Saturday 10 April 2010

যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য, জুয়া : আয়োজক আ.লীগের নেতারা

বিশাল বাংলা ডেস্ক | prothom-alo তারিখ: ১১-০৪-২০১০

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রা ও সাকার্সের নামে রাতভর অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর চলছে। এতে এলাকার উঠতি বয়সের যুবকেরা বিপথগামী হচ্ছে। যাত্রার মাইকের শব্দে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। আর দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষেরা যাত্রা ও জুয়া খেলায় টাকা খোয়াচ্ছে। সাদুল্যাপুরে যাত্রার নামে এসবের আয়োজন করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
গাইবান্ধা: সাদুল্যাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের ঢোলভাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের মাঠে গত ১৫ দিন ধরে যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর চলছে। কলেজের অধ্যক্ষ সারওয়ার রাব্বি বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো অনুমতি না নিয়েই জোরপূর্বক কলেজের মাঠে যাত্রা ও জুয়া খেলা চালানো হচ্ছে।’
সরেজমিন ঢোলভাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, সন্ধ্যার পর সেখানে নানা রকম জুয়া খেলা শুরু হয়। গভীর রাতে চলে যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য। এলাকাবাসী জানান, ঢোলভাঙ্গা গ্রামের আওয়ামী লীগের নেতা খসু মিয়া, মনোয়ারুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির নেতা পাপুল মিয়া, রনজু প্রধান, আলম প্রধান ও দাদন ব্যবসায়ী মওলা মিয়ার নেতৃত্বে এসব কর্মকাণ্ড চলছে। সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, যাত্রা চালানোর জন্য জেলা প্রশাসক অনুমতি দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে পুলিশের কোনো করণীয় নেই।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা খসু মিয়া, মনোয়ারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির নেতা পাপুল মিয়া বলেন, ঢোলভাঙ্গা সমাজকল্যাণ ও নাট্য সংস্থার সাহায্যার্থে কলেজের কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমতি নিয়েই যাত্রা চালানো হচ্ছে। তবে যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য চালানোর কথা তাঁরা অস্বীকার করলেও জুয়ার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল): মির্জাপুরের বাইমহাটি গ্রামে গত বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রা ও সার্কাসের নামে হাউজি, জুয়া ও অশ্লীল নৃত্যের আসর বসছে। মির্জাপুর ক্লাব এসবের আয়োজক। সন্ধ্যা থেকে রাত দুইটা পর্যন্ত সেখানে চলে হাউজি। এরপর শুরু হয় যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য। হাউজি ও যাত্রার পাশাপাশি বসে জুয়ার আসর। মির্জাপুর কলেজের সাবেক শিক্ষক শক্তিপদ ঘোষ বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার সময় এসব আয়োজন করায় পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে মির্জাপুর ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন বলেন, যাত্রার নামে জুয়া ও অশ্লীল নৃত্যের বিষয়ে তিনি অবগত নন।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক এম বজলুল করীম বলেন, মেলা ও সার্কাসের অনুমতি নিয়ে এ ধরনের অনৈতিক কাজ চালানোর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-04-11/news/55770

No comments:

Post a Comment