Saturday 3 April 2010

রারিতে বোমা তৈরির সময় ৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত

রারিতে বোমা তৈরির সময় ৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত : শাস্তি দাবি করেছেন সেক্রেটারি
রাজশাহী অফিস
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে সভাপতি আউয়াল কবির জয়সহ পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু হলের ২৩৩ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ছাত্রলীগ এটাকে বলছে কয়েলের আগুনে মশারিতে অগ্নিকাণ্ড। তবে সেক্রেটারি অপু গ্রুপ এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে।
বিস্ফোরিত বোমার আঘাতে আহতরা হলেন—ছাত্রলীগ সভাপতি আউয়াল কবির জয়, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী রনি, জনি এবং মামুন। জানা গেছে, বোমা বিস্ফোরণে তাদের হাত এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ঝলসে গেছে।
বঙ্গবন্ধু হলের সাধারণ শিক্ষার্থী এবং গার্ডরা জানায়, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে হলের ২৩৩ কক্ষ থেকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের পরপরই ছাত্রলীগ সভাপতি জয়সহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত অবস্থায় হল গেটে নেমে আসেন। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিত্সার জন্য দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। এদিকে বিষয়টি গোয়েন্দা ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে জানাজানি হলেও বিষয়টি ছাত্রলীগ গোপন রাখার চেষ্টা করে। তবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে খোঁজ নিয়ে রেজিস্টার খাতায় আউয়াল কবির জয়, রনি, সোহেল, জনি ও মামুনের নাম পাওয়া যায়। হলগুলোতে শিবিরের অনুপস্থিতিতে এ বিস্ফোরণের ব্যাপারে ছাত্রলীগের অন্য গ্রুপের নেতারা জানান, সভাপতি গ্রুপ হলগুলোতে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতেই অস্ত্রের ভাণ্ডার গড়ে তুলেছে। সভাপতি গ্রুপের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবহিত থাকলেও নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে তারা অভিযোগ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বঙ্গবন্ধু হলের এক আবাসিক ছাত্র বলেন, এখন আমরা আতঙ্কের প্রহর গুনছি।
বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি আউয়াল কবির জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বোমা বিস্ফোরণের কথা অস্বীকার করে বলেন, কয়েল থেকে মশারিতে আগুন লেগে যাওয়ায় তিনিসহ কয়েকজন আহত হন। রাবি প্রক্টর ড. চৌধুরী মুহাম্মদ জাকারিয়াও বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, কয়েল থেকে ২৩৩ নম্বর কক্ষে আগুন লেগেছিল বলে তিনি শুনেছেন। তবে তিনি কয়েকজন আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেন। কয়েলের আগুনে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ হয় কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাকে সেক্রেটারি গ্রুপকে কোণঠাসা করতে ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগ সেক্রেটারি মাজেদুল ইসলাম অপু। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, সভাপতি নিজে বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থী নন। তিনি আমির আলী হলের সংযুক্ত ছাত্র। অথচ তিনি সেক্রেটারি গ্রুপকে প্রতিহত করার জন্য তার গ্রুপের নেতাকর্মীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রত্যেক হলে সেক্রেটারি গ্রুপকে কোণঠাসা করার জন্য ছাত্রলীগ সভাপতি নিজে বোমা বানাতে সহায়তা করছেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধান এবং আলামত সংগ্রহের পর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে কে বা কারা ওই কক্ষে বোমা রেখেছে, তা তদন্তসাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/04/01/25341

No comments:

Post a Comment