Sunday 25 April 2010

ভোলায় মা-মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ : বিএনপি নেতাকর্মীরা ভয়ে এলাকা ছাড়ছেন

কাজী জেবেল/সাইফ বাবলু, ভোলা থেকে
ভোলা-৩ নির্বাচনী এলাকার লালমোহনের কচুয়াখালী গ্রামে বিএনপি কর্মী সফি মাঝির স্ত্রী ও মেয়েকে আওয়ামী লীগ ক্যাডারা পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষকরা এ ঘটনা প্রকাশ এবং কোনো মামলা দায়ের না করতে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়েছে। ক্যাডাররা সফি মাঝিকে বেঁধে রেখে তার স্ত্রী ও মেয়েকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। নির্বাচনের দিন শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। প্রাণের ভয়ে গণধর্ষণের শিকার পরিবারটি চুপ থাকলেও খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে সফি মাঝি ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার ও বর্বরতার বর্ণনা দেন। সাংবাদিকদের কাছে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করায় ধর্ষণকারী আওয়ামী ক্যাডাররা আবার ধর্ষণের শিকার মা ও মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বর্তমানে ওই পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। বিএনপি প্রার্থী মেজর হাফিজও গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মা-মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।
গতকাল সরেজমিন গেলে বিএনপি কর্মী সফি মাঝি সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনের আগের দিন রাতে এক নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও বিএনপি নেতা নান্নুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নান্নু মেম্বারের বাড়িতে আগুন লাগানোর পর বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বিএনপি কর্মী সফি মাঝি তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে নির্বাচনের আগের রাতে হামলার ভয়ে বড় ভাই আবদুল মুনাফের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরদিন ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা ছালাম হাওলাদারের সঙ্গে কথা বললে তিনি সফি ও তার পরিবারকে বাড়ি গিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে বলেন। আওয়ামী লীগ নেতার কথায় ভরসা পেয়ে সফি মাঝি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে চলে যান। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নূরুন্নম্নবী শাওন জয়ী হওয়ার পর নান্নু মেম্বারের বাড়িতে আগুন লাগানো আওয়ামী লীগ ক্যাডারাই রাতে এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খুঁজতে থাকে। এ সময় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী সিরাজ, সাইফুল, সোহাগ ও আবদুলসহ আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা সফি মাঝির বাড়িতে ঢোকে। সফি মাঝি তখন স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ঘরে ছিলেন। এ সময় ক্যাডারার সফি মাঝির ঘরে ঢুকে তাকে বেঁধে ফেলে। আওয়ামী লীগ ক্যাডার সাইফুল ও জুয়েল সফি মাঝির মাদ্রাসা পড়ুয়া নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় মা তার মেয়ের ইজ্জত রক্ষায় এগিয়ে এলে তাকে ধর্ষণ করে সোহগ ও আবদুল। ধর্ষণের পর ক্যাডাররা এ ঘটনা চাপা রাখতে তাদের হুমকি দিয়ে যায়।
নান্নু মেম্বারও ধর্ষণের ঘটনার সত্যতার কথা জানিয়েছেন। গতকাল দিন পার হওয়ার পর সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে লালমোহন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
মা ও মেয়েকে গণধর্ষণের খবরে এলাকাজুড়ে তোলপাড় চলছে। অথচ পুলিশ বলছে ঘটনা সম্পর্কে তারা কিছুুই জানে না। এ ঘটনার পর বিএনপি কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ পরিবারগুলো মাঝে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে লালমোহন থানার ওসি দেলোয়ার হোসেনকে ফোন করলে তার সরকারি ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ সুপার বশির আহম্মেদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আমার দেশকে জানান, এ ঘটনা তিনি জানেন না। তবে তিনি এ ঘটনাকে নির্বাচনী কোনো ঘটনা নয় বলে বিষয়টি সত্য হলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, তারা যদি অভিযোগ দেয় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ না দিলে তো পুলিশের কিছুই করার নেই।
পরে লালমোহন থানার ওসিকে ফোন করা হলে তার নম্বর খোলা পাওয়া যায়। ওসি এ বিষয়ে জানান, নির্বাচনের আগের দিন ওই বাড়িতে লোকজন ভোট চাইতে গেলে হইচই হয়। সেখানে দুজন অফিসার গেছেন। ধর্ষণের ঘটনা সত্য নয়। তবে আমরা ঘটনার আরও খোঁজ নিচ্ছি।
এলাকায় আতঙ্ক, বিএনপি কর্মীরা বাড়িঘর ছাড়া : ভোলা-৩ আসনে উপনির্বাচনের পরদিন গতকাল লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর সশস্ত্র আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা হামলা চালিয়েছে। তাদের মারধর থেকে বাদ যায়নি এই আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মেজর (অব.) জসিমের অনুসারিরাও। তাদের ‘বিএপির দালাল’ আখ্যায়িত করে মারধর করেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষের মনে নির্বাচনের আগ থেকে সৃষ্টি হওয়া সহিংসতার আতঙ্ক আরও ঝেঁকে বসেছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্বাচন পরবর্তী নির্যাতনের ভয়ে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বাজারগুলোতে দোকানপাট খোলা থাকলেও ছিল না ক্রেতাদের ভিড়। যানবহন চলাচলও ছিল কম। শনিবার আওয়ামী লীগ প্রার্থী নূরুন্নবী শাওনকে বিজয়ী ঘোষণা করার পরই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আনন্দ-উল্লাসের পাশাপাশি প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে হানা দেয়া শুরু করে। বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে এলাকা ছাড়তে হুমকি দেয়া হয়েছে। অনেকে ভয়ে আগেই এলাকা ছেড়ে গেছে। আওয়ামী লীগ দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী কোনো সহিংস ঘটনায় না জড়াতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিলেও তা শুনছে না তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। সরেজমিন ঘুরে এসব চিত্র পাওয়া গেছে।
এছাড়া গতকাল দুই উপজেলার বিভিন্ন এলকায় ২০-২৫ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা। বড় ধরনের হামলা বা সহিংসতার ঘটনা না ঘটলেও সাধারণ ভোটার ও বিএনপি নেতাকর্মীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। নির্বাচনী ফল ঘোষণার পরই লালমোহনের বিএনপি কর্মী কালু মিয়াকে পিটিয়ে আহত করে আওয়ামী লীগ কর্মী মাসুদ, রুবেল, সোহাগসহ কয়েকজন। এছাড়া পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী শাহে আলম, দলীগৌরনগর ইউনিয়নের কামালকে পিটিয়ে আহত করা হয়। গতকাল দিনব্যাপী লালমোহন ও তজুমদ্দিনের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আতঙ্কে ছিলেন।
এদিকে ভোলা-৩ আসনের নির্বাচন পরবর্তী সহিসংতা জেলার অন্য উপজেলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। নির্বাচনের আগে লালমোহনে তোফায়েল আহমেদের ওপর হামলা হয়েছে এমন অভিযোগে দৌলতখান উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর সিরিজ হামলা শুরু করেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা। লাঠি হাতে নিয়ে বিএনপি কর্মীদের খুঁজে ফেরে আওয়ামী লীগ কর্মীরা। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা আমজাদ, তুহিন, বাবুর নেতৃত্বে দৌলতখানে বিএনপি নেতা বাবুল, আকবর হাজি, সেলিম, মইনুদ্দিসহ ৭ বিএনপি নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় পিটিয়ে আহত করা হয় বিএনপির আলম মেম্বার, মোশারেফ হোসেন, গজনবী, মোঃ ইউনুছ, ভাসানি, জাফর, মিলন, দিনকালের সাংবাদিক কাজী জামালসহ ২০-২৫ জনকে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক চলছে।
ভোলা-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মেজর (অব.) জসিমের সমর্থক হিসেবে পরিচিত তজুমদ্দিন উপজেলার কেয়ামউল্লাহ গ্রামের সিরাজ, আরিফ, রিয়াজ, সালাউদ্দিন, নসুমিয়া, বাবুল ও জামালকে ‘বিএনপির দালাল’ আখ্যায়িত করে মারধর করে আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এদের মধ্যে গুরুতর আহত নসু মিয়াকে হাসপাতালে নিতেও বাধা দেয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এদিকে গতকালও লালমোহনে মেজর (অব.) হাফিজের বাসায় বেশকিছু আহত নেতাকর্মীকে আসতে দেখা যায়।
এদিকে ভোলার বিভিন্ন হাসপাতালে নির্বাচনী সহিংসতা আহত বিএনপি নেতাকর্মীরা চিকিত্সা নিতেও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মুজিবুর রহমান আমার দেশকে বলেন, ‘আমার বুড়ো মা’র গায়ে লাথি না মেরে আমারে মেরে ফেললেও কোনো দুঃখ থাকত না। ওরা আমার মারে কিল-ঘুষি মারার পরও কুপিয়েছে। মারে মারার কষ্টে আমি থাকতে পারছি না।’ এ সময় তিনি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে ছিলেন। তখনও তার চোখে-মুখে ছিল অজানা শঙ্কা। হাসপাতালে নিরাপদে চিকিত্সা নিতে পারবেন তো! আওয়ামী লীগের কর্মীরা এখনও তাকে মোবাইলে হত্যার হুমকি দেয়। নির্বাচনের আগে তারাই মুজিবুর রহমানকে বেধড়ক মারধর করে দু্ই পায়ের রগ কেটে দিয়েছিল। স্বজনরা জানান, চরসকিনা গ্রামের বাসিন্দা মুজিবুর ঢাকায় থাকতেন। জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে গত ১ এপ্রিল তিনি লালমোহনে যান। ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাওয়ায় নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার বড় ভাই খোকন গাজীকে মারার লক্ষ্যে সশস্ত্র অবস্থায় বাড়িতে প্রবেশ করে কামাল, নুরনবী, মিজান হাওলাদার, ইউনুস, লোকমানসহ অর্ধশত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। এ সময় গোসলরত মুজিবুর ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ কর্মীরা তার দুই পায়ের রগ কেটে দেয় এবং বেধড়ক মারধর করে।
হামলার ভয়ে অনেক বিএনপির কর্মী-সমর্থক ও ছোটখাটো নেতারা আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন। মূলত তারা নির্বাচনের দিন থেকেই পালাতে শুরু করেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোটের দিন বিকালে পাতারহাট-১ নামের লঞ্চযোগে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের কবির, জাকির, সিদ্দিক, মাসুম, জুয়েল, মেহের, পারভেজ, শিবলু, কাসেম, হারুন, মিজান হাওলাদারসহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ নেতাকর্মী ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা ট্রলারযোগে তাদের ধাওয়া করে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের অপর এক গ্রুুপ তাদের ধরার জন্য লালমোহনের নাজিরপুর ঘাটে ওঁত্ পেতে আছে খবর পেয়ে লঞ্চটি মুন্সিরচরে ভিড়িয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা নেমে পড়েন। অবশেষে তারা ট্রলারযোগে পটুয়াখালীর বাউফলে চলে যায়।
অপর সূত্র জানায়, লালমোহন পৌরসভার সাবেক কমিশনার আবদুল মান্নান নির্বাচনের দিন বেলা ১১টার দিকেই লালমোহন ত্যাগ করেন। এছাড়া ছাত্রদলের লালমোহন থানা সম্পাদক মিজান হাওলাদার, সাবেক সভাপতি সামসুদ্দিন জসিম, বিএনপি নেতা ফজলু চেয়ারম্যানের ছেলে নয়ন, বদরপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন, আবদুল মালেক, দেবিরচরের কবির হোসেনসহ অপর একটি গ্রুুপও গোপনে লালমোহন ত্যাগ করে।
আনুষ্ঠানিকভাবে শাওনকে বিজয়ী ঘোষণা : ভোলা-৩ আসনের উপনির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল গতকাল দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ প্রার্থী নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। ভোলা জেলা পরিষদ কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও বিএনপি প্রার্থী হাফিজউদ্দিন আহমেদকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ করা হয়। শাওন অনুষ্ঠানে থাকলেও ছিলেন না মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ।
রিটার্নিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, নির্বাচনী এলাকার ৮৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৭টি কেন্দ্রের ভোট গণনা হয়েছে। এতে নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৮৭৩ ভোট। হাফিজউদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৪২ হাজার ৬৫৮ ভোট। স্থগিত ৯টি কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩১ হাজার ২৭৭টি। বিএনপির নির্বাচন বাতিলের দাবির ব্যাপারে তিনি বলেন, এসব অভিযোগের ভিত্তি নেই। অভিযোগের ভিত্তিতেই ৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/04/26/29218

No comments:

Post a Comment