লাহ (৭০) ও মুকছেদ আলী (৮০), চৌধার গ্রামের আব্দুছ ছামাদ মাস্টার ওরফে টিক্কা খান (৭৫) ও আব্দুল মল্ডল (৮০), চর রাধাকানাই গ্রামের আ. জব্বার (৬০), কুশমাইল গ্রামের মফিজ উদ্দিন ওরফে মফে (৮০), ওয়াহেদ আলী মুন্সী (৮০) ও সোহরাব আলী (৭৮), ভালুকজান গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন ফকির (৭২), বাকতা গ্রামের আ. জব্বার (৬৮), পুটিজানা গ্রামের মুকছেদ আলী (৭০), পলাশী হাটা গ্রামের আমজাদ আলী হাজী (৭৫)।
এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমপি, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মো. জুবেদ আলী, আনম নজরুল ইসলাম ও খন্দকার আব্দুল মালেক শহিদুল্লাহ এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৪ জনকে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, আসামিরা ১৯৭১ সালের ২০ জুন উপজেলার কুশমাইলে বসু চৌধুরীকে, ফুলবাড়িয়ায় ১২ জুন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদকে, ২৯ নভেম্বর ভালুকজান এলাকায় তালেব আলী, সেকান্দর আলী ও আলতালিকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেন।
এছাড়া তারা ১৪ জুলাই শহিদুল্লাহ মাস্টার ও সাবেদ আলীকে হত্যা করেন।
একই বছরের ২৭ জুন আনুমানিক ২টায় আসামিরা পাকবাহিনীসহ বাদীর বাড়িতে এসে বাড়ির মালামাল লুটপাট করে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় তারা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুস সালাম ও আব্দুল মান্নানের বাড়িসহ আরো ৪/৫টি বাড়ি লুটের পর পুড়িয়ে দেয়।
এছাড়া মামলার বিবরণে জানানো হয়েছে, এই ঘটনাগুলোর খবর ১৯৭১ সালে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন ১৯৭০ সালে ফুলবাড়ীয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে গণপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি পাকবাহিনীকে সহযোগিতা করেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করেছেন বাদী জালাল উদ্দিন।
তবে এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘আমাকে ও আমার দল আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলতে এ মামলা করা হয়েছে। আমি এর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবো।’
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে অ্যাডভোকেট ফজলুল হক দুলাল, অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, অ্যাডভোকেট গোলাম হোসেন প্রমুখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
http://rtnn.net/details.php?id=23379&p=1&s=4
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment