Thursday 1 April 2010

দুদকের ক্ষমতা খর্বে প্রস্তাবিত আইন প্রত্যাহারের আবেদন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের

Manobzamin | Friday, 02 April 2010

কূটনৈতিক রিপোর্টার: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর ড়্গমতা খর্ব না করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডবিস্নউ)। বুধবার নিউ ইয়র্কে সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের উচিত দুদকের ক্ষমতা বা সামর্থ্য খর্ব করার জন্য আইনের সংশোধনীগুলো প্রত্যাহার করা।
এতে দুদক দুর্র্নীতিগ্রসত্ম সরকারি কর্মকর্তাদের বিরম্নদ্ধে স্বাধীনভাবে সিদ্ধানত্ম নিতে পারবে না। এটা শাসক দলের লোকজনের ড়্গেত্রেও প্রযোজ্য হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি বিধির জন্য দুদক আইনকে পর্যালোচনা করতে ২০০৯ সালে ক্যাবিনেট কমিটি গঠন করা হয়। এতে দুর্নীতির সন্দেহে সরকারি কর্মকর্তা ও সংসদ সদস্যদের বিরম্নদ্ধে আইন ব্যবস্থা গ্রহণের সরকারের অনুমতি দেয়ার দরকার পড়বে। বিবৃতিতে এইচআরডবিস্নউ-এর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড এডামস বলেন, সরকারি খাতে দুর্নীতি বাংলাদেশের একটি গুরম্নত্বপূর্ণ সমস্যা। এতে সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়। এটা আইনের শাসনকে দুর্বল করে দেয় এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানের সংস্কার উদ্যোগকে ব্যাহত করে। তিনি আরও বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা থেকে ঠেকাতে আইন তৈরি করা হলে এটাই পরিষ্কার হয়, সরকার দুর্নীতির বিরম্নদ্ধে লড়াইয়ে আনত্মরিক নয়। গত ২৪শে মার্চ আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরম্নল ইসলামের ঘোষণার কথা উলেস্নখ করা হয়। তিনি মার্চের পরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা মামলা প্রত্যাহারে কোন আবেদন আর নেয়া হবে না বলে জানান। সরকারের নিরীড়্গা কমিটি এ পর্যনত্ম ওসব আবেদন পরীড়্গা করে ৪৪১৩টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে- যার মধ্যে ২২৩টি মামলা দুদকের দায়ের করা। এ প্রসঙ্গে ব্রাড এডামস বলেন, বাংলাদেশে যারাই ড়্গমতায় আসেন তারাই রাজনৈতিক প্রতিপড়্গকে দুর্বল করতে আইনকে নিয়মিত ব্যবহার করেছেন। এর পরিবর্তন দরকার। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের এটা নিশ্চিত করা জরম্নরি যে, তার দলের সদস্যদের পড়্গপাতিত্ব করা হচ্ছে এমন যেন মনে না হয়। বেআইনি যে কোন পরিবর্তনের শিকড় উপড়ে ফেলার দায়িত্ব বিচার বিভাগের ওপরই ছেড়ে দেয়া উচিত। বৃটিশ ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৭ ধারা বহাল থাকায় সরকারি কর্মকর্তাদের বিরম্নদ্ধে অভিযোগ থাকলেও সরকারের অনুমতি ছাড়া কোন ব্যবস্থা নেয়া যায় না। এতে ওই কর্মকর্তা সরকারি দায়িত্বের কথা বলে অপরাধের দায় এড়িয়ে যেতে পারেন। ১৯৭ ধারা এবং এ ধরনের বিধির কারণে বাংলাদেশে দায়মুক্তির সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। এর কারণেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মানবতা লঙ্ঘন ও নির্যাতন করেও কোন শাসিত্ম ছাড়াই রেহাই পাচ্ছেন। ব্রাড এডামস বলেন, দুদকের ড়্গমতা খর্ব করার আইন না করে সরকারের উচিত ১৯৭ ধারা এবং এর মতো অন্যান্য আইন তুলে নেয়া। এগুলো সরকারি কর্মকর্তাদের আইনের উপরে স্থান দিয়েছে।

http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&task=view&id=10012&Itemid=83

No comments:

Post a Comment